Auto Draft

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভৌতিক স্থাপনা

ভৌতিক বিষয়ে আগ্রহ আছে অনেকেরই। ছোটবেলায় ভূত-পেত্নীর গল্প পড়েননি বা শোনেননি এমন মানুষ কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমন সব স্থাপনা আছে যা নিয়ে শুধু ছোটদের কেন, ভয় রয়েছে বড়দেরও। এমন কিছু ভৌতিক স্থাপনা সম্পর্কে জানুন। টাওয়ার অব লন্ডন ১৫৩৬ সালে হেনরি ১৭ বা সেভেনটিনের সময়ে এক স্ত্রীলোককে এই টাওয়ারে শিরোচ্ছেদ করা হয়। পরে শোনা যায়, ওই স্ত্রীলোকের আত্মাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যেত। মাঝে মাঝে তার খণ্ডিত মাথা হাতে নিয়ে হাঁটতেও দেখা যায়। টাওয়ার গ্রিন ও টাওয়ার চাপেল রয়েলে হাঁটার কথা বলেছেন অনেকে। বিখ্যাত ভৌতিক স্থান হিসেবে পরিচিত…

Read More

ভুতুরে ঘতনাঃ ৯ পর্বতারাহী রহস্যময় মৃত্যু ।।

ভুতুরে ঘতনাঃ  ৯ পর্বতারাহী রহস্যময় মৃত্যু।। লিখেছেনঃ সোহাগ দেওয়ান  পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় মৃত্যু র ঘটনাগুলোর একটি হলো Dyatlov Pass incident. কারণ ঘটনা ঘটার পর থেকে এখন পর্যন্ত এর কোন রহস্য বের করা যায়নি। ১৯৫৯ সালের কথা। তৎকালীন উরাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের (বর্তমান উরাল স্টেট ইউনিভার্সিটি) ৮ জন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রী ওটোর্টেন পর্বতারোহণের জন্য বের হলেন।অভিযাত্রীদ ল প্রথমে ট্রেনে রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ Sverdlovsk Oblast এর একটি শহর ইভডেলে পৌঁছলেন জানুয়ারির ২৫ তারিখ। এরপর তাঁরা উত্তর দিকে ‘ভিজাই’তে গেলেন ট্রাকে করে। এখানেই মনুষ্যবসতির শেষ, এরপর পুরোই জনমানবহীন। জানুয়ারির ২৭ তারিখ…

Read More

ভূতের গল্প : অশরীরী কণ্ঠ

ভূতের গল্প : অশরীরী কণ্ঠ ঐতিহাসিক পটভুমিঃ আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে একটি কাঁচা সড়ক সরাসরি যুক্ত ছিল শরীয়তপুর থানার সাথে। সড়কটা ছিল ৩টি গ্রামের কৃষকদের কৃষি জমির মাঝ বরাবর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কোন এক সময় পাকিস্তানী সৈনিকদের একটি ছোট বাহিনী সেই রাস্তা দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করার চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু আমাদের গ্রামের সাথে রাস্তাটির সংযোগ সড়কের একটা অংশ কাটা থাকায় তারা গ্রামে প্রবেশ করতে ব্যার্থ হয়। তারা সড়ক বরাবর থানার দিকে এগিয়ে যায় এবং স্বল্প সময়েও তাদের হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যায়। মৃতের সঠিক সংখ্যা কেউ বলতে পারে না। কারন পাকিস্তানী সৈন্যরা হত্যা…

Read More

ভূতের গল্প : অভিশপ্ত বুড়ি (ভূত এফএম -এ প্রকাশিত)

