বিশ্বের এক নাম্বার বিউটিফুল গার্ল ‘ক্রিস্টিনা পিমেনভ’

ক্রিস্টিনা পিমেনভ

১২ লক্ষ ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার, ৪ লক্ষ ফেসবুক ফ্যান। এই পরিসংখ্যান কোনো সেলিব্রেটির নয়। দশ বছরের একটি ছোট্ট মেয়ে ‘ক্রিস্টিনা পিমেনভ’ যাকে নিয়ে এই মুহুর্তে তোলপাড় ফ্যাশান দুনিয়া। তবে খবর এটা নয়।     ফ্যাশান দুনিয়ার যে খবর চমকে দিয়েছে সকলকে তা হলো এই একরত্তি মেয়ের পকেটে এখন বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত মডেল এজেন্সি ‘এল এ মডেলস’ এর কন্ট্র্যাক্ট। আর এই কন্ট্র্যাক্টে ছোট্ট ‘সগপার মডেল’-এর গায়ে থাকবে ‘দ্য মোস্ট বিউটিফুল গার্ল ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর তকমা। প্রাক্তন রুশ ফুটবলার রুশলান পিমেনভের মেয়ে ক্রিস্টিনা পিমেনভের কাছে মডেলিং কোনো নতুন বিষয় নয়। তিন বছর বয়স থেকেই…

Read More

বিপদগ্রস্ত মুসলিম দেশগুলোর জন্য সকলের কাছে দোয়ার আহব্বান!

প্রথমেই জানতে চাইব একটা প্রশ্নের-উত্তরঃ মহাত্না গান্ধী বাদে ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের একজন প্রধান নেতার নাম বলুনতো। আপনার উত্তর যদি হয়ঃ "বহগাত শিং" বাদে অন্যকেও বা অন্যকিছু বা না জেনে থাকেন তবে আপনি লিখাটি সাধারণ ভাবেই পাঠ করেন আর যদি আপনার উত্তর হয়ঃ "বহগাত শিং" তবে আপনার জন্য এই লিখাতে রয়েছে ভয়ংকর কিছু তথ্য। আপনার জন্য রয়েছে খুব দ্রুত অন্ধ হয়ে যাবার ভয়। চলুন ফিরে যাই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে (১৯২০ সালে)। ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে আলেম -ওলামাদের ভুমিকা অবিস্মরণীয়। ভারতবর্ষের পুর্ন স্বাধীনতার দাবী সর্ব-প্রথম উঠাণ আল্লামা আজাদ সুবহান। এই অপরাধের ১৯২০ সালে আল্লামা আজাদ সুবহানকে মহাত্না গান্ধীর সাথে কারাবরণও কারতে হয়। শুধু যে আল্লামা আজাদ সুবহান, ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের সাথে যুক্ত ছিলেন তাও নয়। সেই সংগ্রামে আল্লামা আজাদ সুবহান সাথে ছিলেন আল্লামা হাসরত মোহানি, মাওলানা মোহাম্মাদ আলি, মাওলানা শওকত আলি সহ আরও অনেক আলেম-ওলামা। তারা সংগ্রাম করতে গিয়ে দিনের পর দিন সহ্য করেছেণ জেল-জুলুম-অত্যাচার, কিন্তু তারা পিছ পা হননি। তারা ছিলেন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আপসহীন। "Maulana Hasrat Mohani (1875–1951) was a romantic poet of Urdu language, journalist, politician, parliamentarian and a fearless freedom fighter of Indo-Pak Sub-continent. " অথচ আমাদের এই বর্তমান সমাজ এক প্রকার তাদের ভুলেই গিয়েছে। একশ জনের মধ্যে হাতেগোনা দুই-একজন তাদের নাম জানে কিনা সন্দেহ। ছোট বেলায় তিতুমিরের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাস শুধুমাত্র পাঠ্যবইতেই পড়েছি। তাই তিতুমিরের সম্পর্কে আমাদের কিছুটা জ্ঞ্যান থাকলেও নেই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের অন্যতম প্রধান সকল আলেম-ওলামা-দের সম্পর্কে বিন্দু পরিমান জ্ঞ্যান। ভাবতে অবাক লাগে আমরা মুসলিম হয়েও কখনও জানিনি আমাদের নিজেদের গৌরবময় সকল ইতিহাসের কথা। জানিনি বাকশাল ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম মনিষীদের আপসহীন লড়াই। এবার আমি আমার মুল আলোচনায় ফিরে আসি, কিভাবে আমরা ভারতীয় মিডিয়া বা ফিল্ম এর মাধ্যমে প্রভাবিত হচ্ছি। প্রথমেই একটি প্রশ্ন করি ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের http://upload.wikimedia.org/wikipedia/en/thumb/d/d2/Bhagatsinghlegend.jpg/220px-Bhagatsinghlegend.jpgএকজন বীরের নাম বলুনতো? হয়ত অনেকেই বলতে পারবেন না আবার কেও কেও বলতে পারবেন। কিন্তু এক পক্ষ আছে যারা বলবে "বহগাত শিং", আমার ক্ষোভ বা কষ্ট শুধুই তাদের নিয়ে, তারাই