স্কুল-কলেজে অধিকাংশ ছেলেদেরই একটাই ঘটনা ঘটিয়া থাকে। তাহা হইল মেয়েদের নিয়া অশালিন খুনসুটি। তবে কিছু পুং-লিঙ্গ ব্যাতিত। না তাহাদিগকে আমি কমন জেন্ডার বলিব না। তারা হইল পড়াশোনাখোর। তাদের কাজই ছিল ক্লাসে আসিয়া আরেকজনকে জিজ্ঞেস করা,”গতকালকে পটাসিয়াম-নাইট্রেটের সাথে শিক্ষক মশায় কি ঐটা অপদ্রব্য মিশাইয়াছিলেন তাহা বুঝিতে আমার এখনও যথেষ্ট বেগ পাইতে হইতেছে।”
তবে উহারা উপর দিয়া ভাজা মাছটি উলটাইয়া খাইতে না জানিলেও তল দিয়া ভাজা মাংস,ডিম,তরকারিও উলটাইয়া খাইতো। কেই বা জানিত যে আমাদের কিছু মেধাবি ভ্রাতারা এতটাই অ্যাডাল্ট ছিলেন !
সারা জীবন বয়েজ স্কুলে পড়িয়া পড়িয়া মেয়েদের নিয়া অশালিন খুনসুটি করিতে করিতে কান অর্ধেক পচাইয়া যখন কলেজ লাইফে কম্বাইন্ডে পড়িতে আসিলাম তখন বুঝিলাম যে আমাদের অধিকাংশ হিট অশালিন মন্তব্যকারি বন্ধুরাই এইখানে নিস্ক্রিয় হইয়া গিয়াছে।
এর কারন তাহাদের গার্ল-ফ্রেন্ড হইয়াছে। এখন তারা উপলব্ধি করিতে পারিতেছে যে তারা যাহা করিয়াছে তাহার কুফল কি। রাস্তা-ঘাটে দেখিতে-শুনিতে ভালো মেয়েদের তাহারা টিজিং করিত,বড় ছোট না মানিয়াই…সাড়া না পাইলে মাগি বলিয়া গাল দিত। আজ যখন তাদের গার্ল-ফ্রেন্ড নিয়া তারা তারিখিং (Dating) এ গেল। তখন পার্শ্ববর্তী ছোট ভাইয়েরা যখন মহা উৎসাহে তাহার গার্ল-ফ্রেন্ডকে মাগি বলিয়া গাল দিল তখন সে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হইয়া সামনে হাটিতে লাগিল…কয়জনকে আর মারধর করা যায় !? ক্লান্ত সৈনিকের মতো তার তখন একটাই কথা মনে পরিত,”ভাবিয়া করিও কাজ,করিয়া ভাবিও না।”