এইচ এম আবূ সালেহ : আল্লাহ তায়ালা যেমন অনাদি-অনন্ত, (তাঁর ছিফাত) কুরআনুল কারীমও তেমনি অনাদি-অনন্ত। আল্লাহ তায়ালা সত্বাগতভাবে চিরন্তন, তাই তাঁর ছিফাত নশ্বর বা অচিরন্তন হতে পারে না। কেননা আপন সত্বা ও গুণাবলী এই দুয়ের সম্মিলিত পরিচয়েই তিনি আল্লাহ তা’আলা। হ্যাঁ, অসংখ্য ছিফাতের মধ্যে কুরআনে কারীম আল্লাহ তা’আলার এক অনন্য ছিফাত বা গুণ। এই কুরআনে কারীমকে তিনি অন্যান্য সকল আসমানী কিতাবের শেষে পৃথিবীতে নাযিল করেছেন চ্যালেঞ্জস্বরূপ। এই কিতাবের পর আর কোন কিতাব আসমানী কিতাব বলে গণ্য হবে না। এই কিতাব নাযিলের পর অন্য কোন কিতাবের (মতবাদের) প্রযোজ্যতা অবশিষ্ট থাকবে না।…
Read MoreTag: ধেয়ে আসছে গ্রহাণু পৃথিবী এবার ধ্বংস হবে
বিশ্ব নবী সা.-এর আদর্শ
মাওলানা মুহাম্মদ মুজ্জাম্মিল হক : বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ সা. এর আবির্ভাবের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘হে নবী আমি আপনাকে আমার সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি।’ রাসূল সা.-এর আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে এক নতুন অধ্যায়ের সুচনা হয়। যাবতীয় অন্যায়-অবিচার, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে তিনি এক সফল সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করছিলেন। সর্বগুণে গুণান্বিত হয়ে মানবতার সর্বোত্তম আদর্শ হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে নিজেকে উপস্থাপন করছিলেন। যাতে সবাই তাঁর আদর্শ অনুসরণ করতে পারে। আল্লাহ তা’আলা বলেন, আপনি অবশ্যই শ্রেষ্ঠতম চরিত্রে অধিষ্ঠিত। সূরা ক্বলম-৪ অন্যত্র আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘তোমাদের জন্যে আল্লাহর রাসূলের…
Read Moreসৃষ্টি জগতের সূচনা :
সংগ্রহে: আব্দুল্লাহ মোঃ জুবায়ের : লাওহে মাহফূজ ইবনে আব্বাস রা. সূত্রে আবুল কাসিম তাবারানী রহ. বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী করীম সা. বলেন, ‘‘আল্লাহ তা’আলা শুভ্র মুক্তা দ্বারা লাওহে মাহফুজ সৃষ্টি করেছেন। তার পাতাগুলো লাল ইয়াকুতের তৈরি। আল্লাহ তা’আলার কলমও নূর এবং কিতাবও নূর। প্রতি দিন তাঁর তিনশ ষাটটি ক্ষণ আছে। তিনি সৃষ্টি করেন, জীবিকা দান করেন। মৃত্যু দেন, জীবন দেন, সম্মানিত করেন, অপমানিত করেন এবং যা খুশী তা-ই করেন। ইবনে আব্বাস রা. আরও বলেন, লাওহে মাহফুযের ঠিক মাঝখানে লিখিত আছে- ‘এক আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তাঁর মনোনীত…
Read Moreমদীনা সনদঃ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভূতপূর্ব দলিল
ড.আ ফ ম খালিদ হোসেন ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে হিজরতের পর রাসূলুল্লাহ সা. মদীনায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ইয়াহূদীদের মধ্যে সামাজিক ঐক্য ও রাজনৈতিক সমীকরণ, জাতীয় নিরাপত্তা, ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার মাধ্যমে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি চুক্তি সম্পাদন করেন যা ইতিহাসে ‘মদীনা সনদ’ (ঈযধৎঃবৎ ড়ভ গধফরহধয) নামে পরিচিতি লাভ করে। এটাই ইতিহাসে লিখিত প্রথম সংবিধান। এর পূর্বে শাসকের মুখোচ্চারিত কথাই ছিল রাষ্ট্রীয় আইন। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ এটাই ছিল রাষ্ট্র ও সমাজের শাসননীতি। খ্রিষ্টপূর্ব দুই হাজার বছর পূর্বে মেসোপটেমিয়ার যেসব আইন বিধিবদ্ধ (ঈড়ফব ড়ভ ঐধসসঁৎধনর) করা হয় তা ছিল অসম্পূর্ণ…
Read Moreজান্নাতের পরিচয় : জান্নাতের শরাবে নেশা এবং উম্মাদনা থাকবেনাঃ
সৈয়দা সুফিয়া খাতুন : জান্নাতের শরাবে নেশা এবং উম্মাদনা থাকবেনাঃ জান্নাতীরা তৃপ্তির জন্য শরাব পান করবে। কিন্তু সে শরাব হবে সুগন্ধিময়। জান্নাতের শরাব পান করে কেউ মাতাল হবে না, জ্ঞানশূন্য হবে না, পেটের কোন সমস্যা হবে না, কথায় কোন পরিবর্তন আসবে না। সূরা সাফ্ফাতে ইরশাদ হয়েছে-‘তাদের মাঝে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ-শুভ্র পানীয়ের পানপাত্র, যা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু, তাতে মাথা ব্যাথা হবে না এবং তা পান করে মাতালও হবে না। সূরা সাফ্ফাত:৪৫-৪৭ সূরা তূরে ইরশাদ হয়েছে, ‘শরাব পানের কারণে তারা কোন ধরনের অসার অবান্তর কথা বলবে না, কোন ধরনের…