স্পষ্ট ভাবে বিভ্রান্ত এবং এক প্রকার নির্বোধ মানুষ। কারন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামে তেমন কোন বড় ভুমিকায় যে বহগাত শিং ছিলেন তা কিন্তু নয়। অনেক মুসলিম মনিষীই সে দিনের সেই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের মুখ্য ভুমিকা পালন করেও আজ তারা আমাদের কাছে বড়ই অপরিচিত। অথচ ঠিকি জেনে নিয়েছিলাম বহগাত শিং-এর কথা। বহগাত শিং-কে আমরা কোথা থেকে চিনলাম? বহগাত শিং-এর ইতিহাস আমরা কি করে জানলাম? স্পষ্ট উত্তর ভারতীয় একটি চলচিত্র "বহগাত শিং"-এর মাধ্যমে । যদি আমার এই উত্তরের সাথে আপনি একমত হোন, তবে স্পষ্টভাবে বলা যেতে পারে, ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম থেকে সেই কিছু বিভ্রান্তি এবং নির্বোধ মানুষ আজ ইতিহাসও শিক্ষা নেয় । তবে যারা ইতিহাস পড়ে "বহগাত শিং" এর ইতিহাস জেনেছে তাদের নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটি একটি উদাহারন মাত্র এর বেশি কিছু নয়। উপরের আলোচনা থেকে শুধু এতটুকুই আমি বুঝাতে চেয়েছি যে আজ আমরা বা আমাদের একটা শ্রেনী ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম -এর প্রতি এতটাই বেশি আসক্ত যে, তাদের ফিল্ম থেকে আমরা শিক্ষা খোঝার চেস্টা করি। আপনি কতজন এমন ব্যাক্তি দেখেছেন যারা "বহগাত শিং" সিনেমটা দেখে ইতিহাসের সাথে মিলিয়ে দেখার জন্য বই কিংবা অনলাইন ঘাটা-ঘাটি করেছে? হয়ত উত্তর হবে একজনও নয় । আবার যদি প্রশ্ন হয় "বহগাত শিং" সিনেমটা দেখে কতজন "বহগাত শিং"-কে ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম প্রধাণ হিসাবে মেনে নিয়েছে? হয়ত উত্তরটা হবে খুব সহজঃ প্রায় সবাই...। বা ১০০ জনে ৯০ জন। তাহলে কি এই আলোচনা থেক এতটুকু স্পষ্ট নয় যে আজ আমারা ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম ধারায় ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত? আজ আমরা ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম এর মধ্যে শিক্ষা খুঁজে বেরাই । এটাই তাহলে প্রমান হচ্ছে না যে আমার আজ ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম কে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করতে শিখেছি, তাই নয় কি? যারা শুধুমাত্র আনন্দ বা বিনোদনের জন্য ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম দেখেন তাদের ব্যাপারেও বিশেষ কিছু বলবার নেই। কিন্তু যারা এ থেকে শিক্ষা নিয়ে বা ইতিহাস জানেন তাদের জন্যই আমার এই লিখা। ভাবতে অবাক লাগে আমাদের দেশের কিছু মিডিয়া বা লেখক তাদের লেখায় সেই "বহগাত শিং" এর বর্ননা স্থান পেলেও, পাইনি ব্রিটিশ স্বাধীনতার সংগ্রামের অন্যতম প্রধান আল্লামা আজাদ সুবহান, আল্লামা হাসরত মোহানি, মাওলানা মোহাম্মাদ আলি, মাওলানা শওকত আলি সহ অন্যান্ন মুসলিম মনিশিদের কথা। আরও হাসি পায় তাদের কিছু লিখা পড়ে, যেখানে "বহগাত শিং" এর বর্ননা হুবুহু সিনামার মত করে দিয়েছেন। আসলে তারাও ইতিহাসের "ই" জানেন না তারাও ভারতিয় সিনামার থেকে ইতিহাশ জেনে দু-একটা কলাম লিখেন আর কি। সর্ব শেষে বলব "বহগাত শিং" একজন বীর ছিলেন কিন্তু এই আলোচনায় তার কথা শুধুমাত্র উধাহারন স্বরূপ নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের একজন বীর ছিলেন কিন্তু মুখ্য কোন ভুমিকায় ছিলেন না। এ আলোচনায় এটাই ফুটিয়ে তুলার চেস্টা করা হয়ছে যে, ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম আজ আমাদের (বা আমাদের একটা অংশকে) এমন ভাবে নিয়ন্ত্রন করছে যে আমাদের ইতিহাস শিক্ষা দিতে পারে। আমাদের কিছু মানুষকে তারা অন্ধ করে ফেলতে পেরেছে। একজন সাধারন যুদ্ধা কে ইতিহাস বদলে প্রধানের কাঠগড়ায় দাড় করাতে পারে। এটা কি আমাদের জন্য ভয়ংকর কোন পুর্ভাবাস নয়? এটা কি আমাদের জন্য খুব শিঘ্রই অন্ধ হয়ে যাওয়ার ইংগিত নয়?