ভূতুড়ে গল্প অভিশপ্ত বুড়ি

ভূতের গল্প : অভিশপ্ত বুড়ি (ভূত এফএম -এ প্রকাশিত)  হামিদ মিঞা কথা দিয়েছিল বিয়ের পর লাকি বেগমকে নিয়ে এমন একটা বাসায় উঠবে যেখানে অন্য মানুষের সাথে টয়লেট বা রান্নাঘর ভাগাভাগি করতে হয় না। আলফা ফ্যাশন গার্মেন্টস এর ফ্লোর সুপারভাইজার হামিদ প্রেমে পড়েছ িল শিক্ষানবীস লাকি বেগমের। গরীবের ঘরে এমন অনিন্দ্য সুন্দরী মেয়ে জন্ম নিতে পারে তা লাকিকে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। লাকির বাবা-মা নেই, চাচার বাসায় থেকে কাজ করে। একদিন ধমক দিয়েছিল হামিদ বেমাক্কা। তার পর এক অপ্রত্যাশিত চোখ ভাসানো ভেউভেউ কান্না। সেদিনই হামিদ সিদ্ধান্ত নেয় এই মেয়েকে জীবনে…

Read More

কুয়াশার ভূতের গল্প : ভয়ানক একটি লাশের কাহিনী

কুয়াশার ভূতের গল্প : ভয়ানক একটি লাশের কাহিনী

কুয়াশার ভূতের গল্প : ভয়ানক একটি লাশের কাহিনী আমি এখন যে ঘটনাটা শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা এক রিকশাওয়ালা আর এক লোকের ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছিল দোহার থানার চরজয়পাড়া নামক গ্রামের এসপি বাড়ির সামনের সেই রাস্তায়। যেখানে একটা কালভার্ট আছে আর তার ঠিক পাশেই আছে বড় একটা ঝোপ। যে জায়গার আরও একটি ঘটনা আমি এর আগেও সবার সাথে শেয়ার করেছি। এখন আমি সেই জায়গার আরও একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা সম্পর্কে তুলে ধরছি। এই ঘটনাটি ঘটেছিল আজ থেকে প্রায় ৭/৮ বছর আগে। একদিন এক রিকশাওয়ালা রাতে এক প্যাসেঞ্জারকে নিয়ে সেই রাস্তা দিয়ে আসছিল। রাত…

Read More

ভুতের গল্পঃ এফোঁড়ওফোঁড় হয়ে একটা রোদ ঢুকে যায়

আমার চাচাতো ভাই নিপুনের সাথে আমার সম্পর্ক অন্য সব ভাইবোনদের চেয়ে ভালো।। নিপুনের পরীক্ষা শেষ হলে ও চলে আসতো আমাদের বাসায়।। আমার পরীক্ষা শেষ হলে আমি চলে যেতাম তাদের বাসায়।। যাই হোক, আপনাদের আজকে একটা কাহিনী বলবো, আমার এবং নিপুনের সম্পর্কে।। যদিও ঘটনাটি আমাদের পুরো পরিবারের সাথেই ঘটেছিলো তবে ভুক্তভোগী ছিলাম আমিই বেশি।। ডিসেম্বর মাস।। নিপুনের পরীক্ষা শেষ।। আমারও পরীক্ষা শেষ।। তবে নিপুনের ঢাকায় কিছু কেনাকাটা বাকি ছিল তাই সে এবার ঢাকায় চলে আসে।। বিকেলের বাসে রওনা দেয়, আমাদের বাসায় এসে পৌঁছায় রাত ৯ টার দিকে।। বাসায় ঢুকেই সে দৌড়ে বাথরুমে চলে যায়।।…

Read More

ভূতের গল্প : ভুতুরে বাড়ি !

