ভেজা মেঘের মত উড়তে উড়তে জীবনের সুতয় যদি কখন টান পরে!

ভেজা মেঘের মত উড়তে উড়তে জীবনের সুতয় যদি কখন টান পরে!

ভেজা মেঘের মত উড়তে উড়তে জীবনের সুতয় যদি কখন টান পরে! ভেজা মেঘের মত উড়তে উড়তে জীবনের সুতয় যদি কখন টান পরে কখন, তবে চলে এসো বুক পেতে দিব…. । আমার তোলা অপর একটা ছবি, মেঘের ছবি। এই ছবিটি যেই বন্ধুদের হারিয়ে ফেলেছি জীবনের তাদের কথা ভেবে আপলোড করলাম…। আমি ফোটোগ্রাফার নই বরং শখেরগ্রাফার! আমি ফোটোগ্রাফার নই তারপরও মাঝে মধ্যে দু-একটা ছবি তুলতে ভাল লাগে। এই ব্লগে নিয়মিত তুলা আমার আমার কিছু ছবি ধারাবাহিক ভাবে আপলোড দিব। যদিও আমি একজন প্রফেশনাল ফোটোগ্রাফার নই বরং শুধুই শখেরগ্রাফার!   যদিও আমার DSLR…

Read More

তুমি তো দিয়েছিলে কৃষ্ণচূড়া ফুল,…

তুমি তো দিয়েছিলে কৃষ্ণচূড়া ফুল,...

তুমি তো দিয়েছিলে কৃষ্ণচূড়া ফুল,… তোমায় নিয়ে কত স্বপ্ন আজ কোথায় হারায় পুরোনো গানটার সুর আজ মোরে কাঁদায়। তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল আমি তো বসেছিলাম নিয়ে শুধু গানের সুর, তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল চলে গেছ কোথায় আমায় ফেলে বহুদূর…….বহুদূর।     আমি ফোটোগ্রাফার নই বরং শখেরগ্রাফার! আমি ফোটোগ্রাফার নই তারপরও মাঝে মধ্যে দু-একটা ছবি তুলতে ভাল লাগে। এই ব্লগে নিয়মিত তুলা আমার আমার কিছু ছবি ধারাবাহিক ভাবে আপলোড দিব। যদিও আমি একজন প্রফেশনাল ফোটোগ্রাফার নই বরং শুধুই শখেরগ্রাফার!   যদিও আমার DSLR নেই তবুও এই দুঃসাহস…

Read More

ভালবাশার গল্প : যে দেয়ালটি মিনতির বন্ধু ছিল

ভালবাশার গল্প : যে দেয়ালটি মিনতির বন্ধু ছিল  লিখেছেনঃ  বিকেল চড়ুই ক্লাসের শেষ বেঞ্চটা খালি পড়ে থাকে।কয়েকদিন ধরে বেঞ্চের একচ্ছত্র অধিপতি মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছেনা।আমি জ্যামিতি ক্লাসে বিমান স্যারের বুঝিয়ে দেয়া উপপাদ্য খাতায় তুলতে তুলতে বারবার পিছনে তাকাই। ক্লাসে আমরা ভাল ছাত্রীর দলে ছিলাম।নিয়মিত স্কুলে আসতাম। খাতায় বাড়ির কাজ তোলা থাকত ।শিক্ষকদের প্রশংসায় ভেসে যেতাম। আমরা বসতাম সামনের বেঞ্চে। মিনতি বসত পেছনের বেঞ্চে। প্রায়ই দেরিতে স্কুলে আসে।এক বেনীতে ফিতা থাকেতো আরেক বেনীতে নেই।স্কুল ড্রেস কালেভদ্রে ইস্ত্রি করা থাকে।সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যায়াম দিদিমনির হাতে মার খায়।স্কুলে শারীরিক শিক্ষার দিদিমনিকে আমরা ব্যায়াম দিদিমনি…