 Ya Allah help the Muslims of Palestine. Ya Allah help the Muslims of Syria. Ya Allah help the Muslims of Burma. Ya Allah help the Muslims of Gaza. Ya Allah help the Muslims of Somalia. Ya Allah help the Muslims of Egypt. Ya Allah help the Muslims of Libya. Ya Allah help the Muslims of Iraq. Ya Allah help the Muslims of Kashmir. Ya Allah help the Muslims of Chechnya. Ya Allah help the Muslims of Afghanistan. Ya Allah help the Muslims of Pakistan. Ya Allah help the Muslims of…

Read More

❑ অ্যামেরিকা থেকে পাঠানো এক বোনের মেসেজঃ

প্রথমেই জানতে চাইব একটা প্রশ্নের-উত্তরঃ মহাত্না গান্ধী বাদে ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের একজন প্রধান নেতার নাম বলুনতো। আপনার উত্তর যদি হয়ঃ "বহগাত শিং" বাদে অন্যকেও বা অন্যকিছু বা না জেনে থাকেন তবে আপনি লিখাটি সাধারণ ভাবেই পাঠ করেন আর যদি আপনার উত্তর হয়ঃ "বহগাত শিং" তবে আপনার জন্য এই লিখাতে রয়েছে ভয়ংকর কিছু তথ্য। আপনার জন্য রয়েছে খুব দ্রুত অন্ধ হয়ে যাবার ভয়। চলুন ফিরে যাই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে (১৯২০ সালে)। ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে আলেম -ওলামাদের ভুমিকা অবিস্মরণীয়। ভারতবর্ষের পুর্ন স্বাধীনতার দাবী সর্ব-প্রথম উঠাণ আল্লামা আজাদ সুবহান। এই অপরাধের ১৯২০ সালে আল্লামা আজাদ সুবহানকে মহাত্না গান্ধীর সাথে কারাবরণও কারতে হয়। শুধু যে আল্লামা আজাদ সুবহান, ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের সাথে যুক্ত ছিলেন তাও নয়। সেই সংগ্রামে আল্লামা আজাদ সুবহান সাথে ছিলেন আল্লামা হাসরত মোহানি, মাওলানা মোহাম্মাদ আলি, মাওলানা শওকত আলি সহ আরও অনেক আলেম-ওলামা। তারা সংগ্রাম করতে গিয়ে দিনের পর দিন সহ্য করেছেণ জেল-জুলুম-অত্যাচার, কিন্তু তারা পিছ পা হননি। তারা ছিলেন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আপসহীন। "Maulana Hasrat Mohani (1875–1951) was a romantic poet of Urdu language, journalist, politician, parliamentarian and a fearless freedom fighter of Indo-Pak Sub-continent. " অথচ আমাদের এই বর্তমান সমাজ এক প্রকার তাদের ভুলেই গিয়েছে। একশ জনের মধ্যে হাতেগোনা দুই-একজন তাদের নাম জানে কিনা সন্দেহ। ছোট বেলায় তিতুমিরের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাস শুধুমাত্র পাঠ্যবইতেই পড়েছি। তাই তিতুমিরের সম্পর্কে আমাদের কিছুটা জ্ঞ্যান থাকলেও নেই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের অন্যতম প্রধান সকল আলেম-ওলামা-দের সম্পর্কে বিন্দু পরিমান জ্ঞ্যান। ভাবতে অবাক লাগে আমরা মুসলিম হয়েও কখনও জানিনি আমাদের নিজেদের গৌরবময় সকল ইতিহাসের কথা। জানিনি বাকশাল ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম মনিষীদের আপসহীন লড়াই। এবার আমি আমার মুল আলোচনায় ফিরে আসি, কিভাবে আমরা ভারতীয় মিডিয়া বা ফিল্ম এর মাধ্যমে প্রভাবিত হচ্ছি। প্রথমেই একটি প্রশ্ন করি ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের http://upload.wikimedia.org/wikipedia/en/thumb/d/d2/Bhagatsinghlegend.jpg/220px-Bhagatsinghlegend.jpgএকজন বীরের নাম বলুনতো? হয়ত অনেকেই বলতে পারবেন না আবার কেও কেও বলতে পারবেন। কিন্তু এক পক্ষ আছে যারা বলবে "বহগাত শিং", আমার ক্ষোভ বা কষ্ট শুধুই তাদের নিয়ে, তারাই স্পষ্ট ভাবে বিভ্রান্ত এবং এক প্রকার নির্বোধ মানুষ। কারন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামে তেমন কোন বড় ভুমিকায় যে বহগাত শিং ছিলেন তা কিন্তু নয়। অনেক মুসলিম মনিষীই সে দিনের সেই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের মুখ্য ভুমিকা পালন করেও আজ তারা আমাদের কাছে বড়ই অপরিচিত। অথচ ঠিকি জেনে নিয়েছিলাম বহগাত শিং-এর কথা। বহগাত শিং-কে আমরা কোথা থেকে চিনলাম? বহগাত শিং-এর ইতিহাস আমরা কি করে জানলাম? স্পষ্ট উত্তর ভারতীয় একটি চলচিত্র "বহগাত শিং"-এর মাধ্যমে । যদি আমার এই উত্তরের সাথে আপনি একমত হোন, তবে স্পষ্টভাবে বলা যেতে পারে, ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম থেকে সেই কিছু বিভ্রান্তি এবং নির্বোধ মানুষ আজ ইতিহাসও শিক্ষা নেয় । তবে যারা ইতিহাস পড়ে "বহগাত শিং" এর ইতিহাস জেনেছে তাদের নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটি একটি উদাহারন মাত্র এর বেশি কিছু নয়। উপরের আলোচনা থেকে শুধু এতটুকুই আমি বুঝাতে চেয়েছি যে আজ আমরা বা আমাদের একটা শ্রেনী ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম -এর প্রতি এতটাই বেশি আসক্ত যে, তাদের ফিল্ম থেকে আমরা শিক্ষা খোঝার চেস্টা করি। আপনি কতজন এমন ব্যাক্তি দেখেছেন যারা "বহগাত শিং" সিনেমটা দেখে ইতিহাসের সাথে মিলিয়ে দেখার জন্য বই কিংবা অনলাইন ঘাটা-ঘাটি করেছে? হয়ত উত্তর হবে একজনও নয় । আবার যদি প্রশ্ন হয় "বহগাত শিং" সিনেমটা দেখে কতজন "বহগাত শিং"-কে ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম প্রধাণ হিসাবে মেনে নিয়েছে? হয়ত উত্তরটা হবে খুব সহজঃ প্রায় সবাই...। বা ১০০ জনে ৯০ জন। তাহলে কি এই আলোচনা থেক এতটুকু স্পষ্ট নয় যে আজ আমারা ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম ধারায় ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত? আজ আমরা ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম এর মধ্যে শিক্ষা খুঁজে বেরাই । এটাই তাহলে প্রমান হচ্ছে না যে আমার আজ ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম কে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করতে শিখেছি, তাই নয় কি? যারা শুধুমাত্র আনন্দ বা বিনোদনের জন্য ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম দেখেন তাদের ব্যাপারেও বিশেষ কিছু বলবার নেই। কিন্তু যারা এ থেকে শিক্ষা নিয়ে বা ইতিহাস জানেন তাদের জন্যই আমার এই লিখা। ভাবতে অবাক লাগে আমাদের দেশের কিছু মিডিয়া বা লেখক তাদের লেখায় সেই "বহগাত শিং" এর বর্ননা স্থান পেলেও, পাইনি ব্রিটিশ স্বাধীনতার সংগ্রামের অন্যতম প্রধান আল্লামা আজাদ সুবহান, আল্লামা হাসরত মোহানি, মাওলানা মোহাম্মাদ আলি, মাওলানা শওকত আলি সহ অন্যান্ন মুসলিম মনিশিদের কথা। আরও হাসি পায় তাদের কিছু লিখা পড়ে, যেখানে "বহগাত শিং" এর বর্ননা হুবুহু সিনামার মত করে দিয়েছেন। আসলে তারাও ইতিহাসের "ই" জানেন না তারাও ভারতিয় সিনামার থেকে ইতিহাশ জেনে দু-একটা কলাম লিখেন আর কি। সর্ব শেষে বলব "বহগাত শিং" একজন বীর ছিলেন কিন্তু এই আলোচনায় তার কথা শুধুমাত্র উধাহারন স্বরূপ নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের একজন বীর ছিলেন কিন্তু মুখ্য কোন ভুমিকায় ছিলেন না। এ আলোচনায় এটাই ফুটিয়ে তুলার চেস্টা করা হয়ছে যে, ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম আজ আমাদের (বা আমাদের একটা অংশকে) এমন ভাবে নিয়ন্ত্রন করছে যে আমাদের ইতিহাস শিক্ষা দিতে পারে। আমাদের কিছু মানুষকে তারা অন্ধ করে ফেলতে পেরেছে। একজন সাধারন যুদ্ধা কে ইতিহাস বদলে প্রধানের কাঠগড়ায় দাড় করাতে পারে। এটা কি আমাদের জন্য ভয়ংকর কোন পুর্ভাবাস নয়? এটা কি আমাদের জন্য খুব শিঘ্রই অন্ধ হয়ে যাওয়ার ইংগিত নয়?

