এক ক্লিকে দেখুব এবং মুছুন পেনডিং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টগুলো কোন অ্যাপস ছাড়াই!

ফেসবুক ‘লাইক' বলুন, আর টুইটার ‘ফলোয়ার' – দু'টোর প্রতিই মানুষের আগ্রহে কমতি নেই৷ কে কত বড় সেলিব্রেটি, বা কোন পণ্য কত বেশি জনপ্রিয়, সেসবের বিচারেও আজকাল বিবেচনায় আসে লাইকের সংখ্যা৷ তবে আমাদের দেশে জন্য টুইটার কিংবা টুইটারের ফলোয়ার ২টার প্রতিই মানুষের আগ্রহ কম। লাইকের চাহিদা বেশী। তবে এই লাইক কিন্তু বেশ সস্তায় বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশে৷ আর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটস প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে বলেছে "লাইক বা ক্লিক বাণিজ্যের" আন্তর্জাতিক কেন্দ্র! কি অবাক হচ্ছেন? আমিও প্রথম এই সংবাদগুলো কিংবা শিরোনামগুলো পড়ে খুব অবাক হয়েছিলাম! "বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা 'লাইক বাণিজ্যের' আন্তর্জাতিক বিশ্বের রাজধানী কিংবা বিশ্ব 'লাইক বাণিজ্যের' রাজধানী ঢাকা"! কিন্তু অনেক কস্ট পেয়েছি যখন অনেকেই এই ব্যাপারটাকে নিয়ে উপহাশ করেছিল। কিন্তু আমি বরাবরের মতই আনন্দিত এবং খুশি হয়েছি। এই খুশি হবার পিছের কারন কি জানেন? দুটা জরীপ এবং দুটা তথ্য তুলে ধরি তাহলেই বুঝতে পারবেন এই লাইক বিক্রিতে কিভাবে আমাদের দেশ উপকৃত হতে পারে। ২০১৩ সালে ভুয়া টুইটার ‘ফলোয়ার' বিক্রি করে ২২০ থেকে ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো আয় করেছে বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান৷ ফেসবুকের ভুয়া লাইক বিক্রি করে ৪০০ মিলিয়নের মতো আয় করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান৷ টাকা দিয়ে লাইক কেনার তালিকায় রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পেজও যার জন্য এই খাতে তাদের ব্যায় হয়েছে কয়েক লাখ মার্কিন ডলার৷ আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার লাইক প্রতি এক/পাঁচ টাকা বিক্রি করে করে প্রতিমাসে আয় করছে বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্র! আরও কিছু অবাক কর তথ্য দেই ফেসবুকের এই লাইক নিয়েঃ ফেসবুকের বয়স প্রায় ১০ বছর৷ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ সাইট এটি৷ আর এই সাইট ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও শেষ নেই৷ ফেসবুকের সুবিধা শুধু এর মালিক জুকারবার্গ নয়, নিচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব বড় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে দেশী প্রতিষ্ঠানগুলোও৷ হলিউড, বলিউড তারকারাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই৷ কোন অংশে পিছিনেই আমাদের দেশী তারকারাও। আরজে - ডিজে - ভিজে - নায়ক - নাইকা - ভিলেন - নেতা - নেত্রী কেউই মনে হয় আর বাদ নেই! তবে এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রি আর আরজেরাই তুলনা মুলোক ভাবে বেশী এগিয়ে আছে। অপর দিকে ফেসবুকের সাম্প্রতিক হিসাবে দেখা গেছে, সাইটটি থাকা অনেক পেজই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ঢাকা শহরে৷ ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির ফেসবুক পাতায় ভক্তের সংখ্যা প্রায় ৫১ মিলিয়ন৷ এই পাতা সবচেয়ে জনপ্রিয়তা ঢাকায়! একইভাবে ফেসবুকের নিজস্ব নিরাপত্তা পাতা এবং গুগলের ফেসবুক পাতাও লাইকের বিচারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঢাকা! অর্থাৎ এই পেজগুলোতে গড়ে বাংলাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশী লাইক বা একটিভ মেম্বার! বিশ্বাস করা যায়! তাই আমার মতে এতে কোন দোষের কিছুই দেখছি না বরং সোশ্যাল মিডিয়াতে থাকার পাশাপাশি যদি কিছু আয় হয় তাতে খারাপ কি? পার্সনাল সাইটঃ www.menafa.tk । Muhammad Mehedi Menafa ফেসবুক এ আমিঃ fb.com/mehedidamenafa । Mehedi Menafa ব্লগস্পট সাইটঃ mehed3.blogspot.com । Mehedi Menafa's Blog