পৃথিবীর অন্যতম প্রসিদ্ধ ভূতুড়ে একটা বাড়ির কথা জানাবো আজ আপনাদের। বাড়িটি চিনের হুয়াং হু প্রদেশে। বিশাল একটি বাড়ি কিন্তু খালি পড়ে আছে গত প্রায় ২ যুগ ধরে। কারণ কি? সেই আদি এবং অদ্ভুত কারণ! বাড়িতে নাকি ভূতের আনাগোনা দেখা যায়। বাড়িটি সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ঘটনা এরকমঃ ===>গোল চিহ্নিত নিচের ডান পাশের দুটো জানালা দেখতে পাচ্ছেন? রাতে নাকি প্রায়ই এই জানালায় একটা নীল পোশাক পড়া মেয়েকে দেখা যায়। অনেকেই দেখেছেন মেয়েটিকে। বেশিরভাগ মানুষই বলেছেন মেয়েটিকে যখন দেখা যায় তখন বাড়িটির চারপাশে খুব ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। ===>বাড়ির বাসিন্দারা (যারা আগে থাকতেন) তাদের মধ্যে অনেকেই গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর দেখেছেন তাদের পাশে বিছানায় ডেড বডি পড়ে আছে। বাড়িটিতে থাকাকালীন সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এবং আত্মহত্যা করে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৮জন (স্থানীয়দের মতে আরো অনেক বেশি)। ===>ছবির বাম পাশে দোতালায় গোল করে লাল কালি দেয়া জায়গায় একটা বৃদ্ধাকে দেখা যায় সাদা কাপড় পরিহিত অবস্থায়। তবে এই বৃদ্ধার কথা একেকজন একেক রকম বলেন। কেউ বলেন সে এই জানালার পাশে দাঁড়িয়ে হাসতে থাকেন। অনেকে বলেন বৃদ্ধাটি চুল নাকি দোতালা থেকে মাটি পর্যন্ত গড়ায়। ===>বাড়িটার ঠিক পেছনে একটা মজা পুকুর আছে যেখানে রাতের বেলা আলোর খেলা দেখা যায়। বিচিত্র সব রঙের আলো মনে হয় পুরো পুকুরটা জুড়ে নেচে বেড়ায়। এখনো আবিষ্কার করা যায় নি বাড়িটার এমন আচরণের কারণ কি।কেউ বলে খারাপ আত্মা, কেউ বলে অভিশাপ। এই বাড়িটির রহস্য এখন পর্যন্ত উদঘাটন করা সম্ভব হয় নি !

  পৃথিবীর অন্যতম প্রসিদ্ধ ভূতুড়ে একটা বাড়ির কথা জানাবো আজ আপনাদের। বাড়িটি চিনের হুয়াং হু প্রদেশে। বিশাল একটি বাড়ি কিন্তু খালি পড়ে আছে গত প্রায় ২ যুগ ধরে। কারণ কি? সেই আদি এবং অদ্ভুত কারণ! বাড়িতে নাকি ভূতের আনাগোনা দেখা যায়। বাড়িটি সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ঘটনা এরকমঃ ===>গোল চিহ্নিত নিচের ডান পাশের দুটো জানালা দেখতে পাচ্ছেন? রাতে নাকি প্রায়ই এই জানালায় একটা নীল পোশাক পড়া মেয়েকে দেখা যায়। অনেকেই দেখেছেন মেয়েটিকে। বেশিরভাগ মানুষই বলেছেন মেয়েটিকে যখন দেখা যায় তখন বাড়িটির চারপাশে খুব ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। ===>বাড়ির বাসিন্দারা (যারা আগে…