আমাদের পরিবার জানে আমার স্বামী অ্যামেরিকাতে একটা কলেজে পড়ায়। পিএইচডি করছে। আমিও তাই জানি। কিন্তু অ্যামেরিকায় আসার পর বুঝলাম প্রবাস কি!! অ্যামেরিকায় আসার এক মাস পরই আমাকে উপার্জনের জন্য বাইরে যেতে হল। ওর একার উপার্জনে অ্যামেরিকার মত শহরে থাকা অসম্ভব। “ও আমায় তাই বোঝাল”। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত একটা সুপার শপে, আর বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত একটা ফাস্ট ফুড শপে কাজ করতাম। সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করতাম । হাতে টাকা আসতে লাগল। ওর সাথে দেখাই হয় না। আমি যখন ফিরি তখন সে ঘুমিয়ে থাকে। আর যখন আবার কাজে যাই সে…

Read More

আজ বাংলাদেশে ৯০% হয়েও মুসলিমরাই আজ সংখালঘু

নাহ! আজকের সকল দালাল বলেন আর রাজাকারি কিংবা নিরপেক্ষ অথবা নাস্তিক সাপোর্টার সকল পত্রিকাই কেন যেন খুব নিরপেক্ষ হয়ে গিয়েছে বলে মনে হল। তাই টি.ভি. চালিয়ে বসলাম, টি.ভি. চালু হতেই আমি হতবাগ! এ কি দেখছি আমি? চ্যানেল ৭১ দেখাচ্ছে মোল্লা, অশিক্ষত কিংবা জংগিদের ( ঐ সকল মেডিয়ার ভাসায় হুজুর কিংবা ইনারা বেশির ভাগ সময়ই জংগিবাদ ) আলোচনা? উফ! আমার মনে হল আমি যেন স্বপ্ন দেখছি! নাহ টি.ভি. দেখে আর পোষাবে না বুঝলাম ল্যাপটপ নিয়ে অনলাইনে একটু ভ্রমন করে আসি। অনলাইনের নামি দামি সব এমনকি ইসলাম বিদ্দেশি পত্রিকাগুলয় হুজুরদের দালালি করছে? এটা কি সপ্ন দেখছি? নাকি বাস্তব? বরং বর্তমান সময়ের কিছু মিডিয়া যারা ইসলামের পক্ষে লিখতে গিয়ে বিতর্কিত, তাদের পাতায় এ ধরনের কোন সংবাদি আমার চোখে পরলোনা! আমি তো আরও হতবাগ হয়েগেলাম! এটা কি করে সম্ভব? (দেশের কিছু নামি দামি পত্রিকার হেডলাইন, অপরদিকে 'আমার দেশ" পত্রিকার হেড-লাইন!) আছতে আছতে চোখ থেকে ঘুম যখন সরে যেতে শুরু করল তখন সব কেমন যেন স্পষ্ট হতে শুরু করল? প্রথমেই যে প্রশ্ন মনে আসল ইনারা (হুজুর কিংবা উলামারা) মিছিল করছেন? আপনি ভাবছেন এতে কি সমস্যা মিছিলতো করতেই পারে? হুম্ম আমিও তাই বলছি মিছিলতো করতেই পারে কিন্তু প্রশ্ন যেখানে দুদিন পুর্বেও মিছিল-মিটিং তো দুরের কথা জুমার নামাজে সরিক হতে গিয়ে পুলিশের ধোলাই খেয়েছে, গুলি খেয়েছে অন্তত ২০০-৩০০ জনের বেশি মুসল্লি। সেখানে আজ পল্টনের মত একটা স্থানে রাস্তা বন্ধ করে সসম্মানে পুলিশি নিরাপত্তায় মিছিল-মিটিং করছে? শুরুতে বলতে ইচ্ছে করছিল যে বাহ! কি সুন্দর আমাদের গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা , যেখানে হুজুরদের জন্যেও এত সম্মানের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু পরক্ষনেই বুজা হয়েগেল যে এটা একটা সাজান নাটক এবং যারা লিখছেন তাদের হাত খুব কাঁচা, অর্থাৎ খুব কাঁচা হাতে লিখা একটা নাটক। সাধারন মানুষ না একটা শিশুও খুব সহজেই বুজতে পারবে এই নাটকটা। (আজকের মঞ্চের কিছু চিত্র।) দ্বিতীয় যে প্রস্ন দেখা দিল মনের মধ্যেঃ যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ জুমার পর ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা অন্নান্য শহরে পর পর কয়েক শুক্রুবার জমায়েত হয়েছিল ইসলাম অবমাননাকারীদের বিচার চেয়ে সেইদিন আজকের এই টি.