সবুজ আর বৃক্ষ্যের সাথে একটা দিন!

ধীরে ধীরে সূর্যের আভা দেখা যাচ্ছে । সূর্যের উদয় বার্তা যেন গান গেয়ে যাচ্ছে । প্রকৃতির নিয়ম । পার্থক্য শুধু মেঘলা আকাশে আঁধার ঘনালে,কিংবা শীতের কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লে সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না । আমার জীবনটাও যেন ঠিক তেমন সরল ছকে বাঁধা । নিরষ একজন মানুষ । প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ঝিম মেরে পড়ে থাকা । লেখাপড়া,ভবিষ্যত নিয়ে কোনো চিন্তা নেই । এই অসুখ তো আমার চিরদিনের না । অল্প কিছুদিনের । মরণব্যাধির অসুখ । তিলে তিলে মৃত্যু ঘটতে পারে । অনেকে বেঁচেও আসে এই মৃত্যুর দুয়ার থেকে । ছোটবেলা থেকে সাদামাটা জীবনের মধ্যে দিয়ে জীবন পাড় করেছি । চারিদিকের নানা রঙের মাঝে চোখ ঝলসায় নি কোনদিন । হঠাৎ একটি রঙিন ছবি মনে গেঁথে গেল । জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত রঙে ভরে উঠল । একটি মায়াবী মুখ,মায়াবী চোখের চাহনী আর তার মাঝে লুকিয়ে থাকা এক নীরব চঞ্চল মন দেখে মনে নাড়া দিয়ে উঠল । তন্দ্রা নামের সেই মেয়ে আজ আমায় পুরোপুরি মোহবিষ্ট করে রাখে । তার সুন্দর কন্ঠ শুনবার তাগিদে বার বার তাকে কল করার ইচ্ছা নেশার মত হয়ে দাড়িয়েছে । মনে পড়ে প্রথম দেখার কথা । হাসিখুশি চেহারা । যা হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে দিয়ে যায় । সেদিন ছিল তার জন্মদিন । গোলাপী রঙের জামা পড়েছিল সেদিন । যেন গোলাপি রঙের কোনো ফুল । যার চোখের চাহনী তীরের মত বিদ্ধ করে প্রতিটি মূহুর্তে । জন্মদিন থেকে ফিরে ওকে নিয়ে ভাবনা শুরু । এক সময় নিজের অজান্তে ভালোবেসে ফেলা তাকে । তার মায়াবী চোখ,ঠোঁটের সেই হাসি কোনোমতেই পিছু ছাড়ছে না । রাকিব কে জানাই এ ব্যাপারে । রাকিব বলে উঠে, "শোভন মামু, তুমি তো প্রেমে পড়ছো । এইটাও বুঝো নাই । কইয়া ফালাও মনের কথা । বলতে চাই আমি । কিন্তু পারিনা । তোমার নীরবতা আমাকে আরও নীরব করে । তোমার মায়াবী চোখের পানে তাকালে আমার কথা এলোমেলো হয়ে যায় । যতবার বলতে চাই,ততবার এক অজানা আতঙ্কে ভুগি । পারি না কেন? মোবাইল বার বার দেখি । তোমাকে কল করি । মেসেজ দেই । তুমি কি কিছুই বুঝো না । দেখতে দেখতে বৃষ্টি নামে । চারিদিকে আঁধার ঘনিয়ে আসে । কিছুতে মন বসে না । বারান্দাতে বসে হাত বাড়িয়ে দেয় শোভন ছুঁয়ে দেখে বৃষ্টি । তন্দ্রাও কি এখন বৃষ্টি ছুয়ে দেখছে? 