সেলফির হিড়িক তো কমেইনি। বাড়তি যুক্ত হয়েছে সেলফি স্টিক। ঘোরাঘুরিতে তো আছেই, আর নামীদামি উৎসব হলে তো সেলফি স্টিক এর কথাই নেই। প্রথম কাজটাই যেন সেলফি স্টিক দিয়ে একটা গ্রুপ-সেলফি তুলে ফেসবুক-টুইটারে পোস্ট করে দেওয়া। বাকি বন্ধুদের জানান দেওয়া যে, সবাই মিলে ওই উৎসব মাতাচ্ছেন তারা। কিন্তু তরুণ-তরুণীদের এমন সাধে বাঁধ সাধছেন উৎসব আয়োজকেরা। দুনিয়ার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে একের পর এক উৎসবে নিষিদ্ধ হচ্ছে এটা। সেলফি স্টিক নিষিদ্ধের এ ঢেউয়ে পাল তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে এ বছরের কোচেলা ও লোলাপালোজা উৎসবের আয়োজকেরাও।
দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শিকাগোয় ২০১৫ সালের লোলাপালোজা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে সেলফি স্টিক, মনোপড ও গোপ্রো অ্যাটাচমেন্ট স্টিকও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উৎসবের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেই এসব নিয়ে না আসার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার কোচেলা ভ্যালি মিউজিক অ্যান্ড আর্ট ফেস্টিভ্যালের ওয়েবসাইটে এক কাঠি আগে বেড়ে একে ‘সেলফি স্টিকস/নার্সিসস্টিকস’ বলে উল্লেখ করে উৎসব এলাকায় এর ব্যবহার নিষিদ্ধের করা হয়েছে।
নানা সংগীত উৎসবে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধের পক্ষে অনেক শিল্পীরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিলেন। তবে,
অনুষ্ঠানে মনঃসংযোগ নষ্ট এবং বিরক্তি উৎপাদনের বিচারে হয়তো মোবাইল ফোনের চেয়ে সেলফি স্টিকের
উপদ্রবই বেশি মনে করছেন আয়োজকেরা।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত সাউন্ডওয়েভ ফেস্টিভ্যালগুলো সেলফি স্টিক নিষিদ্ধ ছিল। আয়োজকেরা
একে ‘আত্মরতির দণ্ড’ বলেও আখ্যায়িত করেন। যুক্তরাজ্যে ওটু অ্যাকাডেমি ব্রিক্সটন, লন্ডনের ওটু এবং এসএসই ওয়েম্বলির মতো সংগীত উৎসবের স্থানগুলোতেও নিষিদ্ধ হয়েছে সেলফি স্টিক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেলফি সেনসেশন চলতে থাকায় দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সেলফি স্টিক। ওজনে হালকা এবং ছোট আকারে গুটিয়ে রাখার সুবিধা আছে সেলফি স্টিকের। বিশেষত গ্রুপ ছবি তোলার জন্য সেলফি স্টিক খুবই কার্যকর। কয়েক ফুট লম্বা এই ধাতব লাঠির মাথায় মোবাইল ফোন বা হালকা ক্যামেরা বেঁধে কিছুটা ওপর থেকে গ্রুপ ছবি তোলায় দারুণ সুবিধা পাওয়া যায়।