ভি., পত্রিকা বা অনালাইন নিউজ পোর্টালগুল এমন ভাবে উপাশ্তহাপন করে ছিল যেন এরা সবাই জংগি, এরা সবাই রাজাকারের আত্মীয়, এরা বাংলাদেশের সাধিনতা বিরোধী ইত্যাদি। অথচ এই হুজুররাই আজকে এনাদের পাতায় ভাল, ধর্মগুরু। তাহলে কি এই সকল পত্রিকাগুলর সাংবাদিক, সম্পাদক থেকে সকলেই বদলি হয়ে গেলেন রাতা-রাতি? নাকি এই উলামারা সেই উলামা নন? নাকি আজ এই হুজুর-রা হলুদ সাংবাদিকদের পয়সা দিয়ে কিনে নিয়েছেন? (বিগত কয়েক শুক্রুবার সাধারন মুসল্লিদের জমায়েতের কিছু চিত্র।) তৃতীয় যেই প্রশ্নটা চলে আশে তা হচ্ছে প্রতিটি ছবিয় বা ভিডিওই এমন ভাবে ধারন করা হয়েছে যেন মনে হয় হজার-হাজার মানুষ এই উলামাদের সাথে রয়েছে, অথচ বাস্তবে এখন পর্জন্ত কোন প্রতিষ্ঠিত আলেম তো দুরের কথা সাধারন জ্ঞ্যান রাখে ধর্ম সম্পর্কে এরকম মানুষই এটা কে সমর্থন করেনি। মাত্র ২০০-৩০০ মানুশের সমাগম হয়েছে। অথচ এই ২০০-৩০০ জন মানুষকে ৩০,০০০ বানিয়ে দিতেও ভুলে করে নাই অনেক মিডিয়া। দুঃখ জনক হলেও সত্য মেডিয়াগুল কি সাধারন মানুশকে এত টা বোকা মনে করে? (আজকের ছবিগুলো আবার একটু খেয়াল করে দেখুন!) শেষ আবার একটা কথা বলি অনেকেই মনে মনে ঠিক করে রেখেছেন হয়ত বলবেন পুলিশ ওইদিন আঘাত করেছিল উলামা কিংবা সাধারন মুসল্লিদের উপরে নয় জামাতের উপরে তবে আমি বলব শুক্রুবার নামাজের পর প্রায় প্রতিটি আয়োজনি ছিল কওমি দের যাদের জামাতের সাথে কোন সম্পর্ক নেই, বরং এরা জামাত বিরোধী। কিন্তু এদের কে মিডীয়ারা বরাবরের মতই ব্যার্থ ভাবে স্রতাদের কাছে দেশ বিরোধী শক্তি হিশাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কতটুকু সফল তারা? আমার মনে হয় ০.০০% সফলতা তারা পেয়েছে। (কিছু মুসল্লির ছবি।) তারা (আজকের এই মিডিয়ারা) কি চায় এমন গুরু হতে যাদের কাছ থেকে সাধারন মানুষ ইসলামও শিখবে আবার ইসলাম বিদ্বেষীও তাদেরই কাছ থেকে শিখতে হবে? আজ তাদের ব্যাপারটা এমন যেন তারাই ঠিক করে দিবে কে ভাল, কে খারাপ, কাকে মানতে হবে, কাকে মানতে হবে না, কাকে মারতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। ভুলে গেলে চলবে না মেডিয়ার কাজ জনমত তূলে ধরা, ইচ্ছে মত জনমত তৈরী করা নয়। আর যদি ইচ্ছে মত জনমত তৈরী করে যেতেই থাকে এবং এভাবেই আরও অনেকটা দিন কেটে যায় তবে মনে হয় এই সকল মিডিয়ার সংবাদ দেখা কিংবা পড়ার মানুষ খুজে পেতে কস্ট হবে।

আজ বাংলাদেশে হিন্দুরা সংখালঘু নয়, বরং তারাই সংখাগরিষ্ঠ, ৯০% হয়েও মুসলিমরাই আজ সংখালঘু . কীভাবে জানতে চান? প্রমাণ করে দিচ্ছি- ১. মুসলিমরা সংখালঘু বলেই এদেশে পুলিশ বুট দিয়ে মসজিদ মাড়িয়ে সব তছনছ করে দিতে পারে। এবং মসজিদে জুতা নিয়ে প্রবেশ করার পর কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি, মিডিয়া গুলো ছিলো নির্বিকার, কোন মন্দিরে এই ঘটনা ঘটলে দেখতেন প্রতিবাদ কাকে বলে। ২. এদেশে পুলিশ বয়স্ক মুসলিম দের দাঁড়ি ধরে টেনে মাটিতে ফেলে বুট দিয়ে লাথি মারে, পাঞ্জাবি ছিরে ফেলে, সুশীল সমাজ তখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়… ৩. হিন্দুরা সংখাগরিষ্ঠ বলেই তারা আজ…