'শোভন কি আমায় ভালোবাসে? ওর কিছুদিনের ব্যবহারে মনে হয় আমাকে কিছু বুঝাতে চাইছে ।' বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে ভেবে চলেছে তন্দ্রা । ফোঁটা বৃষ্টির ছোঁয়া নরম গাল ছুঁয়ে দিয়ে যাচ্ছে । আনমনে ভেবে চলে তন্দ্রা । 'শোভন কেন বন্ধুত্বকে অপমানিত করবে? কত ভালো বন্ধুত্ব আমাদের ' বৃষ্টির ছোঁয়া দুজনকেই সিক্ত করে যায় । মোবাইলের রিংটোন বেজে চলেছে শোভনের । খেয়াল নেই । তার ভাবনা এখন গভীরে । রাতে মোবাইল চেক করে দেখে অনেকগুলো মিসড কল । তন্দ্রার । কল ব্যাক করে । 'হ্যালো তন্দ্রা বল,ব্যস্ত ছিলাম কল ধরতে পারি নি ।' 'কাল দেখা করতে পারবি?' 'কোথায়?' 'যেখানে বলবে ।' ভয়ানক অসুখ শোভনের । ভালোবাসার । তন্দ্রার প্রতি ভালোবাসা । এটাই অসুখ । এই অসুখ কোনোদিনও যাবে না । পাশাপাশি বসে দুজন । চারিদিকে পাখির ডাক,গোলাপের সুবাস । এক মধুর পরিবেশ । বিন্দু ঘাম জমেছে কপালে । হঠাৎ তন্দ্রা বলে উঠে, "আজ তোকে কেন ডেকেছি জানিস?" মাথা নেড়ে না বলে শোভন । অনেকক্ষণ নীরব থাকে দুজন । শুধু পাখির কলতান । "তুই কি আমাকে ভালোবাসিস?" তন্দ্রা প্রশ্ন করে । "হুম" "বলিস নি কেনো কোনোদিন?" "ভয় করে ।" হঠাৎ তন্দ্রাকে অচেনা মনে হয় । কি করবে বুঝতে পারে না শোভন । "ভালো থাকিস । আমাদের বন্ধুত্ব এখানেই শেষ । নিজের যত্ন নিবি ।" উঠে যায় তন্দ্রা । শোভন তাকিয়ে থাকে তন্দ্রার চলে যাবার দিকে । ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় দূরে । চারিদিকে কেমন যেন আঁধার ঘনিয়ে এসেছে । বেদনার সুরধ্বনি বাজছে । একাকীত্ব আঁকড়ে ধরেছে । হারানোর বেদনায় পাখির মধুর ডাকগুলো করুণ লাগছে । রাত ১১টা ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিতে ইচ্ছে করছে শোভনের । দিয়েই কি লাভ? সব আজ অর্থহীন । কষ্টে পাথর হয়ে গিয়েছে যেন । ওয়ালে একটা পোষ্ট । "ইনবক্ষ চেক কর" ইনবক্সে মেসেজ পড়তে থাকে, "তোকে অনেক ভালো বন্ধু ভাবতাম । খুব কাছের । এটা কি করলি তুই? আমি জানি আমাদের মাঝে এই ভালো বন্ধুত্বটা আর থাকবে না । তাই আজ বন্ধুত্বটা এখানেই শেষ করে দিয়েছি । কারণ আজ থেকে আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব নামক গলার কাঁটা আর থাকবে না । আজ থেকে আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ক শুরু । ভালোবাসি তোকে । তোর তন্দ্রা ।" কি বলবে বুঝতে পারে না শোভন । শুধু চোখ দিয়ে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে চলে । আজ কাঁদতে চায় শোভন । - কাজী ফরিদুল হাসান শাওন