Read More

ভূতের গল্প : মাংশ পিণ্ড

আমার মেঝো কাকা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ জেদি আর একরোখা ছিলেন। দাদুর নির্দেশ অমান্য করে রাত বিরাতে গ্রামের বন্ধুবান্ধবের সাথে চলে যেতেন দূরে যাত্রা দেখতে অথবা মাছ শিকারে। প্রথমেই বলে নেই, গ্রামে গঞ্জে রাতে মাছ ধরার অন্যতম কারন হল, তখন মাছ ধরা পড়ে বেশি। তাই মানুষ বেশিরভাগ সময়ই রাত হলে মাছ ধরতে যায়। এমনি ভাবে একদিন আমার কাকা তার কয়েক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে প্রায় ২ মাইল দূরের একটা ঝিলে। ঐ ঝিলে প্রচুর শাপলা ফুটতো। আর ঝিলটি নাকি গভিরতায় অনেক বেশি ছিল। তাই সাধারণত মানুষ খুব একটা যেত না সেখানে মাছ মারার জন্য। ঐ ঝিল নিয়ে অনেক খারাপ কথা ছড়িয়ে আছে গ্রাম জুড়ে। প্রায় প্রতি বছরই ৩-৪ জন মানুষ ঐ ঝিলে ডুবে মারা যায়। তাদের মাঝে অনেকেই ভালো সাঁতারু ছিলেন। তো, এসব কথা জানত বলে দাদা দাদু মানা করলো যাওয়ার জন্য। কিন্তু কাকা জেদ ধরলেন যে তার যেতেই হবে। ভয়ে সরে গেছেন ভেবে পড়ে তার বন্ধুরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে এটা কাকা মেনে নিতে পারছিলেন না। যাই হোক, উনারা খুব আয়োজন করে ৪ বন্ধু মিলে গেলেন মাছ ধরতে। কাকা এবং উনার বন্ধু কাশেম লুঙ্গী কাছা দিয়ে প্রায় কোমর পানিতে নেমে গেছেন। উদ্দেশ্য ছিল একটু গভীরে গিয়ে জাল মারা। একটু বলে নেই, সেদিন আমাবস্যা ছিল। তেমন আলো ছিল না চারপাশে। তাই উনারা একটা হ্যাজাক বাতি নিয়ে গিয়েছিলেন। যাই হোক, উনারা জাল মেরে ঠিকঠাক ভাবেই উঠে এলেন। উপরে যেই দুজন ছিলেন তারা অপেক্ষায় ছিলেন। আস্তে আস্তে জাল গুটাতে লাগলেন। কাকারাও এর মাঝে ঝিল থেকে উঠে পড়েছেন। ৪জন মিলেই ঝিলের পারে দাঁড়িয়ে জাল গুটাচ্ছিলেন। হটাত কিসের যেনও আওয়াজ হল পেছন থেকে। কে যেনও ধমক দিল মনে হয়। হ্যাজাকের আলো ছিল, সেই আলোতে পেছনে ঘুরে দেখলেন উনারা। কাউকে দেখলেন না। ভাবলেন হয়তো মনে ভুল। আবারো জাল টানতে লাগলেন। হটাত কি যেনও হল, উনাদের হাত থেকে জালের দড়ি খুব দ্রুত সরে যেতে লাগলো। মনে হতে লাগলো কে যেনও খুব শক্তি দিয়ে উনাদের হাত থেকে সেই জালটা ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। চারজন শক্ত সামর্থ্য জওয়ান, এদের হাত থেকে জাল টেনে নিয়ে যাওয়ার মত কোনও মাছ সেই ঝিলে ছিল না। কাকারা প্রান প্রন চেষ্টা করতে লাগলেন জালটা থামানোর জন্য। তাল সামলাতে না পেরে কাকার এক বন্ধু পা পিছলে পড়ে গেলেন। পড়ে সবাইকে অবাক করে দিয়ে হরহর করে গভীর পানির দিকে তলিয়ে যেতে লাগলেন। মনে হতে লাগলো, কেউ যেনও তার পা ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কাকারা বিস্ফোরিত চোখে তা দেখতে লাগলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় তারা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। কাকার সেই বন্ধু বার বার পানির নিচে ডুবে যান আর যখনই মাথা উপরে উঠে তখনই চিৎকার করে সাহায্য করতে