Read More

শত্রু ও মিরজাফররা সর্বদা পিছনে লেগেই থাকবে

আল মুহাজির শাইখ "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ"-এর মুজাহিদ ভাইদের নিকট অত্যন্ত বিনয়ের সহিত বলতে চাই, "হেফাযতে ইসলাম"-এর কোন বিষয় যদি আপনাদের নিকট অবোধগম্য http://sphotos-f.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/545969_400993560008614_1797467106_n.jpg থেকে যায় তাহলে মেহেরবানী করে "হেফাযতে ইসলাম"এর মাশায়েখদের সাথে কথা বললে ভালো হয়। কেননা, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন যে, আল্লামা শাহ আহমাদ শফী হাফিযাহুল্লাহ সহ "হেফাযতে ইসলামী"র কোন নেতা ফেসবুক চর্চা করেন না। ফলে ফেসবুকে আপনাদের হাঁসফাঁসগুলো কেবল গীবতেরই অন্তর্ভুক্ত এবং মুসলিম ঐক্যের চরম পরিপন্থী। সবচে' বড় বিপদ সংকেত হলো, আল্লাহ তা'আলার মেহেরবানীতে আজকের লংমার্চ পরিপূর্ণ সফল হয়েছে এবং এতে বাতিলের ভীতে কম্পন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই বিজয় থেকে মুসলিমদেরকে আবারো বিচ্যুত করতে শয়তান মরণ-কামড় স্বরূপ কিছু একটা করতে চেষ্টা করছে। "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ" এর মুজাহিদ ভাইসহ সকলকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। ( ইসলামের শ্ত্রুরা যেন কোন সুজোগ না নিতে পারে, অন্দোলন শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য )

শধু মঞ্চে না উঠতে না দিলেই কি ঐক্য ভেঙ্গে দেয়া হবে। হেফাজতের বিরোধিতা করতে হবে? বৃহত্তর সার্থে এটুকু কোরবাণী করা সম্ভব নয়? হুজর তো মহান ব্যক্তিত্ব ও উদার!! হুজুরের কাছে কি আমরা এ মহানুভবতা আসা করতে পারি না? আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন। আল্লাহর ওয়াস্তে সব ভুলে যান। অপ প্রচার করবেন না!! আপনাদের অনুরোধ করছি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। অপপ্রচার করবেন না। আমরা বিভক্তি হলে লাভ শুধু শত্রূ দের। আমদের শুধু ক্ষতি!! বিভক্তি হলে হেফাজতের আন্দোলনে কষ্টার্যিত ফল ঘরে তূলবে বি, এন, পি জামাত। আর হেফাজমকে বলা হবে জামাতের অংশ। আর সকল…