Read More

Man Booker Prize পেলেন Flanagan, পুরস্কার ৫০ হাজার পাউন্ড

Man Booker Prize (পুরস্কার) পেলেন Flanagan

চলতি বছর Man Booker Prize পেয়েছেন অস্ট্রেলীয় লেখক রিচার্ড ফ্ল্যানাগেন (Flanagan)। যুদ্ধকালীন ভালোবাসার ঘটনা নিয়ে ‘দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ সি’ (বা the narrow road to the deep north) উপন্যাস লিখে (Flanagan) ফ্ল্যানাগেন সাহিত্যের সম্মানজনক এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ( Man Booker Prize (পুরস্কার) পেলেন  Flanagan ) মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের গিল্ডহলে ২০১৪ সালের ম্যান বুকার পুরস্কারজয়ীর নাম ঘোষণা করে জুরি বোর্ড। উপন্যাসটি সম্পর্কে জুরি বোর্ডের প্রধান এসি গ্রেলিং বলেন, এটি একটি স্মরণীয় ভালোবাসার গল্প। সেই সঙ্গে এতে তুলে ধরা হয়েছে মানবকষ্টের অতুলনীয় বর্ণনা। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ লাখ ৬৩ হাজার ৫২০…

Read More

সফলতার চাবি কাঠিই হচ্ছে অনুপ্রেরনা! (ভিডিও ক্লিপ্স)

তোমার ছেড়ে যাওয়া, এবং আমি! একটা অনুপ্রেরনার গল্প! স্থির চিত্র স্বল্পদৈর্ঘ চলিচিত্র! (ভিডিও)

মানুষ ধাপে ধাপে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সভ্যতার পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের উন্নতির মাধ্যমে। যে কাজ নিজের কল্যানের তা অন্যেরও কল্যানের। সেজন্য পুরাতন সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটে নতুন সমাজ ব্যবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। আর ক্ষেত্রে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন সফলতা, আর সফলতার চাবি কাঠিই হচ্ছে অনুপ্রেরনা! মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম-সে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে চায়, ধর্ম-বর্ন-গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের চাওয়া। শিশুকাল থেকেই মানুষ একসময় মায়ের কোল ছেড়ে হামাগুড়ি দেয় ধীরে ধীরে হাটি হাটি পা পা করে হাটতে শিখে তারপর আস্তে আস্তে কথাও বলতে শিখে, সব কিছুই প্রিয়জনদের উৎসাহ উদ্দীপনায়/সহযোগীতায়। সেরকম মানুষের জীবনের প্রতিটি…

Read More

ভূতের গল্পঃ নওগাঁ শহরের একটি রাস্তায় সময় তখন রাত ২ টা

ভূতের গল্প

এই ঘটনাটি ঘটে নওগাঁ শহরের একটি রাস্তায় । তখন রাতপ্রায় ২ টা বাজে । এই ঘটনাটির স্বীকার একজন সিএনজি চালক । তার নাম হাবিব । হাবিব তখন তার সিএনজি নিয়ে বাসায় ফিরছিল । সে হঠাৎ দেখলো দুইজন মধ্যবয়সী হুজুর ধরনের ব্যক্তি তাকে সিএনজি থামানোর জন্য অনুরোধ করছে । তা দেখে সে থামল এবং একজন হুজুর তার সাথে কথা বললো । হুজুরঃ ভাই আমরা খুব বিপদে পড়েছি । হাবিবঃ আপনাদের কি হয়েছে জানতে পারি ? হুজুরঃ সামনে আমাদের এক বন্ধু একটি লাশ নিয়ে দাড়িয়ে আছে । ওই লাশটাকে নিয়ে আমাদের সামনের…

Read More

ভালবাসার গল্প : মায়াবতী এবং একজন নীল

মায়াবতী এবং একজন নীল

নীল আমাদের মাঝে নেই, ব্যাপারটা কোনোভাবেই মানতে পারছি না !!! আজ সারাদিন বিভিন্ন সময়ে ওর লেখা ব্লগে ও ফেসবুকের পোষ্টগুলো পড়ে কাটালাম। কঠিন কথাগুলোও কতো সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতো ছেলেটা !! প্রতিটা লেখা অনেক চেতনাময়, আবেগময়, প্রেমময় আর প্রতিটা লেখায় ছিল মায়াবতীর জন্য মন উজার করে ভালোবাসা। লেখাগুলো আগেও পড়েছি, কিন্তু আজকে সেই সব লেখা একটা বিশাল ডায়রির মত মনে হচ্ছে । পাতায় পাতায় সযত্নে সাজানো সকাল, দুপুর, রাতের হরেক রকম সময়। কি দুর্দান্ত, কি রঙিন !! এক একটা শব্দ যেন এক একটি কবিতা কিংবা অপূর্ব কোন সুর !! অনেকটা…