গেল “২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৩” অভয়ারণ্য বৃক্ষ রোপন অনুষ্ঠানে কোন কারন ছাড়াই অংশগ্রহন করি। কিন্তু অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে সবুজের প্রতি নতুন করে ভালাবাসা আর একটা অনুভতির সৃষ্টি হয়। আমি নিজেও অনেকগুল বৃক্ষ রোপন করি। এর আয়োজকরা সকলই ছিল অত্যন্ত মিশুক, সম্পুর্ন সময়টাই আমি খুব উপভোগ করি। অভয়ারণ্য বৃক্ষ রোপন অনুষ্ঠানের একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতঃ এই ধরনের আরও অনেক উৎসবে কিংবা অনুষ্ঠানে আগেও অংশগ্রহণ করেছি। তবে ফুল, ফল আর অভয়ারণ্য-এর সাথে একটা দিনটা ছিল ভিন্ন!

Read More

-মাস ব্যাপী মাত্র ১,০০০ টাকার মাধ্যমে SEO এবং ফ্রিল্যান্সিং এর উপর কোর্স

মাথায় ফিমারের গুতা খেয়ে ঠায় বসে আছি । আমার বেস্ট ফ্রেন্ড,আমার জানের দোস্ত চারজন রাকিব,শুভ,ইমরান,আর আশিক দাত কেলিয়ে হাসছে। আমার মনে হচ্ছে এমন দোস্ত যেন হিটলারের ও না থাকে।

BLACK iz IT Intitute এর দু-মাস ব্যাপী মাত্র ১,০০০ টাকার মাধ্যমে SEO এবং ফ্রিল্যান্সিং এর উপর কোর্সের আয়োজন করেছে (লিংক-এ ক্লিক করে রেজিস্ট্রেসন করুনঃ www.black-iz.com/institute/registrationfreebd.html ) । – কোর্সটিতে যা যা থাকছে (সংক্ষিপ্ত) – • এসইও কি, এসইও কতপ্রকার? • কী ওয়ার্ড রিসার্চ কি, কিভাবে বের করবেন ফোকাস কী-ওয়ার্ড। • অন পেজ অপটিমাইজেশন এর সকল খুঁটিনাটি বিষয়। • মেটা ট্যাগ এক্সপেরিমেন্ট, টাইটেল। • কন্টেন্ট রাইটিং মেথর্ড, কী-ওয়ার্ড রিপ্লেসমেন্ট, সাইট ম্যাপ। • সার্চ ইঞ্জিন উপযোগী সাইট মেকিং, ওয়েবসাইট এসইও স্ট্রাকচার মেকিং । • অফ পেজ এর বিভিন্ন কলাকৌশল। • সকল প্রয়োজনীয়…

Read More

SEO কি, কেন শিখবেন এবং বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ! (+ফ্রী কিছু ই-বুক)

কম্পিউটার ভাইরাস বিস্তারিত ইতিহাস এবং এর থেকে সুরক্ষা থাকার কৌশল

• SEO কিঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হচ্ছে ধারাবাহিক পরিবর্তনের মধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের উন্নতি সাধন করা। এই পরিবর্তনগুলো হয়তো আলাদা ভাবে চোখে পড়বে না কিন্তু সামগ্রিকভাবে এর মাধ্যমে একটি সাইটের ব্রাউজিং এর স্বাচ্ছন্দবোধ অনেকাংশে বেড়ে যায় এবং অর্গানিক বা স্বাভাবিক সার্চ রেজাল্টে সাইটকে শীর্ষ অবস্থানের দিকে নিয়ে যায়। সাবাই চায় তার ব্লগ বা ওয়েব সাইট গুগল কিংবা বিং-য়ের সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ (SERP)-এর সবচেয়ে উপরের দিকে রাখতে। আর এই জন্যই ইফেক্টিভ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হয় যেন সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট বা এর কনটেন্টকে গুলোকে দ্রুত খুঁজে পায় এবং সার্চ…

Read More

বাংলার রিকশা…তুমি অচ্ছাম !!!

বাংলাদেশে রিকশাওয়ালাদের মতিগতি বুঝা খুবই অসম্ভব টাইপস ব্যাপার । কখন যে কোনটার মাথা কিভাবে কাজ করে বুঝা কঠিন । তবে উনারা বেশ রসিকপ্রিয় । উদাহরন দেই… # পেটে পড়েনা ভাত…তাও উদাস হয়া রিকশায় আয়েশ কইরা বইসা গান গায়… # কামের সময় অধিকাংশ রিকশাওয়ালাই বলে “যামু না”… # ট্রাফিকের গুষ্টি কিলাই…খালি একটার রিকশায় আরেকটার টাচ লাগলেই হয়…(ভাষাটা অবশ্যই অশ্রাব্য হয়) # ইদানিং ব্যাটারি রিকশা চালু হওয়ার পর হঠাৎই রিকশাওয়ালাদের বাসের চেয়েও বেশি জোরে ছোটার প্রবণতা দেখা যাইতেছে…এটা প্যাডাল রিকশাভাইদের চোখে অচ্ছাম দুঃখের বিষয়… # কিছু কিছু রিকশাওয়ালা মাঝে মাঝে “ফার্মগেট থেকে…