Read More

আল্লাহ তা’আলার মেহেরবানীতে আজকের লংমার্চ পরিপূর্ণ সফল হয়েছে।

একদল মুমিন যখন এক হয় তখন কিছু মুনাফিক, সয়তান তাদের বিভক্ত করতে বরাবরের মতই ব্যার্থ চেস্টা চালিয়ে যায়। তারা চায় মুমিনদের সে জোট বা ঐক্য ভেংগে যাক, মুমিনরা যেন জোট বা ঐক্য গড়তে না পারে। এমন ঘটনা ইসলামে অনেক রয়েছে। যেহুতু আমি আলেম কিংবা এই ব্যপারে বিস্তর জ্ঞ্যান রাখিনা বা অজ্ঞ তাই কোন হাদিশ কিংবা ঐতিহাসিক প্রমান দিতে পারলাম না। তারপরও আমরা জানি হাদিশে আছে "একজন মুমিন/মুমিনাত যখন নামায পড়েন তখন সয়তান বিভিন্ন ভাবে তাকে ধোঁকা দেওার চেষ্টা করে জেন তার নামযে মনোযোগ বিনষ্ট হয় এবং নামায নষ্ট হয়। কারন নামাযে মনোযোগ নষ্ট হলে নামায বাতিল হয়ে যায়। " সেই ব্যাক্তি বা সেই মুমিনের নামায যেন পুর্নতা না পায় অর্থাৎ মুল বিষয় হচ্ছে সয়তান বরাবরের মতই চেস্টা চালিয়ে যায় মুমিন বা মুমিনরা যেন বরাবরের মতই পথ ভ্রস্ট হয় এবং তার মুল লক্ষ্যে না পৌছাতে পারে। ঠিক তেমনি ভাবে হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সর্ব বিহত সমাবেশের মুল উদ্দ্যেশ্য নস্ট করতে সয়তান ভিবিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি অনেক ভাবে ভ্রান্ত করার চেস্টা চালিয়েছিল, চালাচ্ছে এবং চালাবে। আমার আজকের আলোচনা ঠিক এই বিষয়েই। কিছু মানুষরূপী সয়তান, কিছু সয়তান রুপি মিডিয়া যারা বরাবরের মতই ইসলাম বিদ্বেষী এবং নাস্তিকদের পক্ষ অবলম্বন করেছে, সেই সকল মিডিয়া আজ বড়য় হতাশ ।"হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সর্ব বিহত সমাবেশ" দেখে। তারা সমাবেশের পুর্বে এটা জামাতের, এটা রাজকারদের পক্ষের, এটা স্বাধীনতা বিরোধী দলের, ইত্যাদি, ইত্যাদি সংবাদ করে। কিন্তু তাজ্জব এক ব্যাপার হলেও সত্য এত ভিভ্রান্ত আর কুৎসা রটানোর পরও ক্ষমতাধর এবং বাম দের হাজার বাধা অতিক্রম করে শেষ পর্জন্ত সফল ভাবে শেষ হয় এবং ইতিহাস হয়ে যায় হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সর্ব বিহত সমাবেশ। যখন দেখে তারা এই সমাবেশে ৫০ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছে তখন তারা মানুষকে ভিভ্রান্ত করার চেস্টা আরও বারিয়ে দেয়। (সিএনএনের দাবী ঢাকাতে ৩০ লক্ষ কিন্তু সারাদেশের সমাবেত মোট মানুষের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছারাবে বলে আমার বিশ্বাস) কিন্তু দুক্ষজনক হলেও সত্য তারা এতটাই নির্বোধ যে এমন এমন বিষয় নিয়ে ভিভ্রান্ত করার চেস্টা করে যা একটা সুস্থ মস্তিস্কের শিশুরও বুঝতে কস্ট হবে না। এমন কিছু ভিভ্রান্তিকর তথ্যের মধ্যে একটি হচ্ছে "হিফাজতে ইসলামের মঞ্চে জায়গা হল না চরমোনাই পীরের" অথবা "চরমোনাই দের মধ্যে ক্ষোভ, মঞ্চে নাই চরমোনাই পীর" ইত্যাদি ইত্যাদি। অবাক হই সয়তান রুপি http://sphotos-e.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash3/s480x480/531995_512655548791986_1806968786_n.jpgএই মিডিয়ার কার্জকলাপ দেখে। সয়তান যেমন মুমিনের জোট কিংবা ঐক্য সহ্য করতে পারে না, তিলে তিলে ধবংশ হয়ে যায় ঠিক তেমনি ভাবে এই মিডিয়াগুলোর অবস্থা! বাস্তবতা (আমি যতটুকু জানি) চরমোনাই পীর সাহেব আসতে পারেননি ঢাকাতে, এসেছিলেন চরমোনাই পীর সাহেবের ভাই। উনার উপস্থিতির সাথে সাথেই তিন-চার জন খেদমতের সাথী উনাকে মঞ্চে বসার বযবস্থা করে দেওয়ার জন্য জায়গা খালি করে দিতে ছুটে আসে কিন্তু উনি নিজ থেকেই তাদের নিষেদ করেন এবং মঞ্চের সামনের দিকে কোন প্রকার অহংকার কিংবা নেতা ভাব না দেখিয়েই মাটিতে বসে পরেন। ইহাই হাক্কানি আলেম উলামাদের একটি অন্যতম মহান গুন, নেই কোন অহংকার নেই কোন ক্যামেরার সামনে আসার চেস্টা। এই মহান ব্যাক্তিদের সকলের উদ্যেশ্য এক এবং অভিন্ন। এখন এই দু দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঝে কোন দন্ধ বা কোন্দল নেই যে তাও আমাদের কাছে স্পস্ট। তাই আশা করি পথ ভ্রস্ট এবং নাস্তিকবাদি মিডিয়ার কথায় ভুলে যাবেন না বরং মনে রাখবেন এরা এই ইসলামের ঐক্য ভাংতে পারলেই সফল। আমি যতটুকু দেখেছি : ৬ এপ্রিলে একজন ব্যক্তি কেও এই ব্যপার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখিনি। অথচ মিডিয়াদের চোখে মানুষের ক্ষোভ ঠিকি ধরা পরল, তাও আবার এমন সব মিডিয়াতেই ধরা পরল যাদের প্রথম পাতায় জায়গা হয়নি হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সর্ব বিহত সমাবেশের কথা। কি জঘন্য মিথ্যচার। ঘিন্যা রইল তোদের জন্য। চরমোনাই ও হেফজতে ইসলাম কে নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছরাচ্ছে , তাদের কথায় কান দিবেন না । কারন এই দু দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঝে কোন দন্ধ বা কোন্দল নেই । বরং যারা বিভ্রান্তি চরাচ্ছে তারা হেফাজতে ইসলামের ও কল্যাণ চায় না , চরমোনাইর ও কল্যাণ চায় না । বরং ঘোষণা করুন "ধর্মদ্রোহী নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে আমরাই হেফাজতে ইসলাম এবং ইসলামী রাজনীতিতে আমরাই চরমোনাই।" আজ এটুকুই, ধাপে ধাপে এই সকল নাস্তিকবাদি মিডিয়াদের সব ভিভ্রান্তির কথা আমি লিখব ইনশাআল্লাহ্‌ তবে আপনিও আপনার মুল্যবান মতামত (কমেন্ট) দিতে ভুলবেন না যা আমাকে লখতে সাহস এবং অনু-প্রেরনা যোগাবে। (বানান এবং ভাষাগত সকল ভুল ক্ষমার সুন্দর দৃশটিতে দেখবেন। পাশাপাশি আমার ভুল গুল মন্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরুন। আপনার মতামত অবশ্যই জানাবেন।)

আল মুহাজির শাইখ “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ”-এর মুজাহিদ ভাইদের নিকট অত্যন্ত বিনয়ের সহিত বলতে চাই, “হেফাযতে ইসলাম”-এর কোন বিষয় যদি আপনাদের নিকট অবোধগম্য থেকে যায় তাহলে মেহেরবানী করে “হেফাযতে ইসলাম”এর মাশায়েখদের সাথে কথা বললে ভালো হয়। কেননা, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন যে, আল্লামা শাহ আহমাদ শফী হাফিযাহুল্লাহ সহ “হেফাযতে ইসলামী”র কোন নেতা ফেসবুক চর্চা করেন না। ফলে ফেসবুকে আপনাদের হাঁসফাঁসগুলো কেবল গীবতেরই অন্তর্ভুক্ত এবং মুসলিম ঐক্যের চরম পরিপন্থী। সবচে’ বড় বিপদ সংকেত হলো, আল্লাহ তা’আলার মেহেরবানীতে আজকের লংমার্চ পরিপূর্ণ সফল হয়েছে এবং এতে বাতিলের ভীতে কম্পন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর…

Read More

সয়তান রুপি মিডিয়ার ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার। (চরমোনাই ও হেফজতেকে বিভ্রান্তি) (পর্ব-১)