Read More

ভূতের গল্প : মাংশ পিণ্ড

আমার মেঝো কাকা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ জেদি আর একরোখা ছিলেন। দাদুর নির্দেশ অমান্য করে রাত বিরাতে গ্রামের বন্ধুবান্ধবের সাথে চলে যেতেন দূরে যাত্রা দেখতে অথবা মাছ শিকারে। প্রথমেই বলে নেই, গ্রামে গঞ্জে রাতে মাছ ধরার অন্যতম কারন হল, তখন মাছ ধরা পড়ে বেশি। তাই মানুষ বেশিরভাগ সময়ই রাত হলে মাছ ধরতে যায়। এমনি ভাবে একদিন আমার কাকা তার কয়েক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে প্রায় ২ মাইল দূরের একটা ঝিলে। ঐ ঝিলে প্রচুর শাপলা ফুটতো। আর ঝিলটি নাকি গভিরতায় অনেক বেশি ছিল। তাই সাধারণত মানুষ খুব একটা যেত না সেখানে মাছ মারার জন্য। ঐ ঝিল নিয়ে অনেক খারাপ কথা ছড়িয়ে আছে গ্রাম জুড়ে। প্রায় প্রতি বছরই ৩-৪ জন মানুষ ঐ ঝিলে ডুবে মারা যায়। তাদের মাঝে অনেকেই ভালো সাঁতারু ছিলেন। তো, এসব কথা জানত বলে দাদা দাদু মানা করলো যাওয়ার জন্য। কিন্তু কাকা জেদ ধরলেন যে তার যেতেই হবে। ভয়ে সরে গেছেন ভেবে পড়ে তার বন্ধুরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে এটা কাকা মেনে নিতে পারছিলেন না। যাই হোক, উনারা খুব আয়োজন করে ৪ বন্ধু মিলে গেলেন মাছ ধরতে। কাকা এবং উনার বন্ধু কাশেম লুঙ্গী কাছা দিয়ে প্রায় কোমর পানিতে নেমে গেছেন। উদ্দেশ্য ছিল একটু গভীরে গিয়ে জাল মারা। একটু বলে নেই, সেদিন আমাবস্যা ছিল। তেমন আলো ছিল না চারপাশে। তাই উনারা একটা হ্যাজাক বাতি নিয়ে গিয়েছিলেন। যাই হোক, উনারা জাল মেরে ঠিকঠাক ভাবেই উঠে এলেন। উপরে যেই দুজন ছিলেন তারা অপেক্ষায় ছিলেন। আস্তে আস্তে জাল গুটাতে লাগলেন। কাকারাও এর মাঝে ঝিল থেকে উঠে পড়েছেন। ৪জন মিলেই ঝিলের পারে দাঁড়িয়ে জাল গুটাচ্ছিলেন। হটাত কিসের যেনও আওয়াজ হল পেছন থেকে। কে যেনও ধমক দিল মনে হয়। হ্যাজাকের আলো ছিল, সেই আলোতে পেছনে ঘুরে দেখলেন উনারা। কাউকে দেখলেন না। ভাবলেন হয়তো মনে ভুল। আবারো জাল টানতে লাগলেন। হটাত কি যেনও হল, উনাদের হাত থেকে জালের দড়ি খুব দ্রুত সরে যেতে লাগলো। মনে হতে লাগলো কে যেনও খুব শক্তি দিয়ে উনাদের হাত থেকে সেই জালটা ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। চারজন শক্ত সামর্থ্য জওয়ান, এদের হাত থেকে জাল টেনে নিয়ে যাওয়ার মত কোনও মাছ সেই ঝিলে ছিল না। কাকারা প্রান প্রন চেষ্টা করতে লাগলেন জালটা থামানোর জন্য। তাল সামলাতে না পেরে কাকার এক বন্ধু পা পিছলে পড়ে গেলেন। পড়ে সবাইকে অবাক করে দিয়ে হরহর করে গভীর পানির দিকে তলিয়ে যেতে লাগলেন। মনে হতে লাগলো, কেউ যেনও তার পা ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কাকারা বিস্ফোরিত চোখে তা দেখতে লাগলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় তারা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। কাকার সেই বন্ধু বার বার পানির নিচে ডুবে যান আর যখনই মাথা উপরে উঠে তখনই চিৎকার করে সাহায্য করতে