Read More

BLACK iz এস.ই.ও. এক্সপার্ট এক মাস ব্যাপি কর্মশালা!

কম্পিউটার ভাইরাস বিস্তারিত ইতিহাস এবং এর থেকে সুরক্ষা থাকার কৌশল

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না এস.ই.ও. (SEO) নিয়ে আমাদের দেশের প্রফেশানাল , স্টুডেন্ট সহ সবার মাঝে বেশ আগ্রহ । সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশেষ করে ফেইসবুকে এস.ই.ও. (SEO) কে ঘিরে অনেকগুলো গ্রুপ তৈরি হয়ে উঠেছে। সেখানে অনেক আলোচনা হয় । প্রায় নির্দিষ্ট একটা বিষয়কে ঘিরে । অনেকে শেখার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার কথা বলে থাকেন। সবার সমস্যা এক হয় না । অনেকে বলে থাকেন তারা গাইডলাইন পাচ্ছেন না, অনেকে বলেন কোথা থেকে শুরু করবেন তা বুঝতে পাচ্ছেন না । অনেকে আবার ক্যারিয়ার হিসাবে এস.ই.ও. (SEO) কেমন হবে বুঝতে পাচ্ছেন না । এমন কিছু…

Read More

BLACK iz এস.ই.ও. এক্সপার্ট, সম্পুর্ন ফ্রী কর্মশালা!

কম্পিউটার ভাইরাস বিস্তারিত ইতিহাস এবং এর থেকে সুরক্ষা থাকার কৌশল

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না এস.ই.ও. (SEO) নিয়ে আমাদের দেশের প্রফেশানাল , স্টুডেন্ট সহ সবার মাঝে বেশ আগ্রহ । সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশেষ করে ফেইসবুকে এস.ই.ও. (SEO) কে ঘিরে অনেকগুলো গ্রুপ তৈরি হয়ে উঠেছে। সেখানে অনেক আলোচনা হয় । প্রায় নির্দিষ্ট একটা বিষয়কে ঘিরে । অনেকে শেখার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার কথা বলে থাকেন। সবার সমস্যা এক হয় না । অনেকে বলে থাকেন তারা গাইডলাইন পাচ্ছেন না, অনেকে বলেন কোথা থেকে শুরু করবেন তা বুঝতে পাচ্ছেন না । অনেকে আবার ক্যারিয়ার হিসাবে এস.ই.ও. (SEO) কেমন হবে বুঝতে পাচ্ছেন না । এমন কিছু…

Read More

SEO এক্সপার্ট হবার তিনটি পক্রিয়া এবং বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ! (+ফ্রী কিছু ই-বুক)

কম্পিউটার ভাইরাস বিস্তারিত ইতিহাস এবং এর থেকে সুরক্ষা থাকার কৌশল

SEO, এস.ই.ও বা  সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। ২০১২ তে বাংলাদেশ এই SEO এর উপর কাজ করে ফ্রিলেন্সার.কম এ বিশ্বের মধ্যে প্রথম হয়েছে এবং অনলাইন মার্কেট প্লেসে যতগুলা কাজ রয়েছে তার মধ্যে এই SEO, এস.ই.ও বা  সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের  ফ্রিলেন্সাররা সবচেয়ে বেশি আয় করেছে। এস.ই.ও. (SEO) নিয়ে এত কিছু ঘটার পর বাংলাদেশের এখন দিন দিন এস.ই.ও. (SEO) ফ্রিলেন্সার-এর সংখ্যা বাড়ছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না এস.ই.ও. (SEO) নিয়ে আমাদের দেশের প্রফেশানাল , স্টুডেন্ট সহ সবার মাঝে বেশ আগ্রহ । সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশেষ করে ফেইসবুকে এস.ই.ও. (SEO) কে ঘিরে অনেকগুলো …