বলেন। কাকার বন্ধুরা হই হই করে পিছনের দিকে চলে যেতে লাগলেন। তারা ঝিল থেকে উপরে উঠে মাটির রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। কিন্তু কাকার মনে হয় বুদ্ধি জ্ঞান লোপ পেয়েছিল। উনি বিমুরের মত সামনে, আর গভীর পানির দিকে যেতে লাগলেন। পেছন থেকে কাকার বন্ধুরা চিৎকার করছিলো, যাসনে, যাসনে করে। কিন্তু কাকা উনাদের কথা না শুনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। হটাত কাকা আবিষ্কার করলেন উনার পায়ের নিচ থেকে মাটিগুলো যেনও ধপ করে সরে গেলো। দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু ক্ষণিকের মধ্যে পানিতে ডুবে গেলেন কাকা। হটাত অনুভব করলেন কে যেনও পানির নিচে টানছে তাকে। খুব শক্তি তার প্রতিপক্ষের। একে তো পানির নিচে, তার উপর টান সামলাতে পারলেন না কাকা। ডুবতে লাগলেন। নাক দিয়ে পানি ঢুকতে লাগলো। ফুসফুসের জমা করা বাতাস গুলো বুদ বুদের মত করে বেরিয়ে গেলো চিৎকারের সাথে। যেহেতু পানির নিচে তাই কোনও আওয়াজ হল না। আস্তে আস্তে দমে যেতে লাগলেন কাকা। শেষবারের চেষ্টার মত সরব শক্তি দিয়ে লাথি মারলেন নিচের দিকে। অনুভব করলেন কিছু একটার গায়ে ঠেকল পা টা। অনেকটা মানুষের শরীরের মত লাগলো। কাকার মনে হল হয়তো পানির নিচে কেউ আছে যে তাকে নিচ থেকে টানছে। নিজেকে বাঁচানোর একটা তাগিদ ফিরে এলো। যদি পানির নিচের মানুষটার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় তাহলে হয়তো বেচে যাবেন। নিজের সব শক্তি এক করে একটু ঝুঁকলেন কাকা। নিজের পায়ের কাছে হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে আঘাত করতে লাগলেন। এলোপাথাড়ি কয়েকটা আঘাতের পর একটা গিয়ে লাগলো কারো মাংশ পেশিতে। কাকার এক পা থেকে বাঁধন ছুটে গেলো। এবার কাকা দিগুন উদ্যমে আবারো হাত চালালেন, কয়েকটা মারার পো মনে হতে লাগলো হয়তো এ যাত্রা বাঁচবেন না, ঠিক তখনই আর একটা ঘুষি গিয়ে লাগলো সেই মাংশ পিণ্ডে। দ্বিতীয় পাটাও মুক্ত হলে এবার। টর্নেডোর গতিতে উপরে উঠতে লাগলেন কাকা। উনার হাতটা শরীরের পাশে ছিল। হটাত হাতে তীব্র ব্যাথা অনুভব করলেন কাকা। মনে হল কে যেনও ধারালো কিছু বসিয়ে দিলো উনার হাতে। কোনমতে উপরে উঠলেন কাকা। উপরে উনার বুন্ধুরা বন্ধুর বিপদ দেখে ঝুঁকি নিয়েই ঝিলে নেমে পড়েছিলেন। কাকাকে দেখেই উনাকে টেনে নিয়ে চললেন রাস্তার দিকে। জ্ঞান হারালেন কাকা। পরদিন সকালে কাকার জ্ঞান ফিরে আসে। এরপর একটানা ২৬ দিন উনি জ্বরে ভুগেন। এরপর আস্তে আস্তে সুস্থ হতে থাকেন। ওহ, কাকার সেই বন্ধুটিকে পরে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। ঝিলটি আঁতিপাঁতি করে খুঁজেও কোথাও পায়নি গ্রামের লোকেরা। আমার কাকার হাতের সেই তীব্র ব্যাথাটি কিসের ছিল জানা যায়নি। তবে মানুষ কামর দিলে যেমন হয় তেমন একটা দাগ পরে যায় কাকার হাতে। সেই হাত তিনি আর ব্যাবহার করতে পারেননি পরে। এমনকি এখন পর্যন্ত উনি হাতটা নাড়তে পারেন না। পাঠিয়েছেনঃ মশিউর রাহমান মিশুক