বলেন। কাকার বন্ধুরা হই হই করে পিছনের দিকে চলে যেতে লাগলেন। তারা ঝিল থেকে উপরে উঠে মাটির রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। কিন্তু কাকার মনে হয় বুদ্ধি জ্ঞান লোপ পেয়েছিল। উনি বিমুরের মত সামনে, আর গভীর পানির দিকে যেতে লাগলেন। পেছন থেকে কাকার বন্ধুরা চিৎকার করছিলো, যাসনে, যাসনে করে। কিন্তু কাকা উনাদের কথা না শুনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। হটাত কাকা আবিষ্কার করলেন উনার পায়ের নিচ থেকে মাটিগুলো যেনও ধপ করে সরে গেলো। দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু ক্ষণিকের মধ্যে পানিতে ডুবে গেলেন কাকা। হটাত অনুভব করলেন কে যেনও পানির নিচে টানছে তাকে। খুব শক্তি তার প্রতিপক্ষের। একে তো পানির নিচে, তার উপর টান সামলাতে পারলেন না কাকা। ডুবতে লাগলেন। নাক দিয়ে পানি ঢুকতে লাগলো। ফুসফুসের জমা করা বাতাস গুলো বুদ বুদের মত করে বেরিয়ে গেলো চিৎকারের সাথে। যেহেতু পানির নিচে তাই কোনও আওয়াজ হল না। আস্তে আস্তে দমে যেতে লাগলেন কাকা। শেষবারের চেষ্টার মত সরব শক্তি দিয়ে লাথি মারলেন নিচের দিকে। অনুভব করলেন কিছু একটার গায়ে ঠেকল পা টা। অনেকটা মানুষের শরীরের মত লাগলো। কাকার মনে হল হয়তো পানির নিচে কেউ আছে যে তাকে নিচ থেকে টানছে। নিজেকে বাঁচানোর একটা তাগিদ ফিরে এলো। যদি পানির নিচের মানুষটার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় তাহলে হয়তো বেচে যাবেন। নিজের সব শক্তি এক করে একটু ঝুঁকলেন কাকা। নিজের পায়ের কাছে হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে আঘাত করতে লাগলেন। এলোপাথাড়ি কয়েকটা আঘাতের পর একটা গিয়ে লাগলো কারো মাংশ পেশিতে। কাকার এক পা থেকে বাঁধন ছুটে গেলো। এবার কাকা দিগুন উদ্যমে আবারো হাত চালালেন, কয়েকটা মারার পো মনে হতে লাগলো হয়তো এ যাত্রা বাঁচবেন না, ঠিক তখনই আর একটা ঘুষি গিয়ে লাগলো সেই মাংশ পিণ্ডে। দ্বিতীয় পাটাও মুক্ত হলে এবার। টর্নেডোর গতিতে উপরে উঠতে লাগলেন কাকা। উনার হাতটা শরীরের পাশে ছিল। হটাত হাতে তীব্র ব্যাথা অনুভব করলেন কাকা। মনে হল কে যেনও ধারালো কিছু বসিয়ে দিলো উনার হাতে। কোনমতে উপরে উঠলেন কাকা। উপরে উনার বুন্ধুরা বন্ধুর বিপদ দেখে ঝুঁকি নিয়েই ঝিলে নেমে পড়েছিলেন। কাকাকে দেখেই উনাকে টেনে নিয়ে চললেন রাস্তার দিকে। জ্ঞান হারালেন কাকা। পরদিন সকালে কাকার জ্ঞান ফিরে আসে। এরপর একটানা ২৬ দিন উনি জ্বরে ভুগেন। এরপর আস্তে আস্তে সুস্থ হতে থাকেন। ওহ, কাকার সেই বন্ধুটিকে পরে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। ঝিলটি আঁতিপাঁতি করে খুঁজেও কোথাও পায়নি গ্রামের লোকেরা। আমার কাকার হাতের সেই তীব্র ব্যাথাটি কিসের ছিল জানা যায়নি। তবে মানুষ কামর দিলে যেমন হয় তেমন একটা দাগ পরে যায় কাকার হাতে। সেই হাত তিনি আর ব্যাবহার করতে পারেননি পরে। এমনকি এখন পর্যন্ত উনি হাতটা নাড়তে পারেন না। পাঠিয়েছেনঃ মশিউর রাহমান মিশুক