Read More

ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম -এর প্রতি রয়েছে আমাদের অন্ধ বিশ্বাস! (প্রমান)

প্রথমেই জানতে চাইব একটা প্রশ্নের-উত্তরঃ মহাত্না গান্ধী বাদে ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের একজন প্রধান নেতার নাম বলুনতো। আপনার উত্তর যদি হয়ঃ "বহগাত শিং" বাদে অন্যকেও বা অন্যকিছু বা না জেনে থাকেন তবে আপনি লিখাটি সাধারণ ভাবেই পাঠ করেন আর যদি আপনার উত্তর হয়ঃ "বহগাত শিং" তবে আপনার জন্য এই লিখাতে রয়েছে ভয়ংকর কিছু তথ্য। আপনার জন্য রয়েছে খুব দ্রুত অন্ধ হয়ে যাবার ভয়। চলুন ফিরে যাই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে (১৯২০ সালে)। ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে আলেম -ওলামাদের ভুমিকা অবিস্মরণীয়। ভারতবর্ষের পুর্ন স্বাধীনতার দাবী সর্ব-প্রথম উঠাণ আল্লামা আজাদ সুবহান। এই অপরাধের ১৯২০ সালে আল্লামা আজাদ সুবহানকে মহাত্না গান্ধীর সাথে কারাবরণও কারতে হয়। শুধু যে আল্লামা আজাদ সুবহান, ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের সাথে যুক্ত ছিলেন তাও নয়। সেই সংগ্রামে আল্লামা আজাদ সুবহান সাথে ছিলেন আল্লামা হাসরত মোহানি, মাওলানা মোহাম্মাদ আলি, মাওলানা শওকত আলি সহ আরও অনেক আলেম-ওলামা। তারা সংগ্রাম করতে গিয়ে দিনের পর দিন সহ্য করেছেণ জেল-জুলুম-অত্যাচার, কিন্তু তারা পিছ পা হননি। তারা ছিলেন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আপসহীন। "Maulana Hasrat Mohani (1875–1951) was a romantic poet of Urdu language, journalist, politician, parliamentarian and a fearless freedom fighter of Indo-Pak Sub-continent. " অথচ আমাদের এই বর্তমান সমাজ এক প্রকার তাদের ভুলেই গিয়েছে। একশ জনের মধ্যে হাতেগোনা দুই-একজন তাদের নাম জানে কিনা সন্দেহ। ছোট বেলায় তিতুমিরের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাস শুধুমাত্র পাঠ্যবইতেই পড়েছি। তাই তিতুমিরের সম্পর্কে আমাদের কিছুটা জ্ঞ্যান থাকলেও নেই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের অন্যতম প্রধান সকল আলেম-ওলামা-দের সম্পর্কে বিন্দু পরিমান জ্ঞ্যান। ভাবতে অবাক লাগে আমরা মুসলিম হয়েও কখনও জানিনি আমাদের নিজেদের গৌরবময় সকল ইতিহাসের কথা। জানিনি বাকশাল ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম মনিষীদের আপসহীন লড়াই। এবার আমি আমার মুল আলোচনায় ফিরে আসি, কিভাবে আমরা ভারতীয় মিডিয়া বা ফিল্ম এর মাধ্যমে প্রভাবিত হচ্ছি। প্রথমেই একটি প্রশ্ন করি ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের http://upload.wikimedia.org/wikipedia/en/thumb/d/d2/Bhagatsinghlegend.jpg/220px-Bhagatsinghlegend.jpgএকজন বীরের নাম বলুনতো? হয়ত অনেকেই বলতে পারবেন না আবার কেও কেও বলতে পারবেন। কিন্তু এক পক্ষ আছে যারা বলবে "বহগাত শিং", আমার ক্ষোভ বা কষ্ট শুধুই তাদের নিয়ে, তারাই স্পষ্ট ভাবে বিভ্রান্ত এবং এক প্রকার নির্বোধ মানুষ। কারন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামে তেমন কোন বড় ভুমিকায় যে বহগাত শিং ছিলেন তা কিন্তু নয়। অনেক মুসলিম মনিষীই সে দিনের সেই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের মুখ্য ভুমিকা পালন করেও আজ তারা আমাদের কাছে বড়ই অপরিচিত। অথচ ঠিকি জেনে নিয়েছিলাম বহগাত শিং-এর