Read Moreজাহান্নামের পরিচয় : জাহান্নামীদের জিহ্বা, জাহান্নামীদের উদ্দেশ্যে শয়তানের বক্তব্য, জাহান্নামীদের সংখ্যাঃ
মাওলানা আব্দুল মতিন : রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে কাফের তার জিহ্বা টেনে এক ফার্লং বা দুই ফার্লং পর্যন্ত বের করবে। যার উপর দিয়ে লোকজন হেঁটে যাবে। আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব ব্যখ্যা ঃ এক ফার্লং সমান তিন মাইল। এ হাদীস থেকে জানা গেল, কাফেরদের জিহ্বা কত লম্বা হবে। মূলত পরকালে মানুষের আকৃতি পৃথিবীর মানুষের আকৃতির চেয়ে অনেক দীর্ঘ হবে। জাহান্নামীদের উদ্দেশ্যে শয়তানের বক্তব্যঃ এদিকে জাহান্নামীরা শয়তানের অনুসরণের কারণে আফসোস করতে থাকবে। অন্য দিকে আল্লাহর আহ্বানে সাড়া না দেয়ার কারণে হুমকি ধমকি হতে থাকবে। এদিকে শয়তান তার বক্তব্যে তাদের ভীষণভাবে ধিক্কার…
Read Moreমুমিনের সফলতা যেখানে
মাওলানা শিব্বীর আহমদ : সফলতা কে না চায়? প্রতিটি সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষ সফল হতে চায় আপন কর্মে আপন ক্ষেত্রে। যেখানেই সে বিচরণ করে, সেখানেই সফলতা অর্জন করতে চায়। এ সফলতা ব্যক্তি, ক্ষেত্র, লক্ষ্য ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই একজন মুমিনও সফল হতে চাইবে তার জীবনে। সে বিশ্বাস করেÑ এ জীবনের প্রান্থ খুব দূরে নয়। এর পর শুরু হবে এক অসীম জীবনের পথে চলা। মনে প্রাণে যে এ বিশ্বাস লালন করে, তার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে আখেরাতের জীবন। হয়তো সে সফলতা কামনা করবে দুই জীবনেই। কিংবা সসীম দুনিয়ার জীবন কোনভাবে…
Read Moreযে ভালবাসা ঈমানের দাবী
উসমান বিন আব্দুল আলী : সাহাবায়ে কেরাম রা. -এর প্রতি মুহাব্বত হযরত সাহাবায়ে কেরামের প্রতি ভালবাসা রাখা ঈমানের অংশবিশেষ। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন- ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকূকারী, সিজদাকারী অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকে। আল-ফাত্হ: ২৯ তিনি আরো বলেন- ‘অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে আপনার হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছিল; অতঃপর তিনি তাদের অন্তরে কি ছিল তা জেনে নিয়েছেন,…
Read Moreকবীরা গুনাহ সমূহের বর্ণনা
এ, এস, এম, রফিকুল ইসলাম নোমান : আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাসের উপর অটল থাকতে হলে আমাদেরকে কবীরা ও সগীরা গুনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। তবে কবীরা গুনাহ মারাত্মক, যা মানুষদেরকে কুফুরী ও মোনাফেকির দিকে ধাবিত করে। গুনাহ দুই প্রকার। এক, সগীরা (ছোট গুনাহ) দুই. কবীরা (বড় গুনাহ)। যে গুনাহ সম্পর্কে কুরআন বা হাদীসে শাস্তির বিধান রয়েছে অথবা কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে তাকে কবীরা গুনাহ বলে। কোনো কোনো কবিরা গুনাহ অন্য কবিরা গুনাহ থেকে বড়। যেমন কুফরি করা, শিরক করা সবচেয়ে বড় গুনাহ। নিম্নে কিছু কবিরাগুনাহ কুরআন ও হাদীস থেকে বর্ণনা করা…
Read Moreপবিত্র কুরআনের আলোকে পর্দা
সৈয়দা সুফিয়া খাতুন : পবিত্র কুরআনের সাতটি আয়াতে মহিলাদের পর্দার বিধান বর্ণিত হয়েছে। চারটি আয়াত সূরা আহযাবে, তিনটি আয়াত সূরা নূরে বিবৃত হয়েছে। এসব আয়াতে পর্দার বিধি-বিধানের পূর্ণ বিবরণ বর্ণনা করা হয়েছে। পর্দা সম্পর্কিত প্রথম আয়াত ঃ “আর যখন নবীপতœীদের কাছে তোমরা কোন সামগ্রী চাইবে তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে; এটি তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র।” (আয়াত ৫৩, সূরা আহ্যাব) আয়াতে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, নবীপতœীগণ তোমাদের সাথে পর্দা করবেন। তোমরা নবী পতœীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। তবে প্রয়োজনে কথা বলতে দোষ নেই; কিন্তু…
Read More