আমার মেঝো কাকা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ জেদি আর একরোখা ছিলেন। দাদুর নির্দেশ অমান্য করে রাত বিরাতে গ্রামের বন্ধুবান্ধবের সাথে চলে যেতেন দূরে যাত্রা দেখতে অথবা মাছ শিকারে। প্রথমেই বলে নেই, গ্রামে গঞ্জে রাতে মাছ ধরার অন্যতম কারন হল, তখন মাছ ধরা পড়ে বেশি। তাই মানুষ বেশিরভাগ সময়ই রাত হলে মাছ ধরতে যায়। এমনি ভাবে একদিন আমার কাকা তার কয়েক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে প্রায় ২ মাইল দূরের একটা ঝিলে। ঐ ঝিলে প্রচুর শাপলা ফুটতো। আর ঝিলটি নাকি গভিরতায় অনেক বেশি ছিল। তাই সাধারণত মানুষ খুব একটা যেত না সেখানে…

Read More

ভালবাসার গল্প : এক রুপালি জ্যোৎস্নায়

ভালবাসার গল্প পেইন

১। দ্যাখ ,এইসব্ আমাকে মানায় না । তুই করবি কর । তোর ব্যপার আলাদা । একা মানুষ , টাকার অভাব নাই । আমার পুরা ফ্যমিলি টানতে হয় । আমার দরকার ছিল তোর জায়গায় থাকা … কিছু একটা এক্সট্রা শুরু করতে হবে ; যা কিছু হোক । আসল কথা হচ্ছে টাকা টা ইম্পর্টেন্ট ! এছাড়া লাইফ টাই অচল !! বেকার ! অন্তু টলতে টলতে পাশের ঘরে চলে গেল । রাশেদ উঠে দাঁড়াল । অন্তুর সাথে কথা বলা এখন বেকার ! পাগলের মত কিসব বলে চলেছে ! এক ধাক্কায় জানালাটা খুলে দিলো…