কথা। বহগাত শিং-কে আমরা কোথা থেকে চিনলাম? বহগাত শিং-এর ইতিহাস আমরা কি করে জানলাম? স্পষ্ট উত্তর ভারতীয় একটি চলচিত্র "বহগাত শিং"-এর মাধ্যমে । যদি আমার এই উত্তরের সাথে আপনি একমত হোন, তবে স্পষ্টভাবে বলা যেতে পারে, ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম থেকে সেই কিছু বিভ্রান্তি এবং নির্বোধ মানুষ আজ ইতিহাসও শিক্ষা নেয় । তবে যারা ইতিহাস পড়ে "বহগাত শিং" এর ইতিহাস জেনেছে তাদের নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটি একটি উদাহারন মাত্র এর বেশি কিছু নয়। উপরের আলোচনা থেকে শুধু এতটুকুই আমি বুঝাতে চেয়েছি যে আজ আমরা বা আমাদের একটা শ্রেনী ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম -এর প্রতি এতটাই বেশি আসক্ত যে, তাদের ফিল্ম থেকে আমরা শিক্ষা খোঝার চেস্টা করি। আপনি কতজন এমন ব্যাক্তি দেখেছেন যারা "বহগাত শিং" সিনেমটা দেখে ইতিহাসের সাথে মিলিয়ে দেখার জন্য বই কিংবা অনলাইন ঘাটা-ঘাটি করেছে? হয়ত উত্তর হবে একজনও নয় । আবার যদি প্রশ্ন হয় "বহগাত শিং" সিনেমটা দেখে কতজন "বহগাত শিং"-কে ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম প্রধাণ হিসাবে মেনে নিয়েছে? হয়ত উত্তরটা হবে খুব সহজঃ প্রায় সবাই...। বা ১০০ জনে ৯০ জন। তাহলে কি এই আলোচনা থেক এতটুকু স্পষ্ট নয় যে আজ আমারা ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম ধারায় ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত? আজ আমরা ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম এর মধ্যে শিক্ষা খুঁজে বেরাই । এটাই তাহলে প্রমান হচ্ছে না যে আমার আজ ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম কে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করতে শিখেছি, তাই নয় কি? যারা শুধুমাত্র আনন্দ বা বিনোদনের জন্য ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম দেখেন তাদের ব্যাপারেও বিশেষ কিছু বলবার নেই। কিন্তু যারা এ থেকে শিক্ষা নিয়ে বা ইতিহাস জানেন তাদের জন্যই আমার এই লিখা। ভাবতে অবাক লাগে আমাদের দেশের কিছু মিডিয়া বা লেখক তাদের লেখায় সেই "বহগাত শিং" এর বর্ননা স্থান পেলেও, পাইনি ব্রিটিশ স্বাধীনতার সংগ্রামের অন্যতম প্রধান আল্লামা আজাদ সুবহান, আল্লামা হাসরত মোহানি, মাওলানা মোহাম্মাদ আলি, মাওলানা শওকত আলি সহ অন্যান্ন মুসলিম মনিশিদের কথা। আরও হাসি পায় তাদের কিছু লিখা পড়ে, যেখানে "বহগাত শিং" এর বর্ননা হুবুহু সিনামার মত করে দিয়েছেন। আসলে তারাও ইতিহাসের "ই" জানেন না তারাও ভারতিয় সিনামার থেকে ইতিহাশ জেনে দু-একটা কলাম লিখেন আর কি। সর্ব শেষে বলব "বহগাত শিং" একজন বীর ছিলেন কিন্তু এই আলোচনায় তার কথা শুধুমাত্র উধাহারন স্বরূপ নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের একজন বীর ছিলেন কিন্তু মুখ্য কোন ভুমিকায় ছিলেন না। এ আলোচনায় এটাই ফুটিয়ে তুলার চেস্টা করা হয়ছে যে, ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম আজ আমাদের (বা আমাদের একটা অংশকে) এমন ভাবে নিয়ন্ত্রন করছে যে আমাদের ইতিহাস শিক্ষা দিতে পারে। আমাদের কিছু মানুষকে তারা অন্ধ করে ফেলতে পেরেছে। একজন সাধারন যুদ্ধা কে ইতিহাস বদলে প্রধানের কাঠগড়ায় দাড় করাতে পারে। এটা কি আমাদের জন্য ভয়ংকর কোন পুর্ভাবাস নয়? এটা কি আমাদের জন্য খুব শিঘ্রই অন্ধ হয়ে যাওয়ার ইংগিত নয়?