ফেসবুকে আমরা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অনেকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়ে থাকি। ফেসবুকে একাউন্ট খুলার পরই দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে বন্ধু খুঁজে বের করা। ফেসবুকে প্রোফাইল তথ্য পূরণ করার পর দ্বিতীয় ধাপে আপনি যে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টগুলো পাঠাচ্ছেন তা অ্যাকসেপ্ট করলে তবেই আপনি তাদের ফেসবুক-ফ্রেন্ড হবেন তা আমরা সকলেই জানি। আর যদি এই রিকোয়েস্টগুলো অ্যাকসেপ্ট না করে তবে তা পেনডিং পরে থাকে। এভাবে একটি ফেসবুক আইডি থেকে অনেকগুলো রিকোয়েস্ট পাঠানো হলে এবং সেগুলো পেন্ডিং/ ইগনোর হলে এসব উক্ত ফেসবুক আইডিকে সার্ভার থেকে ব্লক করে দেয়া হয়। ফলে তারা বিভিন্ন মেয়াদে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লকের সম্মুখীন হন। মাঝে মধ্যে পারমানেন্ট ব্লক বা ফটো ভেরিফিকেশনে পরে প্রিয় অ্যাকাউন্টি হাঁড়াতে হয়!

অনেকেই পেন্ডিং সেন্ট-রিকোয়েস্ট চেক করার উপায় জানেননা বলে তাদের ব্লক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবার অনেকেই ভিবিন্ন অ্যাপস এর মাধ্যমে এই পেনডিং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টগুলো মুছতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক অ্যাপস এর মাধ্যমে যেভাবে পেনডিং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টগুলো রিমুভ করার এই ব্যাপারটা ছিল অনেক কস্টসাধ্য। অনেক দেরী করে হলেও অবশেষে ফেসবুকে পেনডিং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেখার একটা সহজ উপায় যুক্ত হল! যার মাধ্যমে যে কেউ খুব সহজেই তার পেনডিং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টগুলো দেখতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যবহারকারী উভয়ের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম। দু-প্রকারই নিম্নে দেওয়া হলঃ অথবা নিম্নের লিংকে ক্লিক/ভিজিট করেও দেখে নিতে পারেন আপনার পেনডিং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টগুলোঃ www.facebook.com/friends/requests

কম্পিউটারে ফেসবুক ভিজিট করার সময় ফ্রেন্ডস আইকনে (মেসেজ আইকনের বামপাশে) ক্লিক করুন। এবার ‘ফাইন্ড ফ্রেন্ডস’ অপশনে ক্লিক করুন। এখন যে পেজটি আসবে সেখানে আপনি ‘ভিউ সেন্ট রিকোয়েস্ট’ লিংক পাবেন। সেখানে ক্লিক করে পেন্ডিং রিকোয়েস্টগুলো দেখুন। এবার ইচ্ছে হলে লিস্ট থেকে কিছু/পুরো পেন্ডিং তালিকা ক্যান্সেল করে দিন। আপনি চাইলে সরাসরি এই লিংকে গিয়েও পেন্ডিং রিকোয়েস্ট তালিকা দেখতে পারেন। এবং মোবাইলে ফেসবুক ভিজিট করার সময় ফ্রেন্ডস মেন্যুতে গেলেই ‘সি সেন্ট ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পেজে আপনার পাঠানো রিকোয়েস্টের তালিকা পাবেন। এবার ইচ্ছেমত পেন্ডিং রিকোয়েস্ট ছাঁটাই করুন!

অথবা নিম্নের লিংকে ক্লিক/ভিজিট করেও দেখে নিতে পারেন আপনার পেনডিং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টগুলোঃ www.facebook.com/friends/requests

ফেসবুকের ওয়ালের পোষ্ট, শেয়ার সব হাওয়া হয়ে যাচ্ছে।

পার্সনাল সাইটঃ www.menafa.tk । Muhammad Mehedi Menafa
ফেসবুক এ আমিঃ fb.com/mehedidamenafa । Mehedi Menafa
ব্লগস্পট সাইটঃ mehed3.blogspot.com । Mehedi Menafa’s Blog

Related posts

Leave a Comment