ভালবাসার গল্প : অব্যক্ত ভালোবাসা

ধীরে ধীরে সূর্যের আভা দেখা যাচ্ছে । সূর্যের উদয় বার্তা যেন গান গেয়ে যাচ্ছে । প্রকৃতির নিয়ম । পার্থক্য শুধু মেঘলা আকাশে আঁধার ঘনালে,কিংবা শীতের কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লে সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না । আমার জীবনটাও যেন ঠিক তেমন সরল ছকে বাঁধা । নিরষ একজন মানুষ । প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ঝিম মেরে পড়ে থাকা । লেখাপড়া,ভবিষ্যত নিয়ে কোনো চিন্তা নেই । এই অসুখ তো আমার চিরদিনের না । অল্প কিছুদিনের । মরণব্যাধির অসুখ । তিলে তিলে মৃত্যু ঘটতে পারে । অনেকে বেঁচেও আসে এই মৃত্যুর দুয়ার থেকে । ছোটবেলা থেকে সাদামাটা জীবনের মধ্যে দিয়ে জীবন পাড় করেছি । চারিদিকের নানা রঙের মাঝে চোখ ঝলসায় নি কোনদিন । হঠাৎ একটি রঙিন ছবি মনে গেঁথে গেল । জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত রঙে ভরে উঠল । একটি মায়াবী মুখ,মায়াবী চোখের চাহনী আর তার মাঝে লুকিয়ে থাকা এক নীরব চঞ্চল মন দেখে মনে নাড়া দিয়ে উঠল । তন্দ্রা নামের সেই মেয়ে আজ আমায় পুরোপুরি মোহবিষ্ট করে রাখে । তার সুন্দর কন্ঠ শুনবার তাগিদে বার বার তাকে কল করার ইচ্ছা নেশার মত হয়ে দাড়িয়েছে । মনে পড়ে প্রথম দেখার কথা । হাসিখুশি চেহারা । যা হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে দিয়ে যায় । সেদিন ছিল তার জন্মদিন । গোলাপী রঙের জামা পড়েছিল সেদিন । যেন গোলাপি রঙের কোনো ফুল । যার চোখের চাহনী তীরের মত বিদ্ধ করে প্রতিটি মূহুর্তে । জন্মদিন থেকে ফিরে ওকে নিয়ে ভাবনা শুরু । এক সময় নিজের অজান্তে ভালোবেসে ফেলা তাকে । তার মায়াবী চোখ,ঠোঁটের সেই হাসি কোনোমতেই পিছু ছাড়ছে না । রাকিব কে জানাই এ ব্যাপারে । রাকিব বলে উঠে, "শোভন মামু, তুমি তো প্রেমে পড়ছো । এইটাও বুঝো নাই । কইয়া ফালাও মনের কথা । বলতে চাই আমি । কিন্তু পারিনা । তোমার নীরবতা আমাকে আরও নীরব করে । তোমার মায়াবী চোখের পানে তাকালে আমার কথা এলোমেলো হয়ে যায় । যতবার বলতে চাই,ততবার এক অজানা আতঙ্কে ভুগি । পারি না কেন? মোবাইল বার বার দেখি । তোমাকে কল করি । মেসেজ দেই । তুমি কি কিছুই বুঝো না । দেখতে দেখতে বৃষ্টি নামে । চারিদিকে আঁধার ঘনিয়ে আসে । কিছুতে মন বসে না । বারান্দাতে বসে হাত বাড়িয়ে দেয় শোভন ছুঁয়ে দেখে বৃষ্টি । তন্দ্রাও কি এখন বৃষ্টি ছুয়ে দেখছে? 'শোভন কি আমায় ভালোবাসে? ওর কিছুদিনের ব্যবহারে মনে হয় আমাকে কিছু বুঝাতে চাইছে ।' বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে ভেবে চলেছে তন্দ্রা । ফোঁটা বৃষ্টির ছোঁয়া নরম গাল ছুঁয়ে দিয়ে যাচ্ছে । আনমনে ভেবে চলে তন্দ্রা । 'শোভন কেন বন্ধুত্বকে অপমানিত করবে? কত ভালো বন্ধুত্ব আমাদের ' বৃষ্টির ছোঁয়া দুজনকেই সিক্ত করে যায় । মোবাইলের রিংটোন বেজে চলেছে শোভনের । খেয়াল নেই । তার ভাবনা এখন গভীরে । রাতে মোবাইল চেক করে দেখে অনেকগুলো মিসড কল । তন্দ্রার । কল ব্যাক করে । 'হ্যালো তন্দ্রা বল,ব্যস্ত ছিলাম কল ধরতে পারি নি ।' 'কাল দেখা করতে পারবি?' 'কোথায়?' 'যেখানে বলবে ।' ভয়ানক অসুখ শোভনের । ভালোবাসার । তন্দ্রার প্রতি ভালোবাসা । এটাই অসুখ । এই অসুখ কোনোদিনও যাবে না । পাশাপাশি বসে দুজন । চারিদিকে পাখির ডাক,গোলাপের সুবাস । এক মধুর পরিবেশ । বিন্দু ঘাম জমেছে কপালে । হঠাৎ তন্দ্রা বলে উঠে, "আজ তোকে কেন ডেকেছি জানিস?" মাথা নেড়ে না বলে শোভন । অনেকক্ষণ নীরব থাকে দুজন । শুধু পাখির কলতান । "তুই কি আমাকে ভালোবাসিস?" তন্দ্রা প্রশ্ন করে । "হুম" "বলিস নি কেনো কোনোদিন?" "ভয় করে ।" হঠাৎ তন্দ্রাকে অচেনা মনে হয় । কি করবে বুঝতে পারে না শোভন । "ভালো থাকিস । আমাদের বন্ধুত্ব এখানেই শেষ । নিজের যত্ন নিবি ।" উঠে যায় তন্দ্রা । শোভন তাকিয়ে থাকে তন্দ্রার চলে যাবার দিকে । ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় দূরে । চারিদিকে কেমন যেন আঁধার ঘনিয়ে এসেছে । বেদনার সুরধ্বনি বাজছে । একাকীত্ব আঁকড়ে ধরেছে । হারানোর বেদনায় পাখির মধুর ডাকগুলো করুণ লাগছে । রাত ১১টা ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিতে ইচ্ছে করছে শোভনের । দিয়েই কি লাভ? সব আজ অর্থহীন । কষ্টে পাথর হয়ে গিয়েছে যেন । ওয়ালে একটা পোষ্ট । "ইনবক্ষ চেক কর" ইনবক্সে মেসেজ পড়তে থাকে, "তোকে অনেক ভালো বন্ধু ভাবতাম । খুব কাছের । এটা কি করলি তুই? আমি জানি আমাদের মাঝে এই ভালো বন্ধুত্বটা আর থাকবে না । তাই আজ বন্ধুত্বটা এখানেই শেষ করে দিয়েছি । কারণ আজ থেকে আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব নামক গলার কাঁটা আর থাকবে না । আজ থেকে আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ক শুরু । ভালোবাসি তোকে । তোর তন্দ্রা ।" কি বলবে বুঝতে পারে না শোভন । শুধু চোখ দিয়ে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে চলে । আজ কাঁদতে চায় শোভন । - কাজী ফরিদুল হাসান শাওন

ধীরে ধীরে সূর্যের আভা দেখা যাচ্ছে । সূর্যের উদয় বার্তা যেন গান গেয়ে যাচ্ছে । প্রকৃতির নিয়ম । পার্থক্য শুধু মেঘলা আকাশে আঁধার ঘনালে,কিংবা শীতের কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লে সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না । আমার জীবনটাও যেন ঠিক তেমন সরল ছকে বাঁধা । নিরষ একজন মানুষ । প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ঝিম মেরে পড়ে থাকা । লেখাপড়া,ভবিষ্যত নিয়ে কোনো চিন্তা নেই । এই অসুখ তো আমার চিরদিনের না । অল্প কিছুদিনের । মরণব্যাধির অসুখ । তিলে তিলে মৃত্যু ঘটতে পারে । অনেকে বেঁচেও আসে এই মৃত্যুর দুয়ার থেকে ।…

Read More

ভূতের গল্প : ভুতুরে বাড়ি !