আল মুহাজির শাইখ "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ"-এর মুজাহিদ ভাইদের নিকট অত্যন্ত বিনয়ের সহিত বলতে চাই, "হেফাযতে ইসলাম"-এর কোন বিষয় যদি আপনাদের নিকট অবোধগম্য http://sphotos-f.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/545969_400993560008614_1797467106_n.jpg থেকে যায় তাহলে মেহেরবানী করে "হেফাযতে ইসলাম"এর মাশায়েখদের সাথে কথা বললে ভালো হয়। কেননা, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন যে, আল্লামা শাহ আহমাদ শফী হাফিযাহুল্লাহ সহ "হেফাযতে ইসলামী"র কোন নেতা ফেসবুক চর্চা করেন না। ফলে ফেসবুকে আপনাদের হাঁসফাঁসগুলো কেবল গীবতেরই অন্তর্ভুক্ত এবং মুসলিম ঐক্যের চরম পরিপন্থী। সবচে' বড় বিপদ সংকেত হলো, আল্লাহ তা'আলার মেহেরবানীতে আজকের লংমার্চ পরিপূর্ণ সফল হয়েছে এবং এতে বাতিলের ভীতে কম্পন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই বিজয় থেকে মুসলিমদেরকে আবারো বিচ্যুত করতে শয়তান মরণ-কামড় স্বরূপ কিছু একটা করতে চেষ্টা করছে। "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ" এর মুজাহিদ ভাইসহ সকলকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। ( ইসলামের শ্ত্রুরা যেন কোন সুজোগ না নিতে পারে, অন্দোলন শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য )

একদল মুমিন যখন এক হয় তখন কিছু মুনাফিক, সয়তান তাদের বিভক্ত করতে বরাবরের মতই ব্যার্থ চেস্টা চালিয়ে যায়। তারা চায় মুমিনদের সে জোট বা ঐক্য ভেংগে যাক, মুমিনরা যেন জোট বা ঐক্য গড়তে না পারে। এমন ঘটনা ইসলামে অনেক রয়েছে। যেহুতু আমি আলেম কিংবা এই ব্যপারে বিস্তর জ্ঞ্যান রাখিনা বা অজ্ঞ তাই কোন হাদিশ কিংবা  ঐতিহাসিক প্রমান দিতে পারলাম না। তারপরও আমরা জানি হাদিশে আছে “একজন মুমিন/মুমিনাত যখন নামায পড়েন তখন সয়তান বিভিন্ন ভাবে তাকে ধোঁকা দেওার চেষ্টা করে জেন তার নামযে মনোযোগ বিনষ্ট হয় এবং নামায নষ্ট হয়। কারন…

Read More

তবে আর আমরা কবে সতর্ক হব? আজ আমাদের দেশে নারী নির্যাতন ভয়াবহ পর্যায়ে। তবে কি আমরাও একই পথে হাঁটতে থাকব? নাকি বদলে যাব?

indian army rape them

আমাদের প্রতিবেশী দেশ নিজের সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে যে ভুল করেছে সেই একই ভুল আজ আমরাও করছি,(  ধর্ষণের রাজধানী দিল্লি / ধর্ষণের শহর দিল্লি! )। তবে আর আমরা কবে সতর্ক হব? আজ আমাদের দেশে নারী নির্যাতন ভয়াবহ পর্যায়ে। তবে কি আমরাও একই পথে হাঁটতে থাকব? নাকি বদলে যাব?      নারী জাতির জন্মই যেন হয়েছে নির্যাতিত হওয়ার জন্য। নারীদের যেন নির্যাতিত হওয়ার জন্যই পাঠানো হয়েছে পৃথিবীতে। প্রতিদিন হাজার হাজার নারী নির্যাতিত হচ্ছেন তাদের নিজ পরিবারে। শুধু ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যেসব নারী নির্যাতিত হয় তাদের খণ্ডচিত্র তুলে ধরা হলো—   সেপ্টেম্বর…

Read More

অতিরিক্ত বারাবারির ফল সর্ব্দাই অতি জঘন্য হয়, এরি একটি প্রমাণ ( ধর্ষণের শহর দিল্লি!/ধর্ষণের রাজধানী দিল্লি ) ।

indian army rape them

ধর্ষণের রাজধানী দিল্লি / ধর্ষণের শহর দিল্লি!     ধর্ষণের শহর দিল্লি!/ ধর্ষণের রাজধানী দিল্লি – জন সচেতনতায় BLACK iz -da littlefriendshop www.black-iz.com / www.mlmnews24.com অতিরিক্ত বারাবারির ফল সর্ব্দাই অতি জঘন্য হয়, এরি একটি প্রমাণ ( ধর্ষণের শহর দিল্লি!/ধর্ষণের রাজধানী দিল্লি ) । তাই আসুন আমাদের প্রতিবেশিরা যে ভুল করেছে তা থেকে শিক্ষা নিই এবং নিজ সংস্ক্রিতি নিয়ে থাকি। গত বছর দিল্লিতে ৪১৪ জন এবং মুম্বাইয়ে ১৯৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতিবেদন মতে, এসব মেগাসিটিতে ২০১০ সালে অপরাধ বেড়েছে সাত দশমিক তিন শতাংশ। মেগাসিটিগুলোতে গত বছর ভারতের দণ্ডবিধির আওতায় তিন লাখ…

Read More

আল্লাহকে হাসালো যারা , বিজ্ঞবচনঃ

     আল্লাহকে হাসালো যারা হযরত আবু দারদা রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলে কারীম সা. ইরশাদ করেছেন, তিনজন ব্যক্তি এমন আছেন যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা মুহাব্বত করেন এবং তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে হাসেন। তাদের নিয়ে গর্ব করেন। (১) ঐ ব্যক্তি যে (যুদ্ধের ময়দানে) তার বাহিনী পরাজিত হবার পর একাই লড়তে থাকেন। তারপর হয়তো শহীদ হয়ে যান কিংবা আল্লাহর সাহায্যে তিনি দুশমনদের উপর বিজয় লাভ করেন। এধরণের লোকদের ব্যাপারে আল্লাহ পাক বলেন, ‘দেখ এই ব্যক্তি একাই কিভাবে মজবুতীর সাথে একমাত্র আমার জন্য জিহাদ করেন। (২) ঐ ব্যক্তি যার বিবি খুবই সুন্দরী, বিছানাও নরম…

Read More