সরকার জানিয়েছে বাংলাদেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এখনও পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
যারা পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে , সেগুলোর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই বলেও বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে ৭৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত ।
বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অল্প সময়ে টাকার বিনিময়ে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার ছাড়াও সনদ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বেশ কিছু পিএইচডি ডিগ্রির বৈধতা যাচাইয়ে চিঠি আসার পর শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খানের নির্দেশে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ।
তিনি আরও “যাদের পিএইচডির সনদ যাচাইয়ে অনুরোধ এসেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে, বেশিরভাগই তাদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা। প্রমোশনসহ চাকরির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায় পিএইচডি ডিগ্রি থাকলে। অভিযোগ আসে এজন্য অনেকেই এই ডিগ্রি নিচ্ছেন।”
“পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে” , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া পিএইচডি ডিগ্রিগুলোর বাংলাদেশে কোনো বৈধতা নেই জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক বাংলাদেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এখন পর্যন্ত পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়নি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলা বা কোনো দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদনও দেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত বলে মন্ত্রণালয় জানায়।
বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে বা কোনো দেশীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় পিএইচডি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
“যারা এ পর্যন্ত এ ধরনের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন, সেসবের কোনো আইনগত বৈধতা নেই,” বলা হয় এই বিজ্ঞপ্তিতে।