পৃথিবীর অন্যতম প্রসিদ্ধ ভূতুড়ে একটা বাড়ির কথা জানাবো আজ আপনাদের। বাড়িটি চিনের হুয়াং হু প্রদেশে। বিশাল একটি বাড়ি কিন্তু খালি পড়ে আছে গত প্রায় ২ যুগ ধরে। কারণ কি? সেই আদি এবং অদ্ভুত কারণ! বাড়িতে নাকি ভূতের আনাগোনা দেখা যায়। বাড়িটি সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ঘটনা এরকমঃ ===>গোল চিহ্নিত নিচের ডান পাশের দুটো জানালা দেখতে পাচ্ছেন? রাতে নাকি প্রায়ই এই জানালায় একটা নীল পোশাক পড়া মেয়েকে দেখা যায়। অনেকেই দেখেছেন মেয়েটিকে। বেশিরভাগ মানুষই বলেছেন মেয়েটিকে যখন দেখা যায় তখন বাড়িটির চারপাশে খুব ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। ===>বাড়ির বাসিন্দারা (যারা আগে থাকতেন) তাদের মধ্যে অনেকেই গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর দেখেছেন তাদের পাশে বিছানায় ডেড বডি পড়ে আছে। বাড়িটিতে থাকাকালীন সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এবং আত্মহত্যা করে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৮জন (স্থানীয়দের মতে আরো অনেক বেশি)। ===>ছবির বাম পাশে দোতালায় গোল করে লাল কালি দেয়া জায়গায় একটা বৃদ্ধাকে দেখা যায় সাদা কাপড় পরিহিত অবস্থায়। তবে এই বৃদ্ধার কথা একেকজন একেক রকম বলেন। কেউ বলেন সে এই জানালার পাশে দাঁড়িয়ে হাসতে থাকেন। অনেকে বলেন বৃদ্ধাটি চুল নাকি দোতালা থেকে মাটি পর্যন্ত গড়ায়। ===>বাড়িটার ঠিক পেছনে একটা মজা পুকুর আছে যেখানে রাতের বেলা আলোর খেলা দেখা যায়। বিচিত্র সব রঙের আলো মনে হয় পুরো পুকুরটা জুড়ে নেচে বেড়ায়। এখনো আবিষ্কার করা যায় নি বাড়িটার এমন আচরণের কারণ কি।কেউ বলে খারাপ আত্মা, কেউ বলে অভিশাপ। এই বাড়িটির রহস্য এখন পর্যন্ত উদঘাটন করা সম্ভব হয় নি !

  পৃথিবীর অন্যতম প্রসিদ্ধ ভূতুড়ে একটা বাড়ির কথা জানাবো আজ আপনাদের। বাড়িটি চিনের হুয়াং হু প্রদেশে। বিশাল একটি বাড়ি কিন্তু খালি পড়ে আছে গত প্রায় ২ যুগ ধরে। কারণ কি? সেই আদি এবং অদ্ভুত কারণ! বাড়িতে নাকি ভূতের আনাগোনা দেখা যায়। বাড়িটি সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ঘটনা এরকমঃ ===>গোল চিহ্নিত নিচের ডান পাশের দুটো জানালা দেখতে পাচ্ছেন? রাতে নাকি প্রায়ই এই জানালায় একটা নীল পোশাক পড়া মেয়েকে দেখা যায়। অনেকেই দেখেছেন মেয়েটিকে। বেশিরভাগ মানুষই বলেছেন মেয়েটিকে যখন দেখা যায় তখন বাড়িটির চারপাশে খুব ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। ===>বাড়ির বাসিন্দারা (যারা আগে…

Read More

ভূতের গল্প : ভয়ানক একটি পিশাচ ঘটনা

ঘটনাটা বরিশালের ,বাউফল থানার মুলাদি গ্রামের! ঘটনাটা ৪০বছর আগের! আমার এক নিকট আত্বীয়ের ঘটনা ও তারকাছ থেকে শোনা! তার ভাষায়! আমার বয়স তখন ২২বছর ! আমার বাবার খুবই ডায়রিয়া হয়েছিল!গ্রামের এক কবিরাজকে দেখিয়েছি এবং সে বলে না'যত তারাতারি সম্ভভ শহরে নিয়ে ভাল ডাক্তার দেখাতে!কারন তখনকার দিনে গ্রামের দিকে কোন ডাক্তার ছিল না! আর শহর ২৫কিঃ মিঃ দূরে! শহরে যেতে হবে নৌকায়করে! যোগাযোগে একমাএ উপায় ছিল নদীপথ! ভাল রাস্তা তখন ছিল না! বাবাকে নিয়ে যখন রওনা করি তখন বেলা ১২ বাজে! প্রথমে আকাবাকা ছোট খাল পেরিয়ে বড় নদী ও তার ঐ পাড়ে শহর! শহরে পৌছাতে আরো ঘন্টা আডাঁই লেগেছে! বিকাল ৫টার দিকে বাবা মারা যায়! বাবার লাশটা নিয়ে আমি আবারবাড়ির দিকে রওনা দেই!বড় নদীটা যখন পার করে খালের দিকে নৌকাঢূকাই তখন দেখতে পাই নৌকা আর চলছে না'কাঁদায় আটকে গিয়েছে! তখন ভাটা চলছে! জোয়ার আসবে রাত ১২টার দিকে!তখন সময়টা আনুমানিক সন্ধা সাডে ৬টা হবে! শীতেরকাল থাকায় ঐ সময়ে অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল চারপাশ! আকাশের জোত্নার আলো ছিল খুব! জনমানব শূন্ন একটি স্থানে এসে নৌকাটা আর চলছে না! খালটার বামপাশে একটু দূরে একটি পরিতেক্ত শ্বশান আর ডানপাশে গভীর জঙ্গল!জঙ্গলের বটগাছ গুলে দানবের মত দাড়িয়ে আছে! বটগাছের ডালে কিছু বাদুরঝুলে আছে!এতটাই নির্জন জায়গায় যে কোন শব্দ হলেই বুকের ভিতরে কেমন যেন করে ওঠে!ভয়ে বাবার লাশটা স্পর্শ করে বাবার পাশে বসে থাকি!শুধু অপেহ্মা ছাড়া আর কোন উপায় নেই! একটা চাদর দিয়ে বাবার লাসটা ঢেকেদিয়েছি!রাত যত বাডতে থাকে ভয় ততটাইতীর্বরোহতে থাকে! মনে হয় জঙ্গল থেকে কিছু একটা বেডিয় এসে আমাকে ধরবে ! হটাত্ নৌকাটা কেমন যেন একটু দুলে উঠলে মনে হল আমার মৃতবাবা নাডে উঠছে! বাবার ঠান্ডা শরির থেকে হাতটা সরিয়ে নেই! দোয়া যতটুকুপাড়ি সবই পড়তে চেষ্টা করছি কিন্ত ভয়ে কিছুই মনে নেই! ইচ্ছা করছিল চিত্কার করি বাচাঁও বাচাঁও বলে!কিন্তু আমি জানি আমার এই চিত্কার কারো কানে পৌছাবেনা! না পারছি এখান থেকে যেতে,না পারছি থাকতে! নিজের মৃতবাবাকেও ভয় করছে! আনুমানিক রাত ১১টার দিকে একটা ছায়া দেখতে পেলাম বট গাছের অড়াল থেকে বেডিয়ে আমাদের নৌকার কাছে আসলো ও আমাকে জিঙ্গাসা করলো'তুমি কিঐ দিকে যাবা ?লোকটি একটা চাদর গায়ে জড়িয়ে আছে ও তার মুখটা চাদরে ডাকা ছিল! লোকটি ইশারায় যে দিকে দেখালো ঐ দিকেই আমরা যাচ্ছি! লোকটিকে বললাম জোয়ার আসলে যাব! লোকটি নৌকায় উঠলো ও বাবার কাছে বসলো কিন্তু বাবার সম্পর্কে কিছুই জিঙ্গাসা করলো না! একদৃষ্টিতে বাবার লাশটার দিকে চেয়ে ছিল! লোকটার মুখটা আমি তখনো দেখতেপাই নি! এই গহীনজঙ্গলে এতরাতে তার আগমনের কারনটা পর্যন্তে জানতে ইচ্ছা করে আগমনে শস্তি পেয়েছি! রাত ১২টার দিকে জোয়ার আসলে আমি নৌকাটা চালাতেশুরু করি! নৌকাযত সামনের দিকে যাচ্ছে ততই একটা গন্ধ নাকে লাগছে! ধিরে ধিরে গন্ধের তীবরোতা বাড়তে থাকে!কিছু কচুরিপনা , কলাগাছ ও মরা একটাগরুর ফুলে থাকা দেহ একসাথে জটলা করে এমনভাবে নৌকা সাথে আটকে আছে যে আমি অনেক চেষ্টা করে ও নৌকাটাকে কিছুতেই সামনের দিকে নিতে পারছিনা! বাদধো হয়ে আমি নৌকা থেকে পানিত রশি ধরে টানতে থাকলাম !প্রায় ৫ মিনিট টানার পর আমি নৌকার কাছে আসি ! তখন যা দেখলাম বুকের ভিতর কেমন যেন করে উঠলো!দেখি লোকটাবাবার বুকেরকাছে বসে বারার বুকের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে কলজাটা বেরকরে নিয় তখন আমি কোন উপায় না দেখে বৈঠাটা হাতেনিয়ে লোকট মাথায় আঘাতকরি একাধিক বার! লোকটা আমার দিকে যখন ঘুড়ে তখন ঠিক গলার মাঝখানে বৈঠাটা ঢুকিয়ে দেই ! এতে লোকটা পানিতে পড়ে যায়! আমি পানিতে খুব জোরে জোরে বৈঠাদিয়ে আঘাত করি ও চিত্কার করি সাহষ থাকলে সামনে আয়!চাঁদের আলোতে লোকটার রক্তমাখা লোমশ হাতটা দেখেছিলাম !বড়বড় নখ ও কোঠরে ঢোকানো চোখের নীল আভা মনে পড়লে বুকটা শুকিয়ে যায়! দাতগুলো লালচে খুব ছোট ছোট তীখ্ন আর ধারালো! আমার চিত্কার শুনে টর্চলাইট নিয়ে কয়েকজন লোক ছুটে আসে তাদের সব কিছু খুলে বলি ! সব কিছু শুনে তারা বাবার লাশটা দেখে'তখন ও বাবার বুকের ছোপ ছোপ রক্তগুলো শুকায়নি! ঐ রাতটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর রাত!যেরাতের কথা আমি কখনো ভুলতে পারবো না! ঐটা ছিল একটা পিশাচ !

