ঢাকার অদূরে অবস্থিত সাভার উপজেলায় জাতিয় স্মৃতি সৌধ সংলগ্ন নবীনগর,কুঁরগাও,নিরিবিলি ও গাজীরচট এলাকায় ব্যাপক বৈদ্যুতিক গোলযোগের ফলে জন জীবন গভীর সঙ্কটে
রাজধানি ঢাকার ঠিক একষট্টি কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত অন্যতম বাণিজ্যিক শহর সাভার।পুরো সাভার উপজেলা জুড়েই রয়েছে বিভিন্ন স্থানে পোশাক শিল্প কারখানা।
সাভার নবীনগের রয়েছে জাতির উদ্দেশ্যে তৈরি স্মৃতি স্তম্ভ জাতিয় স্মৃতি সৌধ।রয়েছে সাভার সেনানিবাস গাজীরচট এলাকা জুড়ে। আরো আছে বাংলাদেশের সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
কিন্তু সাভার উপজেলার এই সকল গ্রাম গুলোতে নেই ভালো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।বিগত এক মাস ধরে সাভার নবীনগর,কুঁরগাও,নিরিবিলি ও গাজীরচট এলাকায় বৈদ্যুতিক সঙ্কট এক মহামারি আকার ধারণ করেছে!এলাকা বাসিদের মতবাদ দুই মিনিট ও থাকছে না বিদ্যুৎ!এতে সবার খাওয়া দাওয়া,গোসল ও অন্যান্য কাজ বাধা গ্রস্থ হচ্ছে।বিদ্যুৎ না থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ও কলেজে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে।রাতে শিশুদের পড়ায় মন বসছে না।এবংঅচিরেই শুরু হতে যাচ্ছে j,s,c ও p,s,c পরীক্ষা এমন অবস্থায় প্রচুর বৈদ্যুতিক গোলযোগ ডেকে আনতে পারে শিক্ষার্থীদের অন্ধকার ভবিষ্যৎ ধারনা অভিভাবকদের।সবার শুধু এখন একটাই প্রশ্ন সরকারের কাছে কবে হবে এই যন্ত্রণার অবসান?
স্থানীয়রা ও বাড়িওয়ালারাও নিচ্ছে না কোনো উদ্যোগ কিন্তু স্থানীয়রা বলছে তারা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছে।তারা প্রতিনিয়ত পল্লি বিদ্যুৎ ফোন করে যাচ্ছে কিন্তু তাতে হচ্ছে না কোনো লাভ!ফলে তারাও হতাশ।স্থানীয়দের কাছে পল্লিবিদ্দ্যুতের কর্মকর্তারা জানিয়েছে এই ভাবে বিদ্যুৎ আরও তিন মাস সমস্যা করতে পারে কারণ সারকারখানা তৈরি হচ্ছে আশুলিয়া থানার নয়ারহাট নামরে স্থানে।কিন্তু এলাকা বাসীদের ধারনা রাস্তায় নতুন ধরনের বিনা অনুমদনে চলিত ইলেক্ট্রিক রিক্সার কারণে এই ব্যাপক বিদ্যুৎ ঘাটতি।আর প্রায় এলাকার সব স্থানীয়দেরই এই বেয়াইনি ইলেক্ট্রিক রিক্সা ব্যবসা।কিন্তু এই বিসয়ে স্থানীয়রা কথা বলতে রাজি হননি।আবার কেউ কেউ দোষ দিচ্ছেন পোশাক শিল্প কারখনা গুলকে।অননুমোদিত পোশাক শিল্প কারখানা গুলো মানছে না কোনো সরকারি আইন আর কাজের সময়-সীমা বাধা নেই ফলে ক্ষয় হচ্ছে মূল্যবান বিদ্যুৎ এমন মতবাদ এলাকা বাসিদের।
অপর দিকে সরাসরি পল্লি বিদ্যুৎ কারো সাথে কোনো প্রকার কথা বলতে অনিচ্ছুক।