পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে একটি গ্রহাণু। নাম ‘২০১৩ টিএক্স৬৮’। ১০০ ফুট চওড়া গৃহাণুটি পুরোটাই শিলার প্রস্তরে মোড়ানো। এটি যদি পৃথিবীকে আঘাত করে, তাহলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।এমনকি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যেতে পারে মানবজাতির এ বসতিলয়ের বেশ কিছু এলাকা।
শুক্রবার এমন পূর্বাভাস দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা গ্রহাণুটির ঝুঁকি প্রদর্শনের বিষয়ে পুরো মনোনিবেশ করেছে।
সংস্থাটি বলছে, আগামী বছর এটি যখন পৃথিবীর কাছে আসবে, তখন পৃথিবীকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিতে পারে গ্রহাণুটি। তারিখটা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
তাহলে কী পতন হচ্ছে আমাদের পৃথিবীর? এমন প্রশ্ন আর উৎকণ্ঠা যখন মানুষের মনে, তখন নাসার বিজ্ঞানীরা খানিকটা অভয় দিয়েছেন। বলেছেন, গ্রহাণুটির আঘাত হানার সম্ভাবনা থাকলেও সেটা খুবই কম; যেটা ২৫০ মিলিয়নের এক ভাগের বেশি নয়। এ গ্রহাণুর আঘাত থেকে পৃথিবী আরও কমপক্ষে এক শতাব্দী নিরাপদ থাকবে।
তারপরও গ্রহাণুটি যদি পৃথিবীতে আঘাত হানে, তাহলে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার চেয়েও বড় ধরণের বিস্ফোরণ ঘটবে। ওই বিস্ফোরণের আওতার মধ্যে যা থাকবে তার সব কিছুকে বিনাশ হয়ে যাবে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সুনির্দিষ্ট করে এই গ্রহাণুর চলাচলের বিষয়ে পূর্বাভাস দিতে পারছেন না। তারা বলতে পারছেন না যে, এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর ১১ হাজার মাইলের মধ্যে চলে আসবে কিনা। এ সীমার মধ্যে চলে এলে তা হবে ক্ষতিকর। তথ্যসূত্র : মিরর।