রানাকে বাঁচাতে নাকি পণ্ডিত সাঁজতে এই মিথ্যচার?

শুরুটা একটা প্রশ্ন দিয়ে করিঃ একদল পন্ডিত রানা খুলনায় আছে এইধরনের স্টাটাস ফ্যাসবুকে শেয়ার হওয়ার সাথে সাথে তথ্যটি ভুল, তথ্যটি শাগুদের চাল, যারা তথ্যটি শেয়ার করছে তারা নির্বোধ ইত্যাদি ইত্যাদি বলে প্রতিবাদ করে গলা ফাটিয়ে ফেলেছিল। যেই তথ্যের ভিত্তিতে এক ঘন্টার মাথায় খুলনায় র‍্যাব-পুলিশ অভিজান চালাল এবং শেষমেস যশোরের বেনাপোল থেকেই গ্রেপ্তার করা হল রানাকে। তবে কেন বা কি কারনে এই তথ্য শেয়ার করাতে একদলের এত কস্ট হচ্ছিল "রানাকে বাঁচাতে নাকি পণ্ডিত সাঁজতে? " রানাকে বাঁচাতে নাকি পণ্ডিত সাঁজতে এই মিথ্যচার? ঘটনার শুরু আজ সকাল ১১টা নাগাদ আমার এক ফ্যাসবুক ফ্রেন্ড একটা পোস্ট শেয়ার করে তাতে দেখতে পাই রানা খুলনা , সোনাডাঙ্গায় রয়েছে। পরে একটু খেয়াল করে দেখলাম মুল লিখাটি আমার উক্ত ফ্রেন্ড "বাঁশেরকেল্লা - Basherkella" নামক পেজ থেকে শেয়ার করেছে। আমাদের সকলেরই জানা পেজটি বর্তমানে ফ্যাসবুকে অন্যতম জনপ্রিয় বা এক পক্ষের মতে বিতর্কিত পেজ, এক পক্ষ দাবি করে "বাঁশেরকেল্লা - Basherkella" সবসময় মিথ্যচার করে। "বাঁশেরকেল্লা - Basherkella" মিথ্যাচার করে নাকি তারাই করে আজ তা আরেকবার স্পস্ট হল, ধারাবাহিক ভাবে এই লিখাটা পড়লেই আপনি এর উত্তর খুঁজে পাবেন। বারবারই বলা হচ্ছিল কেও যদি দেখে থাকেন রানাকে যেন ফ্যাসবুকের মাধ্যমে তা প্রচার করে দেওয়া হয়। সেই সুত্রেই হয়ত কেও উক্ত তথ্যটি "বাঁশেরকেল্লা - Basherkella" এর ফ্যানপেজের অ্যাডমিন কে বা অন্নান্য অ্যাডমিন কে ম্যাসেজ দিয়ে জানিয়েছেন। যে বা যারা জানিয়েছিল তাদের নাম এখনও জানা যায়নি। কিন্তু তার ঠিক ২.০০ থেকে ২.৩০ মিনিটের দিকে খুলনা , সোনাডাঙ্গায় রয়েছেন রানা ঐ তথ্যের বিরুধিতা বা ঐ তথ্যটি অপপ্রচার বলে আরেকটি পক্ষ গলা ফাটাতে শুরু করে। "শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ" নামক পেজটিতে তখন যা লিখা হইয়েছিল তা নিম্নরূপঃ http://black-iz.com/wp/wp-content/uploads/2013/04/shabag.jpg "প্রচণ্ড রকমের হতাশ ও হতবাক হই ফেসবুকে নির্বোধের সংখ্যা দেখে। খুলনার কোনো একটা বাড়িতে সোহেল রানার দেখা পাওয়া গেছে -- বাড়ির ঠিকানা দিয়ে এই মর্মে একটা স্ট্যাটাস এসেছে একটা ফেইক আইডি থেকে। অমনি স্ট্যাটাসটা ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে, আমার হোমপেজে স্ট্যাটাসটা বারবার আসছে shared হয়ে। শেয়ারকারীরা জানলই না, যে আইডিটা ('দাসত্ব শেকল') থেকে স্ট্যাটাসটা ছড়ানো হয়েছে, সে আইডিটা শিবিরচালিত একটা ফেইক আইডি। নির্বোধের দল কিছু না বুঝেশুনেই স্ট্যাটাসটা শেয়ার করা শুরু করল! রানা অত্যন্ত ধূর্ত ও প্রতাপশালী। এই খুনিটা এত বোকা না যে, তার পালাবার জায়গাটা এভাবে ফাঁস হয়ে যাবে। খুলনার যে বাড়িটার ঠিকানা ছাগুরা ছড়াচ্ছে, সেখানে নিশ্চয়ই এখন কিছু লোক জমে যাবে এবং সেখানে একটা দাঙ্গা-ফ্যাসাদ ঘটবে। আর সেই দাঙ্গা দেখে আনন্দে বগল বাজাবে ছাগুর পাল। খোঁজ নিলে দেখা যাবে স্ট্যাটাসে বর্ণিত ঐ বাড়িটি