ঘটনাটা বরিশালের ,বাউফল থানার মুলাদি গ্রামের! ঘটনাটা ৪০বছর আগের! আমার এক নিকট আত্বীয়ের ঘটনা ও তারকাছ থেকে শোনা! তার ভাষায়! আমার বয়স তখন ২২বছর ! আমার বাবার খুবই ডায়রিয়া হয়েছিল!গ্রামের এক কবিরাজকে দেখিয়েছি এবং সে বলে না’যত তারাতারি সম্ভভ শহরে নিয়ে ভাল ডাক্তার দেখাতে!কারন তখনকার দিনে গ্রামের দিকে কোন ডাক্তার ছিল না! আর শহর ২৫কিঃ মিঃ দূরে! শহরে যেতে হবে নৌকায়করে! যোগাযোগে একমাএ উপায় ছিল নদীপথ! ভাল রাস্তা তখন ছিল না! বাবাকে নিয়ে যখন রওনা করি তখন বেলা ১২ বাজে! প্রথমে আকাবাকা ছোট খাল পেরিয়ে বড় নদী ও তার ঐ…

Read More

ভালবাসার গল্প : ভালবাসার বৃষ্টি “২”

ছোট্ট আদৃতার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সেঁজুতি। কি নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে।অথচ ঘুমানোর আগে কত শত বায়না তার। আর রাজ্যের সব বায়না গল্প নিয়ে। আজ পরীর দেশের গল্প তো কাল বাঘের গল্প,নয়তো নিজের ছোটবেলার গল্প কিংবা সেঁজুতির ছোটবেলার গল্প।গল্প বলতে বলতে সেঁজুতির দুচোখের পাতা যখন ভারি হয়ে যায়,আদৃতা অস্ফুট স্বরে বলে উঠে, ......"তুমিতো স্লিপিং বিউটি হয়ে গেলে মা।" ......"মার আজকে খুব ঘুম পাচ্ছে সোনা।আজ ঘুমোও,আরেকদিন বলব।" ......"না না মা আজ তোমার ছোটবেলার গল্প বলবে বলেছিলে।" চোখের পাতা টানটান করে হলেও গল্প বলতে হয় সেঁজুতির। গল্প শোনার ফাঁকে ফাঁকে আদৃতা বলতে থাকে, ......"মা ঐযে ঐ গল্পটা বলনা,একদিন লাটিম খেলতে খেলতে মামা তোমার পায়ে লাটিম ছুঁড়ে দেয়। তুমি যে কত্ত ব্যাথা পেয়েছিলে। তারপর তুমি মামার সাথে দুদিনের আড়ি নিয়েছিলে।কিভাবে ভাব হয়েছিলে মা?" ......"অত কিছু কি আর মনে আছেরে?" ......"উহ,আছেতো মনে।তোমাকে একটা চকলেট দিয়ে ভাব নিয়েছে।" ......"তুমিই তো সব বললে,আবার শুনতে চাও কেন?" ......"আচ্ছা তাহলে ঐটা বল,তোমাকে একটা হাওয়াই মিঠাই কিনে দিয়ে তোমার সব জমানো টাকা আর মার্বেল নিয়ে যেত যে।" আদৃতার চুলে বিলি কেটে দিতে দিতে শুরু করে নতুন গল্প। গল্প বলার যোগারপাতি না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়বে ও। জীবনটা যদি গল্পের মত হত কি অমন ক্ষতি হত। স্মৃতি হাতড়ে চলে যাই সুদূর অতীতে।কোথায় যেন যেয়ে থমকে দাঁড়াতে হয়। শেষ যেদিন বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম সেদিন নাকি হঠাৎ থমকে যাওয়া কোন এক কাঁকডাকা ভোরে। জীবনটা এত সাজানো না বলেই হয়তো অনেক কিছু বুঝে উঠার বয়সে পা দেওয়ার আগে নেমে আসে প্রথম ঝড়। কোন এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাবা বিরস মুখে বসে আছে আর পুরো বাড়ি ফাঁকা। মা আর ভাইয়ার কোন হদিস নেই। কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাছে ছুটে যেতেই বাবা মাথায় হাত রেখে বলে, ......."মায়ের জন্য কাঁদছ মামনি? তোমার মা কদিনের জন্য নানুবাড়ি গেছে। কয়েকদিন পরই চলে আসবে।" ......." ভাইয়া কোথায় গিয়েছে বাবা" ......"ও তোমার মায়ের সাথে গিয়েছে। বলেছিতো চলে আসবে।" গলার আওয়াজ আরও এক কাঠি উঠিয়ে আরও জোরে কেঁদে উঠে বলি। ....."আমাকে না নিয়ে কেন গেল?" চুপ হয়ে যায় বাবা।বুঝিনি তখন আর বলার কিছুই ছিলনা। এরপর থেকে শুধু দিন গোনা। অপেক্ষা শুধু অপেক্ষা হয়েই থাকত। ধীরে ধীরে বাস্তবতার বেড়াজালে নিজেকে আবিষ্কার করলাম। বাবা-মার ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর,ভাইয়া আর মাকে ছাড়া একেকটা দিন যেন বিষবাষ্পের মত ধোঁয়া ছড়াত। আমি ছিলাম ভাইয়া বলতে অন্তঃপ্রান। সারাদিন দুজন আঠার মত লেগে থাকতাম। কখনও ভাইয়া আমার সঙ্গী হত রান্নাবাটি খেলায় কিংবা আমি ভাইয়ার সাথে ব্যাট-বল নিয়ে দৌড়াতাম। মনে পড়ে,একবার খেলতে যেয়ে ভাইয়া মায়ের শোকেসের কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে আর কপালে জোটে মায়ের হাতে মার। আর আমার সেকি কান্না। সারাদিন কিছু খাইনি,রাতে এলো ভীষণ জ্বর। জ্বরের ঘোরে নাকি বকছিলাম, "মা,ভাইয়াকে আর মেরোনা।" সেইযে জ্বর আর নামার নাম নেই। মায়ের সাথে ভাইয়াও সারারাত বসে ছিল। একটু পরপর কপালে হাত দিয়ে দেখছিল। এগুলো এখন শুধুই স্মৃতি। প্রায় দশ বছর ওদের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। কতভাবেইনা খোঁজ করার চেষ্টা করেছিলাম। প্রতিদিন তীর্থের কাঁকের মত অপেক্ষা করতাম,কোন এক ভোরে যেমন আমার জীবন থেকে বিলিন হয়ে গিয়েছিল তেমনি আরেক ভোর হয়তো আমার জন্য মঙ্গল প্রদীপ হয়ে জ্বলবে। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হতোনা। কেমন যেন ঘরকুনো হয়ে গিয়েছিলাম আমি। অনেকটা আসামাজিকের মত। সোশ্যাল নেটওয়ারকিং সাইটগুলোও যেন ছিলনা আমার জন্য। মাঝে মাঝে মুখবইতে ভাইয়ার নাম লিখে খুঁজতাম। কখনও পুরো নাম,কখনওবা নামের একাংশ। খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে অনেকটা অভিমানী হয়ে যেতাম। হঠাৎ একদিন দেখি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের খাতায় একটা নাম আটকে আছে। আহনাফ আহমেদ। ভাইয়ার নাম আহনাফ কবির দীপ। বাবার নামের অংশটুকু বদলে ফেলে নতুন নাম দিয়েছে নাকি অন্য কারো নাম বুঝতে পারছিলামনা। তবুও ভস্মীভূত ছাই থেকে জেগে উঠা ফিনিক্স পাখির মত আশা জেগে উঠেছিল মনে। বন্ধু খাতায় নামটা টুকে নেওয়ার একটু পর পর মুখবইয়ে ঢু মারতাম।নিজ থেকে কিছু বলতেও পারছিলাম না। অপরিচিত মানুষের সাথে নিজ থেকে কথা বলার বাতিক নেই। ঠিক একদিন পর একটা ম্যাসেজ এলো, "কেমন আছিস বুড়ি?" কয়েক মিনিট শুধু শব্দগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলাম।চোখের পাতা তিরতির করে কাঁপছিল।মনে হচ্ছিল পুরো পৃথিবীটা মাথার উপর ভনভন করে ঘুরছে। কি করব না করব কিচ্ছু ভেবে পাচ্ছিলাম না।সব রকম কাঁপাকাঁপি,ঝাপাঝাপির পর অভিমানের ঝাঁপি খুলে বসেছিলাম। ভাইয়া নির্বিকারভাবে সব কথার জবাব দিচ্ছিল যেন সব দোষ মাথা পেতে নিয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনটুকু পর্যন্ত করার নেই। তারপর ভাইয়াকে মুঠোফোনে করেছিলাম বন্দী। কত যে কথা। " তুই দেখতে কেমন হয়েছিস? আগের মতো রোগা পটকা আছিস? হাতে গলায় শিকল ঝুলিয়ে ঘুরিস?ঠোঁটের নিচে স্টাইল করে দাড়ি রাখিস? কত লম্বা হয়েছিস তুই? কোথায় থাকিস কিসে পড়িস?" মাকে নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে হাজার কথা। ......" তোর একটা ছবি দিসতো।" ......" ছবি দিব কিরে, দেখা-ই করব বুড়ি।" ......" সত্যি দেখা করবি? তুই আমাকে চিনতে পারবি?" ......" পাগলি একটা। তুই বুঝি হাতিমার্কা মোটা হয়ে গেছিস? " ......" হুম, ছাই হয়েছি।" তারপর যেন সময়গুলো কাটছিলইনা। সেকেন্ডের হিসেব কষছিলাম সারাক্ষণ। অবশেষে যেদিন দেখা হবে বলেছিল, ঠিক সময়ে জায়গামত যেয়ে বসে ছিলাম।তখন আর ভাইয়ার আসার নাম নেই। কখন থেকে অপেক্ষা করছিলাম। ভাইয়া কি আগের মতো আছে নাকি গালভাঙ্গা মফিজের মতো হয়েছে।কত কিযে ভাবছিলাম।এরমাঝে আবার পাশের টেবিলে একজোড়া ছেলেমেয়ের কুটকুট হাসির শব্দ কানে এসে লাগছিল। বসে বসে ভাবছিলাম ভাইয়া কি এখনও আগের মতো প্রান খুলে হাসে, হাসলে কি টোলটা আরও গভীর হয়ে জাগে।আবার হঠাৎ হঠাৎ মনে হচ্ছিল পায়ের নিচে ষোল বাই ষোল টাইলসগুলো দুলে উঠছে। ভাইয়া কি ঠকঠক শব্দ করে মাটি কাঁপিয়ে আসবে নাকি সন্তর্পণে পাশে এসে বসবে।এরপর হঠাৎ খুব চিরচেনা একটা ঘ্রান পেয়ে চমকে উঠেছিলাম।ঘুরে দেখলাম আলুঝালু চুলের নীলরঙ্গা শার্ট পরা খুব চেনা একটা মুখ। যেন মনে হল সাক্ষাত রাজপুত্র। ভাইয়াটাকে দেবদূতের মতো লাগছিল। তারপর ভাইয়া যখন আমার পাশে এসে বসল, আমি শুধু ওকে দেখছিলাম। আমার মুখ থেকে কোন কথা সরেনা। দুজনে চুপ করে ছিলাম,যেন নির্বাক চলচিত্র।নিরবতা ভেঙ্গে ভাইয়াই কথা বলেছিল কিন্তু কেমন জানি দূরের মানুষের মতো। পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটেঘুঁটে ছাইপাঁশ বলছিল। আর আমি চোখরাঙ্গা করে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ..."বাব্বা আগের মতই অভিমানী আছিস,আইসক্রিম খাবি বুড়ি?" ..."তুই কি ভেবেছিস তুই-ই শুধু বদলে মহামানব হয়ে গেছিস?আর আমি আগের মত বুদ্ধু আছি,আমাকে রাগিয়ে তারপর আইসক্রিম দিলেই গলে যাব।" ..."এত রাগিসনা বুড়ি,তোকে পেত্নির মত লাগছে।দেখি তোর গালটা একটু টেনে দেই।শোন বুড়ি,,।" ..."হুম,বল।" ..."এ কদিন ধরে কথা বলছি,একবার ও তো ভাইয়া বলে ডাকলিনারে।" কথাটা শুনেই কেঁপে উঠলাম,কিচ্ছু বলতে পারছিলামনা শুধু দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছিল।আর কোন কিছু চিন্তা না করে ভাইয়াকে জাপটে ধরে হাউমাউ করে কান্না শুরু করেছিলাম।মনে হচ্ছিল ভাইয়ার বুকের মাঝে মান্নাদের সেই গানটা বাজছিল, "সে আমার ছোট বোন, বড় আদরের ছোট বোন।" আমি শুধু কেঁদেই যাচ্ছিলাম। আর ঠিক তখনই আমাদের ভালবাসার বৃষ্টি হয়ে এক পশলা বৃষ্টি নেমেছিল।আর ভাইয়া আমার হাত ধরে বলল, ..."টুনটুনি বাইরে তাকিয়ে দেখ ।বৃষ্টি নেমেছে,কেন জানিস?তোর অশ্রু ধুয়ে দিতে।চল ছোটবেলায় হারিয়ে যাই।" সেদিন ইচ্ছেমত ভিজেছিলাম দুজন।জীবনটা এক মুহূর্তের জন্য অসম্ভব সুন্দর হয়ে গিয়েছিল তখন। মনে হচ্ছিল আহারে এভাবে যদি সারাটাজীবন একসাথে থাকতে পারতাম। সেইযে শেষ বৃষ্টিতে ভেজা,ভাইয়াকে শেষ দেখা। মাঝে মাঝে দেখা হয় স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের মাঝামাঝি কিছু একটায়। আর আদৃতা যখন বলে উঠে , ......"মা আকাশের কোন তারাটা আমার মামা।" কোন তারাটা নিজেই জানিনা, শুধু আমার দিকে তাকিয়ে থাকা তারাটাকে খুঁজে বেড়াই। - ফারিয়া তানজিলা রিবন্তী

