শধু মঞ্চে না উঠতে না দিলেই কি ঐক্য ভেঙ্গে দেয়া হবে। হেফাজতের বিরোধিতা করতে হবে? বৃহত্তর সার্থে এটুকু কোরবাণী করা সম্ভব নয়? হুজর তো মহান ব্যক্তিত্ব ও উদার!! হুজুরের কাছে কি আমরা এ মহানুভবতা আসা করতে পারি না? আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন। আল্লাহর ওয়াস্তে সব ভুলে যান। অপ প্রচার করবেন না!! আপনাদের অনুরোধ করছি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। অপপ্রচার করবেন না। আমরা বিভক্তি হলে লাভ শুধু শত্রূ দের। আমদের শুধু ক্ষতি!! বিভক্তি হলে হেফাজতের আন্দোলনে কষ্টার্যিত ফল ঘরে তূলবে বি, এন, পি জামাত। আর হেফাজমকে বলা হবে জামাতের অংশ। আর সকল ক্বাওমি মাদ্রাসা হেফাজতের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করার কারণে সরকার সেগুলোকে জামাতি ও জঙ্গী বলে বেড়াবে, যা কওমি মাদ্রাসার ইতিহাস কলংকিত করবে। তাছাড়া হেফাজতের আন্দোলনের কিছু সমর্থক ও কমবে, যা ইসলামের সত্রুদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। অন্যদিকে বিভক্তির কারণে ইসলমী আন্দোলনের উপরে পূর্বারোপিত ‘আওয়ামী দালাল’ বলার সুয়োগ শত্রুরা পেয়ে যাবে। পীর সাহেব চরমোনাই ও তাঁর দল আলেম সমাজ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে যাবে, এক ঘরে হয়ে যাবে। এবং উনার অনেক ভক্ত ও সমর্থন হ্রাস পাবে। সব চাইতে বড় কথা হলো কোন ইসলামী রাজ নৈতিক দল যুগ যুগ আন্দোলন করে এত সমাদ্রিত, গৃহিত ও সফল হয়নি যা আমাদের যৌথ আন্দেলনে হয়েছে। জাতি অনেক আশা নিয়ে আমাদের এই ঐক্যের দিকে তাকিয়ে আছে। যদি শত্রুর চক্রান্তে আমাদের এ ঐক্যে ফাটল ধরে তাহলে এটা ইসলাম ও উম্মাহর বিশাল বিপর্যয় যা অপুরোনীয়। আমাদের স্বরণ রাখতে হবে যে এ যুদ্ধ ইসলাম ও তাগুতের যুদ্ধ।
শত্রু ও মিরজাফররা সর্বদা পিছনে লেগেই থাকবে। তারা আমাদের বিজয় চায় না। আমার জানা মতে এখানে হেফাজত ও ইসলামী আন্দোলনের মাঝে কিছু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে যা অতি সামান্য ও নগন্য। কিন্তু আমরা আবেগে তা অসেক বড় করে ফেলেছি। এটা শত্রুর জন্যই লাভ। আমি ঢাকাস্থ হেফাজতের মুরুব্বি মুফতি মিজান সাহেব মুফতি আব্দুররহমান সাহেব সহ অনেক মরুব্বিদের সাথে যোগাযোগ করেছি, ত্ঁরা বিষয় তারাও বিষযটি আলোচনায় এনেছেন। এবং সমাধানের পক্রিয়া শুরু করেরছন। এখনে যদি উনাকে ব্যক্তিগত দন্দ বা রাজ নৈতিক দন্দের কারনে মঞ্চে নানেয় হয়ে থাকে, আর সেকারনে যদি অনৈক্য তৈরী হয় তাহলে এটা পনের কুটি মুসলমানের সার্থে আঘাত করা হলো। আর যদি ত্রুটি উনাদের হয় তাহলে তাও সার্থে আঘাত করা হলো। কেন এমন হলো কৈফিয়ত চাই না চাই সমাধান!! বিম্বাস করুন (আল্লাহ পানাহ) যদি এ ঐক্যে ফাটল ধরে তাহলে বাংলা্র মাটিতে ইসলাম, ইমান, দাঁড়ি ও টুপি নিয়ে বেচে থাকা চেলেন্চের সম্মোখিন হয়ে যাবে। সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আলিম সমাজ ও ক্বাওমী মাদ্রসা!! ইসলামী আন্দোলনের ভাইদের বলছি : ইসলামের সার্থে আপনারা ধৈর্য ধরুন! আল্লাহর ওয়াস্তে শুধু তারই জন্য!! হেফাজতের মুরুব্বিদের পায়ে ধরে অনুরোধ করছি যতদ্রুত সম্ভব সমাধান করুন। আপনারা পনের কুটি মুসলমানের মনে আশার আলো জ্বালিয়ে ছেন। বিশ্বাস করুন এমুসলিম উম্মাহ আপনাদের দিকি তাকিয়ে আছে। যদি বুক চিরে দেখানো যেত খোদার কসম দেখিয়ে দিতাম যে আমরা কত আশা নিয়ে আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছি!! আল্লাহর ওয়াস্তে, জাতি ও ইসলামের সার্থে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিন পার্তক্য বিসর্জন করেন। একবার ইসলাম ও উম্মাহর উপর দয়াকরুন। আমরা কিছু চাই না ! আপনাদেরকে এক মঞ্চে চাই। আর চাই শুধু অক্ষুণ্ণ ঐক্য!!
মুসলমানরা সবাই একটি দোয়া খুব করতে থাকি যেন আলিম সমাজের ঐক্য অক্ষুণ্ণ থাকে। যারা বিভেদ করার চেষ্টা করে তাদেরকে বুঝাই যে বৃহত্তর সার্থে আমরা সব ভুলে যাই। আমাদের সব চাইতে বড় পাওয়া হল আলিম সমাযের ঐক্য। জনসংখ্যা আমাদের প্রাপ্তি না। যারা জনসংখ্যা কে প্রপ্তি মনে করেন তারা হুনাইনের যুদ্ধের কথা স্বরণ করুন। আমাদের শত্রুরা আমাদের মাঝে ফাটল ধরানোর চেষ্টাকরছে। আমাদের এটাও খেয়াল রাখতে হবে আমাদের কষ্টের ফসল জেন কেউ ঘরে তুলে না নেয়। সবাই খুব দোয়া করি।