আমার মেঝো কাকা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ জেদি আর একরোখা ছিলেন। দাদুর নির্দেশ অমান্য করে রাত বিরাতে গ্রামের বন্ধুবান্ধবের সাথে চলে যেতেন দূরে যাত্রা দেখতে অথবা মাছ শিকারে। প্রথমেই বলে নেই, গ্রামে গঞ্জে রাতে মাছ ধরার অন্যতম কারন হল, তখন মাছ ধরা পড়ে বেশি। তাই মানুষ বেশিরভাগ সময়ই রাত হলে মাছ ধরতে যায়। এমনি ভাবে একদিন আমার কাকা তার কয়েক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে প্রায় ২ মাইল দূরের একটা ঝিলে। ঐ ঝিলে প্রচুর শাপলা ফুটতো। আর ঝিলটি নাকি গভিরতায় অনেক বেশি ছিল। তাই সাধারণত মানুষ খুব একটা যেত না সেখানে…

Read More

ভালবাসার গল্প : এক রুপালি জ্যোৎস্নায়

ভালবাসার গল্প পেইন

১। দ্যাখ ,এইসব্ আমাকে মানায় না । তুই করবি কর । তোর ব্যপার আলাদা । একা মানুষ , টাকার অভাব নাই । আমার পুরা ফ্যমিলি টানতে হয় । আমার দরকার ছিল তোর জায়গায় থাকা … কিছু একটা এক্সট্রা শুরু করতে হবে ; যা কিছু হোক । আসল কথা হচ্ছে টাকা টা ইম্পর্টেন্ট ! এছাড়া লাইফ টাই অচল !! বেকার ! অন্তু টলতে টলতে পাশের ঘরে চলে গেল । রাশেদ উঠে দাঁড়াল । অন্তুর সাথে কথা বলা এখন বেকার ! পাগলের মত কিসব বলে চলেছে ! এক ধাক্কায় জানালাটা খুলে দিলো…