হয়তো কোনো মুক্তিযোদ্ধার বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো অনলাইন অ্যাকটিভিস্টের, তাকে হয়তো সেরেফ হয়রানিতে ফেলতেই তার বাড়ির ঠিকানা ছাগুরা ফেসবুকে ছড়াচ্ছে। এই সহজ হিশাবটা কেন বুঝি না আমরা? কেন এতটুকু কমন সেন্স না খাটিয়েই যা দেখি তাই শেয়ার করে বসি? সাইদিকে চাঁদে দেখা যাওয়ার কিংবা এনাম মেডিকেলে একশো লাশ লুকোবার গুজব যারা ছড়িয়েছে, খুলনায় রানাকে পাওয়ার গুজব ওরাই ছড়াচ্ছে। গুজব আর ফটোশপ ছাড়া ওদের কোনো অবলম্বন নেই। ওমুক ছবি শেয়ার দিলে ওমুক অসুস্থ ব্যক্তিকে ফেসবুক ১ডলার দেবে, ওমুক ছবিতে লাইক দিলে বা শেয়ার করলে নেকি পাওয়া যাবে -- এইজাতীয় বিভ্রান্তির ফাঁদে পা দেবেন না প্লিজ। ছাগু আইডিগুলো নিজ দায়িত্বে চিনে রাখুন। ছাগুদের দেয়া তথ্য বিশ্বাস করার আগে বা ছড়াবার আগে দয়া করে তা যাচাই করে নিন।" উক্ত লিখাটা পরে অবাক হয়েছিলাম কারন যেই ব্যাক্তি তথ্যটা দিয়েছে তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে বরং বাজে বোকা হল অথচ ঠিক তার এক ঘন্টার মাথায় খুলনায় র‍্যাব-পুলিশ অভিজান চালাল এবং শেষমেস খুলনার বেনাপোল থেকেই গ্রেপ্তার করা হল। তখন আরও হতাশ ও হতবাক হলাম এরা কি রানাকে বাঁচাতে চেয়েছিল নাকি পণ্ডিত সাঁজতে (খুলনা, সোনাডাঙ্গায় রানা উক্ত) তথ্যটি ভুল প্রমানে উঠে পরে লেগেছিল? যদি বাঁচাতে হয় তাহলে কিছুই বলার নেই শুধুই আরও হতাশ হব আর যদি হয় পণ্ডিত সাঁজতে তাহলে বলব গন্ড মুর্খ-এর দল তোমরা এখন থেমে যাও, যুক্তিহীন কথার বর্তমানে আর কোন মুল্য নেই। http://black-iz.com/wp/wp-content/uploads/2013/04/sdsdsfd.jpghttp://black-iz.com/wp/wp-content/uploads/2013/04/sssssssss.jpg আরও কিছু বলাতে ইচ্ছে করছে তাদের তারা বলে ফেসবুকে নির্বোধের সংখ্যা দেখে তারা হতাশ ও হতবাক হচ্ছে, অথচ তাদের মত আহম্মক আর গন্ড মুর্খ দেখে আমরা শুধু হতাশ ও হতবাক নই রীতি মত তাদের আমরা আবাল মনে করি। তাদের চামচাগুলকে মনে হয় ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা, কিছু না বুজেই নাচে। তারা মনে করে তারা যা বলবে তাই সত্য। এবার সেই ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাগুলিকে কিছু বলব এত বিশ্বাস করিস যাদের, তোদের সেই পণ্ডিত-রাই বলল/বলেছিল "...যে আইডিটা ('দাসত্ব শেকল') থেকে স্ট্যাটাসটা ছড়ানো হয়েছে, সে আইডিটা শিবিরচালিত একটা ফেইক আইডি। নির্বোধের দল কিছু না বুঝেশুনেই স্ট্যাটাসটা শেয়ার করা শুরু করল!..." দাসত্ব শেকল কি এই তথ্য ফ্যাসবুকে শেয়ার দিয়েছে কিনা জানি না তবে দিয়ে থাকলেতো হলই আর যদি না দিয়ে থাকে তবে রানা গ্রেপ্তারের তথ্য প্রকাশের সাহসিকতার পুরষ্কার জোড় করেই শিবিরকে দিয়ে দেওয়া দিল? আরও একটা কথা আমাকে খুব অবাক করছে, তারা লিখেছে "খোঁজ নিলে দেখা যাবে স্ট্যাটাসে বর্ণিত ঐ বাড়িটি হয়তো কোনো মুক্তিযোদ্ধার বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো অনলাইন অ্যাকটিভিস্টের, তাকে হয়তো সেরেফ হয়রানিতে ফেলতেই তার বাড়ির ঠিকানা ছাগুরা