ছোট্ট আদৃতার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সেঁজুতি। কি নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে।অথচ ঘুমানোর আগে কত শত বায়না তার। আর রাজ্যের সব বায়না গল্প নিয়ে। আজ পরীর দেশের গল্প তো কাল বাঘের গল্প,নয়তো নিজের ছোটবেলার গল্প কিংবা সেঁজুতির ছোটবেলার গল্প।গল্প বলতে বলতে সেঁজুতির দুচোখের পাতা যখন ভারি হয়ে যায়,আদৃতা অস্ফুট স্বরে বলে উঠে, ……”তুমিতো স্লিপিং বিউটি হয়ে গেলে মা।” ……”মার আজকে খুব ঘুম পাচ্ছে সোনা।আজ ঘুমোও,আরেকদিন বলব।” ……”না না মা আজ তোমার ছোটবেলার গল্প বলবে বলেছিলে।” চোখের পাতা টানটান করে হলেও গল্প বলতে হয় সেঁজুতির। গল্প শোনার ফাঁকে ফাঁকে আদৃতা বলতে থাকে,…

Read More

ভূতের গল্প : ছায়ামূর্তি

ঘটনাটি ঘটেছিলো আমার নানা ভাইয়ের সাথে। নানা ভাই তখন মাঝ বয়সের ছিলেন। ঘরে নানুজান আর উনাদের ২ ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার। পরবর্তীতে নানুজানের কাছ থেকেই ঘটনাটি শুনেছি আমি এবং আমার অন্য ভাইবোন। নানা ভাই আমাদের গ্রামেরই একটা স্কুলে হেড মাস্টার ছিলেন। ঘটনা অনেক আগের। ১৯৮০ সালের দিকের। তো, তখন গ্রামে গঞ্জে বিদ্যুৎ এর তেমন প্রচলন ছিল না। বেশিরভাগ মানুষই কুপি বা হারিকেন ব্যাবহার করতো। নানা ভাই স্কুল থেকে মাঝে মাঝে ফিরতে দেরি হয়ে যেত। দেরি হয়ে গেলে উনি সেখানে নামাজ আদায় করে তারপর বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা করতেন। উনার কাকা বিদেশ থেকে একটা টর্চ লাইট পাঠিয়েছিলেন। সেই টর্চের আলোই মাঝে মাঝে হতো উনার পথ চলার সম্বল। যেদিনের ঘটনা, সেদিনও নানা ভাই একটু রাত করে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় একটা পুরনো বট গাছ পড়ে। দিনের বেলায়ও জায়গাটা কেমন যেনো অন্ধকার অন্ধকার থাকে। একটা জমাত বাধা বাতাস যেনো পাক খায়। তখন গ্রামে লোকজন বলতে বেশি মানুষ ছিল না। দেখা যেত, পুরো গ্রাম মিলে হয়তো ২০০ মানুষ। তাই সবারই সবার সাথে চেনা জানা ছিল। যাই হোক, নানা ভাই সেই বট গাছের কাছাকাছি আসার সময় হটাত দুটো ছায়ামূর্তির মতন দেখতে পান। অন্ধকারে হটাত নাড়া ছাড়া দেখায় তিনি একটু চমকে যান। আস্তে করে আলো ফেলে দেখার চেষ্টা করেন কাউকে দেখা যায় কিনা। আলো ফেলার খানিক আগেও যেখানে আওয়াজটা হয়েছিলো, আলো ফেলতেই দেখলেন জায়গাটা ফাঁকা। তবে যেখানে আওয়াজ হয়েছিলো সেখানে কিছু বটের শাখা নড়ছে। নানা ভাই জিজ্ঞেস করেন ওখানে কেউ আছেন কিনা। কিন্তু কোনো সাড়া নেই। এবার নানা ভাই একটু সাহস নিয়ে বুকে দোয়া পড়ে ফুঁ দিয়ে এগুতে থাকেন। খানিকটা পথ যাওয়ার পর উনার ভয় আস্তে আস্তে কেটে যেতে লাগে। এরপর আর খানিকটা গেলেই বাড়ি। নানা ভাই দ্রুত পায়ে পথ চালালেন। হটাত পেছনে কারো পায়ের আওয়াজ পাওয়া গেলো। কে যেনো পা হেঁচড়ে হেঁচড়ে হাঁটছে। নানা ভাই ঘুরে পেছন দিকে টর্চ মারলেন। একটা লোক আসছে দূর থেকে। নানা ভাই হেঁড়ে গলায় ডাক দিলেন, কেডা গো বলে। কিন্তু কোনো উত্তর নেই। এদিকে নানা ভাইকে চমকে দিয়ে হটাত সেই মূর্তিটা বাতাসের বেগে সামনে আসতে লাগলো। যেনো উড়ে আসছে। এবার নানা ভাই ভয় পেয়ে দৌড় লাগাতে যাবেন। হটাত খেয়াল করলেন, মূর্তিটার চোখ এই অন্ধকারেও জ্বলজ্বল করছে। অনেকটা পশুর মত। কিন্তু বলা বাহুল্য, সে সময় ভাল্লুক বা ঐ জাতীয় কোনো পশু এমন করে পথে ঘাঁটে উঠে আসতো না। আর সেই মূর্তি টা একজন স্বাভাবিক মানুষের আকৃতি নিয়েই এগুচ্ছিল। নানা ভাই আর সহ্য করতে পারলেন না। ঝেরে দৌড় মারলেন পেছনে ঘুরে। দৌড় মেরে কিছুদূর যেতেই পিঠে কিছুর ছোঁওয়া অনুভব করলেন। দাঁড়ালো কোনো কিছুর আঁচড় মনে হল। নানা ভাই, চিৎকার করে আরো জোরে দৌড় লাগালেন। এবার পেছন থেকে সেই মূর্তিটা(হয়তো, কারন সেটি কি ছিল তা নানা ভাই দেখতে পারেন নি) এসে ধাক্কা দিয়ে উনাকে ফেলে দিল। জ্ঞান হারানোর আগে নানা ভাইয়ের শুধু এতটুকুই মনে ছিল। পরদিন উনাকে পথের পাশের এক ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। উনার পিঠে রক্তের মাখামাখি। সবাই মিলে ধরাধরি করে বাসায় আনার পর গ্রামের চিকিৎসক উনাক প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। উনার পিঠে বড় বড় নখের আঁচড় লক্ষ্য করা যায়। সেগুলো এতো গভীর ছিল যে অনেকটা কেটে ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলো। নানা ভাইকে জরুরী ভাবে ঢাকায় এনে চিকিৎসা করা হয়। উনি প্রায় ১ মাস পর সুস্থ হয়ে উঠেন। এরপরের দিন সেই বট গাছের ডালে একজনের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। সেই লোকটা কে ছিল তা ঐ গ্রামের মানুষের অজানা। সেই রহস্য অমীমাংসিতই থেকে যায়। এই ঘটনার পড়ে নানা ভাই এর সাথে আরো একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। সেটি আজকে আর লিখলাম না। তবে, আমার মনে হয়েছে, দুটো ঘটনা এক করলে হয়তো এর কোনো উপসংহার টানা যায়। দ্বিতীয় ঘটনাটি অনেক বড়। তাই আজকে আর শেয়ার করলাম না। আপনারা চাইলে পরবর্তীতে লিখে আমি এডমিনের কাছে পাঠিয়ে দিবো। Selim Rayhan

