বর্তমানে আউটসোর্সিং মার্কেটগুলোতে প্রথমদিকে বাংলাদেশের অবস্থান। ফলে ঘরে ঘরে Freelancer-এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশি তরুণ/তরুণীরা যেমন ঘরে বসেই লাখ টাকা আয় করছেন তেমনি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে দিচ্ছে এই আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে। শুধুমাত্র তাদেরই জন্যই আমার আজকের এই পোস্টটি। সেই সকল Freelancer-এর জন্য আমার এই পোস্টটি যারা তাদের দক্ষতা এবং শ্রমের বিনিময়ে দেশের জন্য শুধু অর্থ নয় বরং সুনামও বয়ে নিয়ে আসছেন। আমার ধারনা থেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজটি সম্পর্কে আমি কিছু বিষয় এপোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করব। এই পোস্টে আমি মূলত আলোচনা করব; যে কাজগুলা একজন ফ্রিল্যান্সার-এর করা উচিৎ নয়।
১। Freelancer – দের এলোপাথাড়ি বীট করাঃ
এলোপাথাড়ি ভাবে কাজের জন্য বীট করা কিংবা এপ্লাই করা উচিৎ নয়। প্রথমে বায়ারের কাজ সম্পর্কিত টেক্সট বাঁ ইনফোটি ভাল মত পরেনিন তারপর বীট করুন। আর নয় এলোপাথাড়ি বীট।
২। অসম্পুর্ন প্রোফাইলঃ
প্রোফাইল বাঁ অনলাইন মার্কেট প্লেসের অ্যাকাউন্টি-টি শত ভাগ সম্পুর্ন না করে কোন কাজে বীট করা উচিৎ হবে না।
৩। মিথ্যা পোর্টফলিওঃ
Freelancer-দের পোর্টফলিও সুন্দর কিংবা পরিপুর্ন করার জন্য মিথ্যা ছবি বা তথ্য যোগ না করাই ভাল। বরং আপনি যে কাজ করেছেন ঠিক সেই কাজেরই স্ক্রিন শট যোগ করুন। যদি অতিতের কোন কাজের স্ক্রিন শট না থেকে থাকে তবে যে কাজগুলো করতে আগ্রহী তার একটি একটি করে ডেমো তৈরি করুন এবং তথ্য সহ স্ক্রিন শট নিয়ে আপনার পোর্টফলিও পেজে যুক্ত করুন।
৪। Freelancer-দের অধৈর্য কিংবা অতি আশাঃ
অনেকেরই ধারনা ফ্রিল্যান্সিং করা শুরু করব আজ থেকে এবং কাল থেকেই কোটি কোটি টাকা আয় করব আবার অনেকেই ভাবে প্রতি মাসে প্রথম থেকেই অর্ধলক্ষ টাকা আয় করব। আমার মতে এই ক্ষেত্রে সকলকেই মনে রাখা কোন কিছুই স্রম আর কস্ট ছাড়া সম্ভব নয়। পৃথিবীর যে কোন উপায়ে আয় করতে গেলে যেমন স্রম, ধৈর্য এবং অনুশিলনের প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনি ভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতেও আপনাকে স্রম, ধৈর্য এবং অনুশিলন করতে হবে।
৫। অযথাই ভয়ঃ
সবশেষে বলব Freelancer-দের ভয়ের কথা। এই সমস্যা নতুন-পুরাতন সবার মাঝেই কম-বেশী আছে, কিন্তু সচেতন থাকলে ভয়কে জয় করে সাফল্য পেতে পারেন সকলেই। ভয় কোন সমাধান নয় শুধুই মনের বাধা মাত্র।