ফেসবুকে ছড়াচ্ছে। এই সহজ হিশাবটা কেন বুঝি না আমরা? কেন এতটুকু কমন সেন্স না খাটিয়েই যা দেখি তাই শেয়ার করে বসি?" এখন আমার আফছুছ একটা জিনিষের প্রতিবাদ করতে কি বিন্দু পরিমান সত্য কিংবা তথ্য আপানারা জেনে নিতে পারেন না? আমার প্রশ্ন আপনাদের কি কমন সেন্স বলতে কিছু আছে? নাকি রানাকে বাঁচাতেই এই ব্যার্থ চেস্টা চালালেন? নাকি ছাগলের তিন নম্বার বাচ্চাদের সামনে পণ্ডিত সাঁজতে চেয়েছিলেন? http://sphotos-e.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash4/399904_560455317330623_1749912483_n.jpg সব শেষে তাদের উদ্দেশ্য বলব শুধু একটা পক্ষ এখনও আঁকড়ে ধরে বসে না থেকে সত্যকে মেনে নিন এবং অযথাই যুক্তিহীন তর্ক কোন লাভ নেই। যুক্তিহীন তর্ক, মিথ্যা তথ্য আর মনগড়া কথা শুধুই বিভেদ বাড়াবে কমাবে না। তাই সকলেরই বুদ্ধি বা কমন সেন্স এর উদয় হবে এই আশা করে আজকের মত এটুকুই।

শুরুটা একটা প্রশ্ন দিয়ে করিঃ একদল পন্ডিত রানা খুলনায় আছে এইধরনের স্টাটাস ফ্যাসবুকে শেয়ার হওয়ার সাথে সাথে তথ্যটি ভুল, তথ্যটি শাগুদের চাল, যারা তথ্যটি শেয়ার করছে তারা নির্বোধ ইত্যাদি ইত্যাদি বলে প্রতিবাদ করে গলা ফাটিয়ে ফেলেছিল। যেই তথ্যের ভিত্তিতে এক ঘন্টার মাথায় খুলনায় র‍্যাব-পুলিশ অভিজান চালাল এবং শেষমেস যশোরের বেনাপোল থেকেই গ্রেপ্তার করা হল রানাকে। তবে কেন বা কি কারনে এই তথ্য শেয়ার করাতে একদলের এত কস্ট হচ্ছিল “রানাকে বাঁচাতে নাকি পণ্ডিত সাঁজতে? ” রানাকে বাঁচাতে নাকি পণ্ডিত সাঁজতে এই মিথ্যচার? ঘটনার শুরু আজ সকাল ১১টা নাগাদ আমার এক ফ্যাসবুক…

Read More

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: দুর্বৃত্ত সোহেল রানা কে রক্ষার রাষ্ট্রীয় আয়োজন -রাশেদ মেহেদী

রিপোস্টঃ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’র ঘটনায় ভবন মালিক আর গার্মেন্ট মালিকদের পুরনো নিয়মেই রক্ষার আয়োজন চলছে। প্রধানমন্ত্রী অপরাধীদের ধরার ঘোষণা দিচ্ছেন পুরনো নিয়মে, সুশীল সমাজ, শ্রমিক নেতারা মালিকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছেন নিয়মমাফিক। অন্যদিকে দুর্বৃত্তায়িত রাষ্ট্রব্যবস্থা সবার চোখের সামনেই মালিক নামধারী দুর্বৃত্তদের রক্ষার জন্য পরিকল্পিত রোডম্যাপ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। অতীতে লঞ্চডুবি, অগ্নিকান্ড, ভবন ধ্বস, বড় ধরনের সড়ক দূর্ঘটনার মত ঘটনায় যে রোডম্যাপ শত শত মানুষ হত্যার দায় থেকে মুক্ত করেছিল দায়ীদের, এবারও তাই হচ্ছে, নতুন কিছু নয়। দুর্বৃত্ত প্রশাসনের প্রহসনের তদন্ত, অতীত অভিজ্ঞতা:স্বাধীন বাংলাদেশে দূর্ঘটনাজনিত কারনে সবচেয়ে বেশী প্রাণহানি ঘটেছিল ২০০৩ সালের ৮ জুলাই। ওই দিন চাঁদপুরের মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ ডুবে আট শতাধিক মানুষের সলিল সমাধি হয়েছিল। সরকারি অনুমোদন পত্রে লঞ্চটি’র ধারন ক্ষমতা ছিল ৪৭০। সেই লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর যখন নদী থেকে আট শতাধিক লাশ তোলা হল, জীবিত উদ্ধার করা হল আরও