ঘটনাটি ঘটেছিলো আমার নানা ভাইয়ের সাথে। নানা ভাই তখন মাঝ বয়সের ছিলেন। ঘরে নানুজান আর উনাদের ২ ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার। পরবর্তীতে নানুজানের কাছ থেকেই ঘটনাটি শুনেছি আমি এবং আমার অন্য ভাইবোন। নানা ভাই আমাদের গ্রামেরই একটা স্কুলে হেড মাস্টার ছিলেন। ঘটনা অনেক আগের। ১৯৮০ সালের দিকের। তো, তখন গ্রামে গঞ্জে বিদ্যুৎ এর তেমন প্রচলন ছিল না। বেশিরভাগ মানুষই কুপি বা হারিকেন ব্যাবহার করতো। নানা ভাই স্কুল থেকে মাঝে মাঝে ফিরতে দেরি হয়ে যেত। দেরি হয়ে গেলে উনি সেখানে নামাজ আদায় করে তারপর বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা করতেন। উনার কাকা বিদেশ…

Read More

ভালবাসার গল্প : পরিচয়

একটা রিক্সা আর ঝুম বৃষ্টির আশায় মধ্য দুপুরের গনগনে রোদ মাথায় করে দাড়িয়ে আছে সোমেন।ঘামে ভেজা শার্টটা পিঠের সাথে আটকে আছে বেয়াড়া ভাবে।বিরক্তি আর রোদের উত্তাপে কপালে বেশ কয়েকটা ভাঁজ। তখনি হুট করে কে যেন ধাক্কা দেয়।লোকটার ঘামের বোটকা গন্ধ নাকে লাগে । পাসেই ছিল নালা।পরতে পরতে কোন মতে নিজেকে সামলে নিল সোমেন।জিবের ডগায় কয়েকটা গালিও এসে গিয়েছিল। পাশ থেকে কে একজন খুব জোড়ে হেসে উঠল। সোমেন লোকটার দিকে তাকাতেই,হাসি থামিয়ে বলল, -সবার মাঝে অনেক ব্যাস্ততা।কাকে কাকে দোষ দেব,বলুন? কিছুটা অপ্রস্তুত সোমেন।পকেট থেকে রুমাল বের করে কপালের ঘাম মোছে।সামনে দাঁড়ানো মাঝারি উচ্চতার লোকটির দিকে তাকিয়ে হেসে বলে, -মন্দ বলেন নি। আপনি? হেসে হাত বাড়িয়ে দেন ভদ্রলোক। -শাহরিয়ার,আপনি? -সোমেন।কিছু মনে করবেন না, কেমন যেন চেনা মনে হচ্ছে আপনাকে? -প্রশ্নই আসে না।সিলেট আজি এলাম।সাংবাদিক,আপনাদের হাসপাতালে কিছু কাজ ছিল... দুজনের কথার মাঝেই একটি রিক্সা এসে থামে।সোমেন দরদাম করে নেয়।রিক্সায় চড়ে বলে, -দুপুরটা বড্ড বেয়াড়া।নয়তো আপনার সাথে একটা আড্ডা দেওয়া যেতো। জবাবে একটা ছোট হাসি দেয় শাহরিয়ার। -আছি এখানে আর দিন দুয়েক।বলা যায় না হয়তো দেখবেন দেখা হয়ে গেল। -কোন পত্রিকায় আছেন? কিছু একটা বলে শাহরিয়ার।শুনতে পায় না সোমেন ,ততক্ষনে রিকশা বেশ কিছু দূর এগিয়ে গেছে। এ ঘটনার দু দিন পর- ঢাকায় যাচ্ছিল সোমেন।পারাবত এক্সপ্রেক্স।শেষ বিকেলের রোদ ধান ক্ষেতে কিংবা বিলের পানিতে এসে পরছিল।বেশ লাগছিল দেখতে। -আরে সোমেন পরিচিত কণ্ঠ কানে আসতেই ফিরে তাকায় সোমেন।শাহরিয়ারের হাসিমুখ দেখেই ভাল লাগে। -বাহ্‌।দেখা হয়েই গেল।একা ট্রেন জার্নি মোটেও ভাল লাগে না আমার। হেসে বলে সোমেন। দুজনে মিলে চলে জম্পেশ আড্ডা । সমবয়সী বলে জমে যায় আড্ডা খুব অল্পেই। কথায় জানা যায়,দুজনের ছোট বেলা কেটেছে সিলেট।আপনি থেকে তুমিতে নেমে আসে তারা। ট্রেন ঢাকায় পৌঁছবে রাত দশটায়।আটটার মত বাজে। বাইরে বেশ অন্ধকার করে আছে।অন্ধকারের নিস্তব্ধতা চিড়ে এগিয়ে যাচ্ছে ট্রেন।শেষ হয়ে আসা সিগ্রেট টা তুড়ি মেরে জানালা দিয়ে ফেলতে ফেলতে শাহরিয়ার বলে, -জান সোমেন,খুব ছোট বেলায় অন্তু নামে একটা বেশ ভাল বন্ধু ছিল আমার।চেহারাটা আবছা,নাহ বেশ ভালই মনে আছে তার। একসাথে খেতাম,খেলতাম।কত সুন্দর ছিল সময়টা। চায়ের কাপটা সিটের নিচে ঠেলে দিয়ে,পকেট থেকে সিগ্রেটের প্যাকেট বের করতে করতে সোমেন বলে, -তারপর?এখন কোন খোঁজ নেই?যোগাযোগ আছে? -নাহ।আসলে শেষ বার যেদিন অন্তুর সাথে খেলছিলাম,কি কারনে যেন অন্তু আমার উপর খুব রেগে গিয়েছিল।বেশ জোড়ে একটা ঘুষি মেরে বসেছিল আমার পেটে। -লেগেছিল খুব? -আরে ধুর।পাঁচ বছরের একটা ছেলে কিবা জোড় ছিল হাতে তবে আঘাত পেয়েছিলাম খুব, কাছের মানুষের থেকে পাওয়া আঘত তো।মনে খুব লেগেছিল। -ও। কি বলবে ভেবে পায় না সোমেন। শাহরিয়ার জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিল।সেদিকে তাকিয়ে সিগ্রেট ধরাতে ধরাতে সোমেন বলে, -আমার মনে হয় কি জান,এর জন্য নিশ্চয়ই সে কষ্ট পেয়েছিল। -পেতে পারে। শাহরিয়ারআরের দিকে সিগারেট টা বারিয়ে দিয়ে বলে, -তারপর,তারপর কি হয়েছিল? -রেগেমেগে আমি তো আর অন্তুর সাথে দেখাই করি নি।দুদিন পর শুনি তারা সেই বাসা বদলে চলে গেছে।তারপর কত বছর কেটে গেল।নাহ আর ওর দেখা পেলাম না। -আচ্ছা ধর হঠাৎ অন্তুর সাথে দেখা হয়ে গেল।কি করবে? হেসে ওঠে শাহরিয়ার।একমুখ ধোঁয়া ছেরে বলে, -বেশ বলেছ তো।ভাবি নি কখনও।হয়তো পাল্টা ঘুষি চালাব।যেটা তখন করা উচিত ছিল। বাদ দাও ভাই,তার দেখা আর পাব না।দেখলেও এখন চেনার প্রশ্নই আসে না। হঠাৎ নিরব হয়ে যায় ট্রেনের কামরাটা। ট্রেন এগিয়ে যায়, রাত বারতে থাকে।ট্রেন দশটার একটু পরেই প্ল্যাতফরমে ঢোকে।আর সবার সাথে সোমেনরাও নেমে পরে।পেটে খিদে নিএ দুজন দুদিকে চলে যায়।ফোন নাম্বার রেখে দেয়।এক রাতেই দুজনে খুব ভাল বন্ধু হয়ে যায়। রাতের জার্নির ধকল কাটিয়ে বেশ বেলায় বিছানা ছাড়ে শাহরিয়ার।অভ্যাসবসত মোবাইলটা হাতে নিলে দেখতে পায় কেউ একজন টেক্সট করেছে, "আরিফ, তুই ও নাম বদলে ফেলেছিস!আমার মতই।কত হ্যাংলা ছিলি।কিভাবে বুঝব এটা তুই?আমায় যে চিনিস নি তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছিস?ভাই মাফ করে দিস।তোকে খুজি নি,জানতাম পাব না।কিন্তু ভুলি নি তোকে,জানিস?ভাবছিস হয়তো, কাল কেন পরিচয় দেই নি?তোর ঘুসির ভয়ে। আসলে তুই কাল কথা গুল বলার পর এতটাই লজ্জা লাগছিল,বলে বোঝাতে পারব না।......... অন্তু ( সোমেন)" লিখেছেন - অনিক ঘোষ

