সেমি-ফাইনালে ফিরে গেছেন রস টেইলর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে

সেমি-ফাইনালে ফিরে গেছেন রস টেইলর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে

নিউ জিল্যান্ডের ২২ ওভারে সংগ্রহ করে ৪ উইকেটে ১৫১ রান।  কোরি অ্যান্ডারসন ১  ও গ্র্যান্ট এলিয়ট ১৪  রানে ব্যাট করছেন।

সেমি-ফাইনালে ফিরে গেছেন রস টেইলর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে

৭ ওভারে মর্নে মরকেল ফিরিয়ে দেন  ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে । ২৬ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাককালাম ডেল স্টেইনের ক্যাচে পরিণত হওয়ার পূর্বে।

পরবর্তি ওভারে মরকেল কেন উইলিয়ামসনকেও বিদায় করেন । ৬ রান করেন উইলিয়ামসন তার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ।

ফিরে যান মার্টিন গাপটিল ১৮ ওভারে। গত ম্যাচে ২ শতক করা এই ব্যাটসম্যান ৩৪ রান করেন রান আউট হওয়ার পূর্বে।

বাইশতম ওভাবের জেপি ডুমিনির বলে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসবন্দি হয়ে যান রস টেইলর (৩০)।

নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসের ৩৮তম ওভারে বৃষ্টি নামার ফলে  প্রায় ২ ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে প্রোটিয়ারা ২৮১ রান করে ৫ উইকেটে।

মঙ্গলবার “অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে” টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়ে ওঅথেন দক্ষিণ আফ্রিকার। ট্রেন্ট বোল্টের চমৎকার বোলিংয়ে ৩১ রানে  আউট হন ২ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নিউজিল্যান্ডের হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক।

অফস্টাম্পের বাইরের বল খেলার ফলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান হাশিম আমলা। ৬ রানে ১বার জীবন পাওয়াথার্ড ম্যানে টিম সাউদির হাতে ধরা পড়েন  ডি কক ।

ফাফ দু প্লেসির সঙ্গে ১১০ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেন রাইলি রুশো । কোরি অ্যান্ডারসনের বলে মার্টিন গাপটিলের দারুণ ক্যাচে রুশোর বিদায় ঘটে যার ফলে ভাঙন ঘটে ঐ প্রতিরোধ গড়া জুটির।

অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স এসেই রানের গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হয়ে ওঠেন। ৮৫ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর দু প্লেসিও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার পূর্বেই ঐ সময়ে এই দুই জনে ৭১ বলে ১০২ রানের জুটি গড়েন।

কিন্তু বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে এই জুটি বেশিক্ষন টিকে উঠতে পারেনা। অ্যান্ডারসনের ১ম বলে ১রান নেন ডি ভিলিয়ার্স। পরবর্তী বলে দু প্লেসি লুক রনকির গ্লাভসবন্দি হন । ১০৭ বলে খেলা তার ৮২ রানের ইনিংসটি গড়া ১টি ছক্কা ও ৭টি চারে।

আম্পায়ারের জোরালো আবেদনে সাড়া না দিয়ে ওয়াইড দেন। দেরি করেনি রিভিউ নিতে নিউজিল্যান্ড। রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টে আম্পায়ার দু প্লেসিকে আউট দেন ।

ক্রিজে এসেই মিলার ঝড়ো ব্যাটিং করা শুরু করেন। মাত্র ১৮ বলে ৪৯ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলার পথে ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি উপহার দেন তিনি। মিলারের ইনিংসটি ৩টি ছক্কা ও  ৬টি চার সমৃদ্ধ।

বৃষ্টির পর খুব বেশি বল খেলার সুযোগ না পাওয়াতে ডি ভিলিয়ার্স ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো তার ৪৫ বলের ইনিংসটি।

নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন ৩ উইকেটে নেন ৭২ রান। বোল্ট ২ উইকেটে নেন ৫৩ রান।

Related posts

Leave a Comment