প্রথমেই জানতে চাইব একটা প্রশ্নের-উত্তরঃ মহাত্না গান্ধী বাদে ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের একজন প্রধান নেতার নাম বলুনতো। আপনার উত্তর যদি হয়ঃ “বহগাত শিং” বাদে অন্যকেও বা অন্যকিছু বা না জেনে থাকেন তবে আপনি লিখাটি সাধারণ ভাবেই পাঠ করেন আর যদি আপনার উত্তর হয়ঃ   “বহগাত শিং” তবে আপনার জন্য এই লিখাতে রয়েছে ভয়ংকর কিছু তথ্য। আপনার জন্য রয়েছে খুব দ্রুত অন্ধ হয়ে যাবার ভয়।  চলুন ফিরে যাই  ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে (১৯২০ সালে)।  ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে আলেম -ওলামাদের ভুমিকা অবিস্মরণীয়। ভারতবর্ষের পুর্ন স্বাধীনতার দাবী…

Read More

মিডিয়ার কিছু ২য় বিবাহের গল্পঃ মিডিয়ায় দ্বিতীয় বিবাহ যেন হয়ে উঠছে নতুন ফ্যাশন !!

মিডিয়ার কিছু ২য় বিবাহের গল্পঃ দেশের মিডিয়ায় দ্বিতীয় বিবাহ যেন হয়ে উঠছে নতুন ফ্যাশন !!

সূবর্ণা মুস্তাফা ও বদরুল আনাম সৌদ: সুবর্ণা মুস্তাফা বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী। তিনি প্রখ্যাত অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার মেয়ে এবং ক্যামেলিয়া মোস্তফার বোন। বাংলাদেশের নাট্যজগতে সুবর্ণা এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। আশির দশকে অভিনেতা আফজাল হোসেন আর সূবর্ণা মুস্তাফা জুটি সারা দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। দেশের পত্রপত্রিকাগুলোতে বেশ রসালোভাবে আফজাল-সূর্বণার প্রেম কাহিনী ছাপা শুরু করে। একই সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ফরীদি সবে অভিনয়টা শুরু করেছেন। ঢাকা থিয়েটারে তার তখনো যাতায়তটা শুরু হয়নি। নাসির উদ্দীন ইউসুফ এর অনুপ্রেরনায় ফরীদি যোগ দেন ঢাকা থিয়েটারে। এরই মাঝে দীর্ঘদিনের প্রেমের পরিণতিতে মিনুকে নিয়ে…