একটা রিক্সা আর ঝুম বৃষ্টির আশায় মধ্য দুপুরের গনগনে রোদ মাথায় করে দাড়িয়ে আছে সোমেন।ঘামে ভেজা শার্টটা পিঠের সাথে আটকে আছে বেয়াড়া ভাবে।বিরক্তি আর রোদের উত্তাপে কপালে বেশ কয়েকটা ভাঁজ। তখনি হুট করে কে যেন ধাক্কা দেয়।লোকটার ঘামের বোটকা গন্ধ নাকে লাগে । পাসেই ছিল নালা।পরতে পরতে কোন মতে নিজেকে সামলে নিল সোমেন।জিবের ডগায় কয়েকটা গালিও এসে গিয়েছিল। পাশ থেকে কে একজন খুব জোড়ে হেসে উঠল। সোমেন লোকটার দিকে তাকাতেই,হাসি থামিয়ে বলল, -সবার মাঝে অনেক ব্যাস্ততা।কাকে কাকে দোষ দেব,বলুন? কিছুটা অপ্রস্তুত সোমেন।পকেট থেকে রুমাল বের করে কপালের ঘাম মোছে।সামনে দাঁড়ানো…

Read More

ভূতের গল্প : তোমার পালা আসছে! খুব শীঘ্রই

ভূতের গল্প “তোমার পালা আসছে! খুব শীঘ্রই

এই ঘটনা অথবা ঘটনাগুলো যখন ঘটে তখন আমার বয়স ছিল ৯ বছর। এখন আমি ১৫ বছরের একজন কিশোর। আমরা ঐ সময় বোস্টনে(আমেরিকার একটি শহর) থাকতাম। আমার মা যখন মারা যান তখন আমার বয়স মাত্র ৩ মাস। উনাকে কেউ একজন মেরে আমাদের ক্লোজেটে(এক প্রকারের আলমারি) আটকে রেখেছিলো। আমি এক বিন্দু মিথ্যে বলছি না। আমি পরবর্তীতে এই কথাগুলো আমার খুবই বিশ্বস্ত মানুষের কাছ থেকে শুনতে পাই। আমার বয়স যখন ৯ বছর তখন আমি মাঝে মাঝে আমার খাটের নিচথেকে অদ্ভুত সব আওয়াজ শুনতে পেতাম। আমি এই শব্দের ভয়ে মাঝে মাঝে খুব ভীত এবং…