Read More

ভালবাসার গল্প : একজন অতি সাধারণ আমি…

ওভারব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে আছি আমি। সন্ধার সূর্যটা বহু আগেই বাড়ি ফিরে গেছে,রাস্তার সোডিয়াম হলুদ বাতিগুলোও জ্বলে উঠেছে আলোকময় নগরীকে আরেকটু আলোকিত করে দিতে। এই সময় বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে মানুষের,ফিরে যাওয়ার নিরব প্রতিযোগীতা যেন শুরু হয়ে যায়। ভীড় বাড়ে বাসে,এই যাত্রাবাড়ি,গুলিস্তান,মিরপুর,শ্যামলী,ডাক হাঁকায় কন্ট্রাক্টাররা। আর যাত্রিদের ফিরে যাবার আকুলতা দেখতে থাকি আমি। মানুষের জীবনটা বড় বিচিত্র। দিন শেষে রাতে পরিবারের পিছুটান এড়াতে পারেনা মানুষ। অবাক লাগে মাঝে মাঝে এরকম পিছুটান। আমার পাশেও ভীড় বাড়ে,অস্থায়ী বাসিন্দারা ফিরতে শুরু করেছে আপন নীরে। শুধু আমিই ব্যস্ততার পাশ কাটিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। হাতের জ্বলন্ত বেনসন এন্ড হেজেসটাও আপন মহিমায় উজ্বল হয়ে উঠছে। আমাদের পৃথিবীটাও হয়ত কোন জ্বলন্ত সিগারেট,প্রতি মুহুর্তেই ছোট হয়ে আসছে। আমার মত মধ্যবিত্ত বেকারের হাতে এজিনিস বেমানান। তবুও আজকের দিনে একটু বিলাসিতা হতেই পারে। টিউশনির বেতনটা এ মাসে দুদিন আগেই পেলাম। ছাত্রের বাসা পরিবর্তন হচ্ছে,সেই সাথে শিক্ষকও। দিনটা যে সত্যিকার অর্থে আমার জন্যেই। কাল হয়ত আবার এক গাদা চাকুরির আবেদনপত্র,নয়ত টিউশনি খোঁজার মত জরুরী কাজ পরবে। তাই আজকে একটু অবসর কাটানই যায়। পকেটে অনেকগুলো টাকাও আছে। পৃথিবিতে হয়ত টাকার সুখটাই বড় সুখ। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড থেকে দুবছর হল বের হয়ে এখনও বেকার ই আছি।হয়ত আরো থাকব। থাকিনা আজকে কিছুটা চিন্তামুক্ত। তন্ময় হয়ে চেয়ে থাকি আমি রাস্তার ব্যস্ততার দিকে। ফুটপাতের দোকান গুলোতেও ভীড় বাড়ে। লাল নীল চুড়ি,ফিতা,শখের আংটি। কত কিছুতে ছেয়ে আছে দোকান । আপনমনেই হেসে উঠি আমি। সুখ বুঝি খুব একটা দামী না। কত কম দামেই না সুখ পাওয়া যায় দোকানগুলোতে। চুড়ির সাথে মেশানো দুফোঁটা ভালবাসার সামনে জগতের অপ্রাপ্তি বড় মেকী লাগে। ভাবছি মায়ার জন্যে কিনে নেব নাকি এক ডজন।মায়া আমার একমাত্র ছোট বোন। কাচের চুড়ি খুব পছন্দ মেয়েটার্। কিন্তু রাখতে পারেনা ভেঙ্গে ফেলে। দূর থেকেই একজোড়া কানের দুল চোখে লাগছে,প্রিয়তার জন্যে নেয়া যেতে পারে। এই পাঁচ বছরেও মেয়েটার জন্যে কিছু করতে পারিনি আমি। আসলে পকেটে টাকা থাকলে সব সুখ কিনে নিত ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করাটা কি খুব বেশি বেমানান? আলোগুলোর প্রাবল্য কমতে থাকে,কমে মানুষের ভীড়। আমার পাশেও নিদ্রার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে,ওভারব্রীজের বাসিন্দাদের নিম্নবিত্তের সংসারে ঘুম নামের অন্ধকার নেমে পড়তে শুরু করেছে। ওরা কি স্বপ্ন দেখে? আসলে জীবনটা আপেক্ষিক,ওদের স্বপ্ন গুলো বড় সরল। আইনস্টাইন সাহেব কাছে থাকলে জীবনের আপেক্ষিকতার জটিল সুত্রটা শিখে নিতাম। আমিও বেশিক্ষন পিছুটান থেকে বেরুতে পারিনা,হয়ত অবসাদ,হয়ত ভালবাসা,অথবা অসহায়ত্ব। পা বারাতেই হয় আপন গৃহের দিকে। ফিরে হয়ত দেখব মায়ের আমাকে নিয়ে চিন্তা,মায়ার একগাদা প্রশ্ন,অথবা কাঠিন্যের মোড়কে থাকা বাবার মমত্ব নিয়ে অপেক্ষা। এরকম ভালবাসাকে উপেক্ষা করার সাহস হয়না আমার,ঠোটের কোণে এক চিলতে সুখ হাসি নিয়ে এগিয়ে যাই। হারিয়ে যাই সেই ব্যস্ত মানুষদের সাথে নিরব প্রতিযোগিতায়। এভাবেই হয়ত অজানা এক মোহে আটকে পড়ি আমরা,চাইলেও বেরুতে পারিনা।হয়ত বেরুতে চাইই না।

ওভারব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে আছি আমি। সন্ধার সূর্যটা বহু আগেই বাড়ি ফিরে গেছে,রাস্তার সোডিয়াম হলুদ বাতিগুলোও জ্বলে উঠেছে আলোকময় নগরীকে আরেকটু আলোকিত করে দিতে। এই সময় বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে মানুষের,ফিরে যাওয়ার নিরব প্রতিযোগীতা যেন শুরু হয়ে যায়। ভীড় বাড়ে বাসে,এই যাত্রাবাড়ি,গুলিস্তান,মিরপুর,শ্যামলী,ডাক হাঁকায় কন্ট্রাক্টাররা। আর যাত্রিদের ফিরে যাবার আকুলতা দেখতে থাকি আমি। মানুষের জীবনটা বড় বিচিত্র। দিন শেষে রাতে পরিবারের পিছুটান এড়াতে পারেনা মানুষ। অবাক লাগে মাঝে মাঝে এরকম পিছুটান। আমার পাশেও ভীড় বাড়ে,অস্থায়ী বাসিন্দারা ফিরতে শুরু করেছে আপন নীরে। শুধু আমিই ব্যস্ততার পাশ কাটিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। হাতের জ্বলন্ত বেনসন এন্ড…

Read More