Read More

Kiss কা কিসসা নিয়ে সরগরম বলিউড

মুম্বাই: কোনো কোনো দিন থাকে যেদিনে অনেকগুলো খবরকে একসুতোয় বাধা যায়। রোববার বলিউডের খবরের জগতে এমনই একটা দিন। এক সুতোয় বেঁধে খবরের মালার শিরোনাম দেওয়াই যায় কিসসা কিসসা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে সোনাক্ষি সিনহা, আলি জাফর থেকে চিত্রাঙ্গদা সিং, সোনম কাপুর। সবাই আজ যা বললেন তার মূল কথায় কোথাও না কোথাও চুম্বন বা `কিস`-এর বিষয় রয়েছে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যেমন কলকাতায় `গুন্ডে` ছবির শ্যুটিং-এ এসে এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন। প্রিয়াঙ্কা একটা মাছকে চুম্বন করেছেন। তবে ফটোগ্রাফাররা সেই ছবিটা পুরোটা ফ্রেমবন্দি করতে পারেননি। প্রিয়াঙ্কা বলছেন, "এখনই বলব না আমি ওই মাছটাকে কিস করেছি কি না।" সোনাক্ষি সিনহা আবার দাবি করেছেন তিনি অনস্ক্রিন চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করতে বেশ সাবলিল। আসলে দাবাং গার্ল সোনাক্ষি আইটেম ড্যান্সের রানী হতে চান। আর কে না জানে আইটেম ড্যান্সার হতে হলে চুম্বনের দৃশ্যে একেবারে ফাটিয়ে দিতে হয়। অবশ্য সোনাক্ষির রাজনীতিবিদ তথা অভিনেতা বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা ওসব পছন্দ করেন না। কে জানে হয়ত এসব দেখার পর সোনাক্ষিকে বলে বসবেন, খামোস...। `আই, মি অর হাম` সিনেমায় জন আব্রাহামকে কিস করা চিত্রাঙ্গদা সিং বললেন, তিনি নাকি ওই দৃশ্যে অভিনয় করে দারুণ আনন্দ পেয়েছেন। তারকা গল্ফারের গার্লফ্রেন্ড চিত্রাঙ্গদা বলেছেন, "আমি জনের সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যই বোধ করেছি।" সোনম কাপুরকে যশরাজ ফিল্মসের পরবর্তী সিনেমায় বিকিনি পরবেন বলে জানা গেল। তবে এটাও গুজব সোনমকে নাকি এই প্রথমবার লিপলক করতে দেখা যাবে। বলিউডের ললনারা যখন এতটা সাহসী তখন কিছুটা অন্য কথা বলেন নতুন এক হিরো। তিনি গায়ক থেকে হিরো হওয়া আলি জাফর। অদিতি রাও হায়দারির সঙ্গে তার ছবি `লন্ডন, প্যারিস, নিউইয়র্ক`এ চুম্বন করতে দেখা গেছে আলিকে। কিন্তু `তেরে বিন লাদেন`-এ অভিনয় করে মন কাড়া আলি জাফর বলেছেন, তিনি আর অনস্ক্রিনে কিস করতে পারবেন না। কারণ তিনি নাকি ওসব প্রকাশ করতে বেশ লজ্জা পান‌! বুঝে দেখুন কথা। এজন্য বলে সত্য সেলুকাস, কি আজব এই বলিউড...। সূত্র: ওয়েবসাইট।

মুম্বাই: কোনো কোনো দিন থাকে যেদিনে অনেকগুলো খবরকে একসুতোয় বাধা যায়। রোববার বলিউডের খবরের জগতে এমনই একটা দিন। এক সুতোয় বেঁধে খবরের মালার শিরোনাম দেওয়াই যায় কিসসা কিসসা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে সোনাক্ষি সিনহা, আলি জাফর থেকে চিত্রাঙ্গদা সিং, সোনম কাপুর। সবাই আজ যা বললেন তার মূল কথায় কোথাও না কোথাও চুম্বন বা `কিস`-এর বিষয় রয়েছে।   প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যেমন কলকাতায় `গুন্ডে` ছবির শ্যুটিং-এ এসে এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন। প্রিয়াঙ্কা একটা মাছকে চুম্বন করেছেন। তবে ফটোগ্রাফাররা সেই ছবিটা পুরোটা ফ্রেমবন্দি করতে পারেননি। প্রিয়াঙ্কা বলছেন, “এখনই বলব না আমি ওই মাছটাকে কিস…

Read More