Read More

ভালবাসার গল্প : মাঝরাতের প্যাসেঞ্জার

রাস্তাটা এবড়োখেবড়ো । রিকশাওয়ালা উল্কার বেগে রিকশা চালানোর প্রতিজ্ঞা নিয়েছে সম্ভবত । সাজ্জাদ ঝাঁকুনি খেতে খেতে ভাবছিল বাড়ি পৌঁছানোর আগে গায়ের হাড়গোড় আস্ত থাকলে হয় ! রাত বাজে আড়াইটা । এত রাতে রিকশার প্রতিটা ঝাঁকুনি যে পরিমান বিকট শব্দ তৈরি করছে তা আর কিছুক্ষন চলতে থাকলে গাঁয়ের লোকজন ঘুম ভেঙ্গে উঠে আসবে লাঠি সোটা নিয়ে । এক পাশে ছোট একটা খাল অন্য পাশে ধানী জমি । মাঝে শিমলতা ,সুপারি,নারকেল গাছ আর বুনো ঝোপঝাড়ে ছাওয়া কাঁচা পাকা রাস্তা । ঝিঁঝিঁ ডাকছে ক্লান্তিহীন । রিকশার টিমটিমে হ্যারিকেনের আলো আর সাজ্জাদের হাতে ধরা টর্চটার আলো নিশুতি রাতের আঁধার কাটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে । রিকশাওয়ালা জোয়ান মরদ । গায়ে জোর আছে বেশ । খুব দ্রুত তালে প্যাডেলে পা চালাচ্ছে । একটু কেমন যেন । সরকার বাড়ির দক্ষিনে নাকুন্দপাড়া কমসে কম দশবার বলার পর তারপর রিকশাওয়ালা চুপচাপ মাথা হেলিয়ে রিকশায় ওঠার ইঙ্গিত করেছে । সরকারবাড়ির সামনে আসতেই একটা দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলো সাজ্জাদ । কত দিন পর এই দৃশ্যটা দেখছে সে ! ছোটবেলায় একদিন বাবার হাত ধরে গভীর রাতে হাট থেকে ফেরার সময় ঠিক এই দৃশ্যটা দেখে সে থমকে দাড়িয়ে গিয়েছিল । । বিশাল দীঘির একূল ওকূল চোখে পড়েনা । শ্বেত পাথরে বাঁধানো ঘাট । মাঝদীঘিতে একরাশ শাপলা ফুটে আছে । শাপলাবন ঘিরে হাজার হাজার জোনাকের নাচের আসর । দীঘির অন্ধকার জলে ফোটা ফোটা জোনাক আলোর ছায়া । নিশুতি রাতের হিম বাতাসে তিরতির করে কাঁপছে দীঘির কালো জল । মনে হচ্ছে আকাশের সব নক্ষত্র জলের মায়ায় দীঘিতে নেমেছে । তন্ময় হয়ে তাকিয়েছিল সাজ্জাদ । ব্যাগটায় হাত বুলিয়ে তৃপ্তিতে চোখ মুদল ও । আজ চাঁদ উঠলে পরশু ঈদ । ছেলেটার জন্য সোনালি সুতোয় বোনা পাজামা পাঞ্জাবি আর আয়েশার জন্য শাড়ি আলতা চুড়ি । শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনের জন্যেও অনেক কিছু কিনেছে । সারাদিনের ক্লান্তিতে গা ভেঙ্গে আসতে চাইছে ওর । । ঢাকা থেকে দিনাজপুর সহজ জার্নি নয় । একটা বেসরকারি ফার্মে চাকরি করে সাজ্জাদ । । দিনরাত গাধার খাটনি । বেতনও অত বেশি নয় । সাতপাঁচ ভাবছিল । গোরস্থান ঘেষে যাওয়ার সময় বাবা মায়ের কবরের বেড়াটা চোখে পড়ল ওর । একটু বিমর্ষ হয়ে গেলো সাজ্জাদ । গতবছর মা একটা শাড়ি চেয়েছিল । সাদা শাড়ি । সাজ্জাদ সবার জন্য কেনাকাটা করেছিল সেবার । ওর শালা সম্বুন্ধী শ্বশুর শাশুড়ি সবার জন্য । শুধু মায়ের শাড়িটা কিনতে বেমালুম ভুলে গিয়েছিল ।সেই ঈদের দুদিন পরেই মা মারা গিয়েছিলেন । কাফনের সাদা কাপড়ে জড়ানো মায়ের পা ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল সাজ্জাদ । একটু ঝিম ধরেছিল । রিকশার তীব্র ঝাকুনিতে সচকিত হলো সে। হঠাত্ খেয়াল হলো ওর একটু যেন বেশিই নীরব হয়ে গেছে আশপাশ । গা ছমছম করা নিস্তব্ধতা নেমেছে রাস্তা জুড়ে ! ঝিঁঝির ডাক থেমে গেছে । একটু গা শিরশির করে উঠল বিনা কারনে আর টর্চটা শক্ত হাতে আকড়ে ধরল সাজ্জাদ । কি ভেবে পিছন ফিরল ও । রিকশার হুডের ফাঁক দিয়ে ফেলে আসা রাস্তাটার দিকে তাকাল ও । চমকে উঠে চোখ বড় বড় হয়ে গেল সাজ্জাদের ! অন্ধকার রাস্তাটা ধরে পুরো শরীরে সাদা কাপড়ে জড়ানো একটা মানুষ প্রবল বেগে দৌড়ে আসছে ।সাদা কাপড় হাওয়ায় উড়ছে । অপার্থিব সেই দৃশ্য দেখে সাজ্জাদের গলা শুকিয়ে গেল । প্রচন্ড ভয় পেয়ে সামনে ফিরল ও । কাঁপা কাঁপা স্বরে একটু চেঁচিয়ে উঠল , ও ভাই একটু তাড়া তাড়ি চালান ! রিকশাওয়ালা নির্বিকার ।যেন শুনতেই পায়নি । পিছন রাস্তা থেকে কে যেন মায়াবী কন্ঠে ধীর স্বরে চিত্কার করে ডেকে উঠলো , 'খোকা ও খোকা আমার জন্য কিছু আনিসনি ? একটা সাদা শাড়ি ? গতবছরও আনলিনা .. সাজ্জাদ থরথর করে কেঁপে উঠলো ! এই কন্ঠ সে চেনে ! জন্ম থেকে শুনে এসেছে ! এ তার মায়ের কন্ঠ ! রিকশা প্যাডেলের ক্যাঁচকোঁচ শব্দ হচ্ছে অবিরাম ! "ও ভাই একটু শুনেন কে যেন আসতেছে একটু তাড়াতাড়ি চালান" ,সাজ্জাদ কম্পিত স্বরে রিকশাওয়ালাকে ডাক দেয় । রিকশাওয়ালা পিছন ফেরেনা । রিকশা ঝাঁকুনি খেতে খেতে চলেছে আগের মতই ! একটা নিশাচর পাখি ডানা ঝাপটে উড়ে গেল । বুনো লেবুর গন্ধ ভেসে আসছে । আচমকা পিঠের উপর ঠান্ডা কিছুর স্পর্শ ! সাজ্জাদ শিঁরদাড়া সোজা করে স্থির হয়ে গেল ! কানের কাছ বেয়ে ঘামের ফোটা টপ টপ ঝরতে শুরু করেছে । ভয়ে আতংকে বোধশুদ্ধি লোপ পেয়ে গেল ওর । হিমশীতল স্পর্শটা ওঠানামা করছে ওর পিঠের উপর ,যেন কেউ আদর করে হাত বোলাচ্ছে ওর পিঠে । "ও খোকা মানিক আমার" , ওর মায়ের কাতর কন্ঠটা ফিসফিস করে বলছে , " আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা ,আমার জাদুর কপালে টিপ দিয়ে যা !খোকা আমার ,লক্ষী আমার , বাছা আমার এখনো খাসনি ? আমার সাথে চল মাছের মুড়ো রেঁধে খাওয়াব তোকে । কবরে শিয়াল বাসা বেঁধেছেরে আমি ঘুমাতে পারিনা বাছা । শাড়ি এনেছিস খোকা ? একটু দেখি ? ও খোকা .. তোর বাবার ও খুব কষ্ট হয় তোকে না দেখে । আয় খোকা একটা চুমু দিই তোর কপালে .. পিছ ফির .. খোকা .. ও খোকা .. আতংকে দিশেহারা সাজ্জাদ শক্ত করে টর্চটা আকড়ে থরথর কাঁপতে থাকে । ফিরবেনা ফিরবেনা করেও পিছ ফেরে ও। যেন কেউ জোর করে ওকে পিছন ফিরালো ! রিকশার হুডের ফাঁকে ঘোমটা ঢাকা একটা মাথা আবছা অন্ধকারে মুখ বাড়িয়ে রেখেছে । জ্ঞানহারাবার প্রাকমুহুর্তে কপালে একটা শীতল ঠোঁটের স্পর্শ টের পেল সাজ্জাদ ! নাকুন্দপাড়ার বাজারে একটা দোকান তখনো আধখোলা ছিল । দোকানি দোকান গুছিয়ে মাত্র ঘুমানোর পায়তারা করছিল । রিকশাওয়ালা করিম বিরক্ত হয়ে অজ্ঞান পেসেঞ্জারটাকে দোকানে নিয়ে এসেছে । সে কানে কম শুনে । পেসেঞ্জারটা খামাখা একটু আগে জোরেসোরে চিক্কুর পেড়ে রিকশা থেকে ফাল মেরে বেহুঁশ হয়ে গেছে । টর্চলাইট ভেঙ্গে হাতে কাঁচের টুকরো গেঁথে রক্তারক্তি কান্ড ! করিম বিরক্ত হয়ে গালি দেয় গোটা দশেক । মহামুসিবত ! - বিকেল চড়ুই

রাস্তাটা এবড়োখেবড়ো । রিকশাওয়ালা উল্কার বেগে রিকশা চালানোর প্রতিজ্ঞা নিয়েছে সম্ভবত । সাজ্জাদ ঝাঁকুনি খেতে খেতে ভাবছিল বাড়ি পৌঁছানোর আগে গায়ের হাড়গোড় আস্ত থাকলে হয় ! রাত বাজে আড়াইটা । এত রাতে রিকশার প্রতিটা ঝাঁকুনি যে পরিমান বিকট শব্দ তৈরি করছে তা আর কিছুক্ষন চলতে থাকলে গাঁয়ের লোকজন ঘুম ভেঙ্গে উঠে আসবে লাঠি সোটা নিয়ে । এক পাশে ছোট একটা খাল অন্য পাশে ধানী জমি । মাঝে শিমলতা ,সুপারি,নারকেল গাছ আর বুনো ঝোপঝাড়ে ছাওয়া কাঁচা পাকা রাস্তা । ঝিঁঝিঁ ডাকছে ক্লান্তিহীন । রিকশার টিমটিমে হ্যারিকেনের আলো আর সাজ্জাদের হাতে ধরা…