Read More

ভালবাসার গল্প : একজন অতি সাধারণ আমি…

ওভারব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে আছি আমি। সন্ধার সূর্যটা বহু আগেই বাড়ি ফিরে গেছে,রাস্তার সোডিয়াম হলুদ বাতিগুলোও জ্বলে উঠেছে আলোকময় নগরীকে আরেকটু আলোকিত করে দিতে। এই সময় বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে মানুষের,ফিরে যাওয়ার নিরব প্রতিযোগীতা যেন শুরু হয়ে যায়। ভীড় বাড়ে বাসে,এই যাত্রাবাড়ি,গুলিস্তান,মিরপুর,শ্যামলী,ডাক হাঁকায় কন্ট্রাক্টাররা। আর যাত্রিদের ফিরে যাবার আকুলতা দেখতে থাকি আমি। মানুষের জীবনটা বড় বিচিত্র। দিন শেষে রাতে পরিবারের পিছুটান এড়াতে পারেনা মানুষ। অবাক লাগে মাঝে মাঝে এরকম পিছুটান। আমার পাশেও ভীড় বাড়ে,অস্থায়ী বাসিন্দারা ফিরতে শুরু করেছে আপন নীরে। শুধু আমিই ব্যস্ততার পাশ কাটিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। হাতের জ্বলন্ত বেনসন এন্ড হেজেসটাও আপন মহিমায় উজ্বল হয়ে উঠছে। আমাদের পৃথিবীটাও হয়ত কোন জ্বলন্ত সিগারেট,প্রতি মুহুর্তেই ছোট হয়ে আসছে। আমার মত মধ্যবিত্ত বেকারের হাতে এজিনিস বেমানান। তবুও আজকের দিনে একটু বিলাসিতা হতেই পারে। টিউশনির বেতনটা এ মাসে দুদিন আগেই পেলাম। ছাত্রের বাসা পরিবর্তন হচ্ছে,সেই সাথে শিক্ষকও। দিনটা যে সত্যিকার অর্থে আমার জন্যেই। কাল হয়ত আবার এক গাদা চাকুরির আবেদনপত্র,নয়ত টিউশনি খোঁজার মত জরুরী কাজ পরবে। তাই আজকে একটু অবসর কাটানই যায়। পকেটে অনেকগুলো টাকাও আছে। পৃথিবিতে হয়ত টাকার সুখটাই বড় সুখ। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড থেকে দুবছর হল বের হয়ে এখনও বেকার ই আছি।হয়ত আরো থাকব। থাকিনা আজকে কিছুটা চিন্তামুক্ত। তন্ময় হয়ে চেয়ে থাকি আমি রাস্তার ব্যস্ততার দিকে। ফুটপাতের দোকান গুলোতেও ভীড় বাড়ে। লাল নীল চুড়ি,ফিতা,শখের আংটি। কত কিছুতে ছেয়ে আছে দোকান । আপনমনেই হেসে উঠি আমি। সুখ বুঝি খুব একটা দামী না। কত কম দামেই না সুখ পাওয়া যায় দোকানগুলোতে। চুড়ির সাথে মেশানো দুফোঁটা ভালবাসার সামনে জগতের অপ্রাপ্তি বড় মেকী লাগে। ভাবছি মায়ার জন্যে কিনে নেব নাকি এক ডজন।মায়া আমার একমাত্র ছোট বোন। কাচের চুড়ি খুব পছন্দ মেয়েটার্। কিন্তু রাখতে পারেনা ভেঙ্গে ফেলে। দূর থেকেই একজোড়া কানের দুল চোখে লাগছে,প্রিয়তার জন্যে নেয়া যেতে পারে। এই পাঁচ বছরেও মেয়েটার জন্যে কিছু করতে পারিনি আমি। আসলে পকেটে টাকা থাকলে সব সুখ কিনে নিত ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করাটা কি খুব বেশি বেমানান? আলোগুলোর প্রাবল্য কমতে থাকে,কমে মানুষের ভীড়। আমার পাশেও নিদ্রার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে,ওভারব্রীজের বাসিন্দাদের নিম্নবিত্তের সংসারে ঘুম নামের অন্ধকার নেমে পড়তে শুরু করেছে। ওরা কি স্বপ্ন দেখে? আসলে জীবনটা আপেক্ষিক,ওদের স্বপ্ন গুলো বড় সরল। আইনস্টাইন সাহেব কাছে থাকলে জীবনের আপেক্ষিকতার জটিল সুত্রটা শিখে নিতাম। আমিও বেশিক্ষন পিছুটান থেকে বেরুতে পারিনা,হয়ত অবসাদ,হয়ত ভালবাসা,অথবা অসহায়ত্ব। পা বারাতেই হয় আপন গৃহের দিকে। ফিরে হয়ত দেখব মায়ের আমাকে নিয়ে চিন্তা,মায়ার একগাদা প্রশ্ন,অথবা কাঠিন্যের মোড়কে থাকা বাবার মমত্ব নিয়ে অপেক্ষা। এরকম ভালবাসাকে উপেক্ষা করার সাহস হয়না আমার,ঠোটের কোণে এক চিলতে সুখ হাসি নিয়ে এগিয়ে যাই। হারিয়ে যাই সেই ব্যস্ত মানুষদের সাথে নিরব প্রতিযোগিতায়। এভাবেই হয়ত অজানা এক মোহে আটকে পড়ি আমরা,চাইলেও বেরুতে পারিনা।হয়ত বেরুতে চাইই না।

ওভারব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে আছি আমি। সন্ধার সূর্যটা বহু আগেই বাড়ি ফিরে গেছে,রাস্তার সোডিয়াম হলুদ বাতিগুলোও জ্বলে উঠেছে আলোকময় নগরীকে আরেকটু আলোকিত করে দিতে। এই সময় বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে মানুষের,ফিরে যাওয়ার নিরব প্রতিযোগীতা যেন শুরু হয়ে যায়। ভীড় বাড়ে বাসে,এই যাত্রাবাড়ি,গুলিস্তান,মিরপুর,শ্যামলী,ডাক হাঁকায় কন্ট্রাক্টাররা। আর যাত্রিদের ফিরে যাবার আকুলতা দেখতে থাকি আমি। মানুষের জীবনটা বড় বিচিত্র। দিন শেষে রাতে পরিবারের পিছুটান এড়াতে পারেনা মানুষ। অবাক লাগে মাঝে মাঝে এরকম পিছুটান। আমার পাশেও ভীড় বাড়ে,অস্থায়ী বাসিন্দারা ফিরতে শুরু করেছে আপন নীরে। শুধু আমিই ব্যস্ততার পাশ কাটিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। হাতের জ্বলন্ত বেনসন এন্ড…

Read More