Read More

ভূতের গল্প : মাংশ পিণ্ড

আমার মেঝো কাকা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ জেদি আর একরোখা ছিলেন। দাদুর নির্দেশ অমান্য করে রাত বিরাতে গ্রামের বন্ধুবান্ধবের সাথে চলে যেতেন দূরে যাত্রা দেখতে অথবা মাছ শিকারে। প্রথমেই বলে নেই, গ্রামে গঞ্জে রাতে মাছ ধরার অন্যতম কারন হল, তখন মাছ ধরা পড়ে বেশি। তাই মানুষ বেশিরভাগ সময়ই রাত হলে মাছ ধরতে যায়। এমনি ভাবে একদিন আমার কাকা তার কয়েক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে প্রায় ২ মাইল দূরের একটা ঝিলে। ঐ ঝিলে প্রচুর শাপলা ফুটতো। আর ঝিলটি নাকি গভিরতায় অনেক বেশি ছিল। তাই সাধারণত মানুষ খুব একটা যেত না সেখানে মাছ মারার জন্য। ঐ ঝিল নিয়ে অনেক খারাপ কথা ছড়িয়ে আছে গ্রাম জুড়ে। প্রায় প্রতি বছরই ৩-৪ জন মানুষ ঐ ঝিলে ডুবে মারা যায়। তাদের মাঝে অনেকেই ভালো সাঁতারু ছিলেন। তো, এসব কথা জানত বলে দাদা দাদু মানা করলো যাওয়ার জন্য। কিন্তু কাকা জেদ ধরলেন যে তার যেতেই হবে। ভয়ে সরে গেছেন ভেবে পড়ে তার বন্ধুরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে এটা কাকা মেনে নিতে পারছিলেন না। যাই হোক, উনারা খুব আয়োজন করে ৪ বন্ধু মিলে গেলেন মাছ ধরতে। কাকা এবং উনার বন্ধু কাশেম লুঙ্গী কাছা দিয়ে প্রায় কোমর পানিতে নেমে গেছেন। উদ্দেশ্য ছিল একটু গভীরে গিয়ে জাল মারা। একটু বলে নেই, সেদিন আমাবস্যা ছিল। তেমন আলো ছিল না চারপাশে। তাই উনারা একটা হ্যাজাক বাতি নিয়ে গিয়েছিলেন। যাই হোক, উনারা জাল মেরে ঠিকঠাক ভাবেই উঠে এলেন। উপরে যেই দুজন ছিলেন তারা অপেক্ষায় ছিলেন। আস্তে আস্তে জাল গুটাতে লাগলেন। কাকারাও এর মাঝে ঝিল থেকে উঠে পড়েছেন। ৪জন মিলেই ঝিলের পারে দাঁড়িয়ে জাল গুটাচ্ছিলেন। হটাত কিসের যেনও আওয়াজ হল পেছন থেকে। কে যেনও ধমক দিল মনে হয়। হ্যাজাকের আলো ছিল, সেই আলোতে পেছনে ঘুরে দেখলেন উনারা। কাউকে দেখলেন না। ভাবলেন হয়তো মনে ভুল। আবারো জাল টানতে লাগলেন। হটাত কি যেনও হল, উনাদের হাত থেকে জালের দড়ি খুব দ্রুত সরে যেতে লাগলো। মনে হতে লাগলো কে যেনও খুব শক্তি দিয়ে উনাদের হাত থেকে সেই জালটা ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। চারজন শক্ত সামর্থ্য জওয়ান, এদের হাত থেকে জাল টেনে নিয়ে যাওয়ার মত কোনও মাছ সেই ঝিলে ছিল না। কাকারা প্রান প্রন চেষ্টা করতে লাগলেন জালটা থামানোর জন্য। তাল সামলাতে না পেরে কাকার এক বন্ধু পা পিছলে পড়ে গেলেন। পড়ে সবাইকে অবাক করে দিয়ে হরহর করে গভীর পানির দিকে তলিয়ে যেতে লাগলেন। মনে হতে লাগলো, কেউ যেনও তার পা ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কাকারা বিস্ফোরিত চোখে তা দেখতে লাগলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় তারা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। কাকার সেই বন্ধু বার বার পানির নিচে ডুবে যান আর যখনই মাথা উপরে উঠে তখনই চিৎকার করে সাহায্য করতে বলেন। কাকার বন্ধুরা হই হই করে পিছনের দিকে চলে যেতে লাগলেন। তারা ঝিল থেকে উপরে উঠে মাটির রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। কিন্তু কাকার মনে হয় বুদ্ধি জ্ঞান লোপ পেয়েছিল। উনি বিমুরের মত সামনে, আর গভীর পানির দিকে যেতে লাগলেন। পেছন থেকে কাকার বন্ধুরা চিৎকার করছিলো, যাসনে, যাসনে করে। কিন্তু কাকা উনাদের কথা না শুনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। হটাত কাকা আবিষ্কার করলেন উনার পায়ের নিচ থেকে মাটিগুলো যেনও ধপ করে সরে গেলো। দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু ক্ষণিকের মধ্যে পানিতে ডুবে গেলেন কাকা। হটাত অনুভব করলেন কে যেনও পানির নিচে টানছে তাকে। খুব শক্তি তার প্রতিপক্ষের। একে তো পানির নিচে, তার উপর টান সামলাতে পারলেন না কাকা। ডুবতে লাগলেন। নাক দিয়ে পানি ঢুকতে লাগলো। ফুসফুসের জমা করা বাতাস গুলো বুদ বুদের মত করে বেরিয়ে গেলো চিৎকারের সাথে। যেহেতু পানির নিচে তাই কোনও আওয়াজ হল না। আস্তে আস্তে দমে যেতে লাগলেন কাকা। শেষবারের চেষ্টার মত সরব শক্তি দিয়ে লাথি মারলেন নিচের দিকে। অনুভব করলেন কিছু একটার গায়ে ঠেকল পা টা। অনেকটা মানুষের শরীরের মত লাগলো। কাকার মনে হল হয়তো পানির নিচে কেউ আছে যে তাকে নিচ থেকে টানছে। নিজেকে বাঁচানোর একটা তাগিদ ফিরে এলো। যদি পানির নিচের মানুষটার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় তাহলে হয়তো বেচে যাবেন। নিজের সব শক্তি এক করে একটু ঝুঁকলেন কাকা। নিজের পায়ের কাছে হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে আঘাত করতে লাগলেন। এলোপাথাড়ি কয়েকটা আঘাতের পর একটা গিয়ে লাগলো কারো মাংশ পেশিতে। কাকার এক পা থেকে বাঁধন ছুটে গেলো। এবার কাকা দিগুন উদ্যমে আবারো হাত চালালেন, কয়েকটা মারার পো মনে হতে লাগলো হয়তো এ যাত্রা বাঁচবেন না, ঠিক তখনই আর একটা ঘুষি গিয়ে লাগলো সেই মাংশ পিণ্ডে। দ্বিতীয় পাটাও মুক্ত হলে এবার। টর্নেডোর গতিতে উপরে উঠতে লাগলেন কাকা। উনার হাতটা শরীরের পাশে ছিল। হটাত হাতে তীব্র ব্যাথা অনুভব করলেন কাকা। মনে হল কে যেনও ধারালো কিছু বসিয়ে দিলো উনার হাতে। কোনমতে উপরে উঠলেন কাকা। উপরে উনার বুন্ধুরা বন্ধুর বিপদ দেখে ঝুঁকি নিয়েই ঝিলে নেমে পড়েছিলেন। কাকাকে দেখেই উনাকে টেনে নিয়ে চললেন রাস্তার দিকে। জ্ঞান হারালেন কাকা। পরদিন সকালে কাকার জ্ঞান ফিরে আসে। এরপর একটানা ২৬ দিন উনি জ্বরে ভুগেন। এরপর আস্তে আস্তে সুস্থ হতে থাকেন। ওহ, কাকার সেই বন্ধুটিকে পরে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। ঝিলটি আঁতিপাঁতি করে খুঁজেও কোথাও পায়নি গ্রামের লোকেরা। আমার কাকার হাতের সেই তীব্র ব্যাথাটি কিসের ছিল জানা যায়নি। তবে মানুষ কামর দিলে যেমন হয় তেমন একটা দাগ পরে যায় কাকার হাতে। সেই হাত তিনি আর ব্যাবহার করতে পারেননি পরে। এমনকি এখন পর্যন্ত উনি হাতটা নাড়তে পারেন না। পাঠিয়েছেনঃ মশিউর রাহমান মিশুক

আমার মেঝো কাকা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ জেদি আর একরোখা ছিলেন। দাদুর নির্দেশ অমান্য করে রাত বিরাতে গ্রামের বন্ধুবান্ধবের সাথে চলে যেতেন দূরে যাত্রা দেখতে অথবা মাছ শিকারে। প্রথমেই বলে নেই, গ্রামে গঞ্জে রাতে মাছ ধরার অন্যতম কারন হল, তখন মাছ ধরা পড়ে বেশি। তাই মানুষ বেশিরভাগ সময়ই রাত হলে মাছ ধরতে যায়। এমনি ভাবে একদিন আমার কাকা তার কয়েক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে প্রায় ২ মাইল দূরের একটা ঝিলে। ঐ ঝিলে প্রচুর শাপলা ফুটতো। আর ঝিলটি নাকি গভিরতায় অনেক বেশি ছিল। তাই সাধারণত মানুষ খুব একটা যেত না সেখানে…

Read More

ভালবাসার গল্প : এক রুপালি জ্যোৎস্নায়

ভালবাসার গল্প পেইন

১। দ্যাখ ,এইসব্ আমাকে মানায় না । তুই করবি কর । তোর ব্যপার আলাদা । একা মানুষ , টাকার অভাব নাই । আমার পুরা ফ্যমিলি টানতে হয় । আমার দরকার ছিল তোর জায়গায় থাকা … কিছু একটা এক্সট্রা শুরু করতে হবে ; যা কিছু হোক । আসল কথা হচ্ছে টাকা টা ইম্পর্টেন্ট ! এছাড়া লাইফ টাই অচল !! বেকার ! অন্তু টলতে টলতে পাশের ঘরে চলে গেল । রাশেদ উঠে দাঁড়াল । অন্তুর সাথে কথা বলা এখন বেকার ! পাগলের মত কিসব বলে চলেছে ! এক ধাক্কায় জানালাটা খুলে দিলো…

Read More