প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ তখন কারও বুঝতে বাকী থাকে না, লঞ্চডুবির জন্য দায়টা কার ছিল। ৪৭০ ক্ষমতার একটি লঞ্চে যাত্রী ছিল দুই হাজারের বেশী! সে সময়কার নৌপরিবহনমন্ত্রী আকবর হোসেন স্বীকার করেছিলেন, লঞ্চটিতে অস্বাভাবিক পরিমাণ অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারনেই ্ ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটেছে। তখনকার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লঞ্চ মালিক এবং কর্মকর্তাদের ধরার জন্য জোর গলায় নির্দেশ দিলেন, তিন-চারটা তদন্ত কমিটি হল। ঘটনার মাস তিন-চারেকের মদ্যে তদন্ত রিপোর্টও জমা দেওয়া হল সরকারের কাছে। তবে ওইসব তদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ল সাংবাদিকরা। তৎকালীন নৌ পরিবহনমন্ত্রী সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই বেশ দামী লঞ্চ করালেন। লাঞ্চের পর শুরু হল সংবাদ সম্মেলন। ‘তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে, রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ এর বাইরে আর কোন তথ্য সংবাদ সম্মেলনে পাওয়া গেল না।মন্ত্রী বললেন, সবগুলো রিপোর্ট ভাল করে পড়ে, তারপর জাতির সামনে প্রকাশ করবেন। প্রয়াত মন্ত্রী আকবর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তার জীবদ্দশায় তিনি তদন্ত রিপোর্টগুলো পড়ে শেষ করেছিলেন কি’না জানিনা, রিপোর্টটি জাতির সামনে প্রকাশ করা হয়নি। তবে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সূত্রে তদন্ত কমিটিগুলোর রিপোর্ট সংগ্রহ করেছিলেন। বিআইডব্লিউটিএ ও সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের যৌথ রিপোর্টে বলা হল, লঞ্চটির ধারন ক্ষমতা ছিল ৪৭০ জন যাত্রী, অসর্তকতাজনিত দূর্ঘটনার জন্য লঞ্চ ডুবে অর্ধ শতাধিক (‘আট’ এর জায়গায় ‘অধর্’ লিখে এই ভয়ংকর ট্র্যাজেডিকেই ভুলিয়ে দেওয়া হয় ওই রিপোর্টে) নিহত হয়। অবশ্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত রিপোর্টে নিহতের সংখ্যা সঠিকভাবেই উল্লেখ করা হয়, অতিরিক্ত যাত্রী এবং মালামালের চাপে লঞ্চের তলদেশ ফেটে দূর্ঘটনা ঘটে সে কথাটিও বলা হয়, কিন্তু রিপোর্টে এর জন্য সরাসারি মালিককে দায়ী না করে ‘লঞ্চ পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে’ দায়ী করা হয়। একটি মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বিআইডব্লিউটিএ এর কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, ওই তদন্ত রিপোর্টের কারনে এমভি নাসরিনের মালিকও বেঁচে গেলেন। কারন বিআইডব্লিউটিএ এর রিপোর্টটি ছিল প্রশাসনিক তদন্ত রিপোর্ট এবং মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টটি আসলে ছিল বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট। আইনের বিচারে পর্যবেক্ষণ নয়, প্রশাসনিক রিপোর্টটিই ছিল গুরুত্বপূর্ণ! প্রত্যেকটি দূর্ঘটনার পর এই ভুল প্রশাসনিক তদন্ত রিপোর্ট সবকিছু শেষ করে দিয়ে দুর্বৃত্ত মালিকদের রক্ষা করে। স্পেকট্রাম ভবন ধ্ব, ফিনিক্স ভবন ধ্বস, জাপান গার্ডেন সিটিতে আগুন, নিমতলীর আগুন, তাজরীনে আগুন, সবক্ষেত্রেই নানা কৌশলে তদন্তে ফাঁক-ফোকর রেখে অপরাধীদের বাঁচানো হয়েছে। প্রশাসন-পুলিশ-সরকার-আদালত, দুর্বৃত্তায়িত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সব কিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ দুর্বৃত্তদেরই। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সর্বোচ্চ কাঠামো থেকে একেবারে নীচ পর্যন্ত কতিপয় রাজনৈতিক-আমালতান্ত্রিক দুর্বৃত্তদেরর চাহিদা, ইচ্ছা-অনিচ্ছার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। দুর্বৃত্তায়িত ব্যবস্থার রাষ্ট্র নায়করা মুখে দরদ দেখালেও মগজের ভেতরে মধ্যযুগের সামন্ত প্রভুদের মতই খেটে খাওয়া সাধারন মানুষকে ‘মানুষ’ গণ্য করেন না। ‘গৃহপালিত’ প্রাণী আর খেটে খাওয়া মানুষকে এক কাতারেই বিচার করেন তারা। ‘এই বিপুল মানুষের অভাবের দেশে এক শ্রমিক মারা গেলে একশ শ্রমিক পাওয়া কোন বিষয়, নয় কিন্তু একজন উদ্যেক্তা মালিক এক দিনে তৈরি হয় না, এক মুহুর্তে পাওয়াও যায় না। একজন শ্রমিক তার নিজের পরিবারের জন্য আয় করে, একজন মালিক আয় করে হাজার-লক্ষ পরিবারের জন্য’-এই তত্ত্বটি বিজিএমইএ নেতাদের অধিকাংশই দিয়ে থাকেন। এই তত্ত্বটি রাষ্ট্রেরও মূল্যবোধ বলেই প্রত্যেকটি ট্র্যাজেডি’র পর হতভাগ্য শ্রমিকদের লাশের হিসেব শেষ হলেই রাষ্ট্রনায়করা ঘটনার জন্য দায়ী দুর্বৃত্ত মালিকরে সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আড্ডায় বসেন, কফিতে চুমুক দেন, ক্লাবে পার্টিতেও একসঙ্গে দেখা যায়! দুর্বৃত্ত মালিকরা আবারও মহা উৎসাহে নতুন ট্র্যাজেডি’র জন্ম দেওয়ার জন্য ক্রমাগত দায়িত্বহীন আর অসতর্ক হতে শুরু করেন। পুরো পরিণতির দিকে সাভার ট্র্যাজেডি’র ঘটনা প্রবাহ: সাভারের বিধ্বস্ত রানা প্লাজার অনুমোদন দিয়েছিল সাভার পৌরসভা। পৌর বিএনপি’র নেতা রেফায়েতুল্লাহ বর্তমানে পৌরসভার চেয়ারম্যান। স্থানীয় সরকার(পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন আইন, পৃথকভাবে প্রত্যেক আইনে) আইন অনুযায়ী আওতাধীন এলাকার মধ্যে স্ব স্ব পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত পরিদর্শনের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরি করবে এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(যদি থাকে, যেমন রাজউক, চউক) এবং পুলিশ প্রশাসনকে তালিকাটি দেবে সেই দায়িত্ব কি পৌরসভা পালন করেছিল। পৌরসভা ছয় তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল, ভবন নির্মাণ করা হয়েছে নয় তলা, অনুমোদন ছিল শপিং মলের, স্থাপন করা হয়েছে পাঁচটি গার্মেন্টস কারখানা। বছরের পর বছর ধরে চলা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সাভার পৌরসভা ব্যবস্থা গ্রহন না করার কারনেই এতবড় দূর্ঘটনার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে, হয়ত আরও কোন বড় দূর্ঘটনার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। অথচ ঘটনার পর থেকে পৌরসভার এই দায়িত্বহীনতা নিয়ে একবারও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে না, পৌরসভা চেয়ারম্যানের কাছে জবাবদিহিতাও চাওয়া হচ্ছে না! সাভার পৌরসভার কয়েকজন প্রকৌশলীকে ধরা হয়েছে, কিন্তু পৌর চেয়ারম্যান কি দায়মুক্ত? ভবনটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগের দিন মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) সকালে ভবনে ফাটল দেখা যায়। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ইউনিটের কর্মকর্তারা স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শনে এসেছিলেন। শিল্প পুলিশ কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী ভবনটি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষার আগে চালু না রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী গার্মেন্টস কারখানায় ছুটি দেওয়া হয়, দোতলার মার্কেটও সঙ্গে সঙ্গে করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত ওইদিন বিকেলেই ভবন মালিক আব্দুল খালেকের(কুলু খালেক নামে পরিচিত) ছেলে সোহেল রানা সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হোসেন সরদারকে নিয়ে আসেন ঘটনাস্থলে। কবীর হোসেন সরদার শিল্প পুলিশ এবং উপজেলা প্রকৌশলীর দেওয়া কারখানা বন্ধ রাখার পরামর্শ উড়িয়ে দিয়ে ভবনকে ‘ঝুঁকিমুক্ত’ ঘোষণা দেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন,‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ভাবার কোন কারন দেখছি না’। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যদি আগের দিন ভবন মালিকের পক্ষে এমন ঘোষণা না দিতেন, তাহলে হয়ত গার্মেন্টস মালিকরাও এই ভবনের ভেতরে নির্দি¦ধায় কারখানা চিন্তা করতেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হোসেন সরদার ভবন মালিক এবং গার্মেন্ট মালিকদের চেয়ে কোন অংশ কম অপরাধ করেননি। অথচ তাকে ঘটনার তদন্ত কমিটিতেও রাখা হয়েছিল। পরে অবশ্য এ নিয়ে স্থানীয় জনতার ব্যাপক ক্ষোভের মুখে কবীর হোসেন সরদারের নাম তদন্ত কমিটি থেকে প্রত্যাহার করা হয়। কবীর হোসেন সরদারকে সাময়িক বরখাস্ত সহ গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? প্রধামমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কি কবীর হোসেন সরদারের অপরাধ সম্পর্কে অবহিত নন? পিতা আব্দুল খালেকের মালিকানধীন ‘রানা প্লাজা’ পরিচালনা করতেন সোহেল রানা। সাভার পৌর যুবলীগের তিনি যুগ্ম আহবায়ক। পৌর যুবলীগের এই যে কমিটি এটা কিন্তু কেন্দ্রীয় যুবলীগ অনুমোদিত কমিটির বাইরে আরও একটি কমিটি। স্থানীয় এমপি তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের কমিটি। ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামীলীগ দলের প্রত্যেক স্তরেই মুরাদ জং এর নিজস্ব আহবায়ক কমিটি আছে। তার কমিটিতে আছে আহবায়ক এবং যুগ্ম আহবায়কের পদ। বিস্ময়কর হলেও সত্য মুরাদ জং মনোনীত সাভার পৌর যুবলীগের কমিটিতে সোহেল রানা সহ ২৬টি যুগ্ম আহবায়কের পদ আছে। মুরাদ জং কে মাসে কি পরিমাণ চাঁদা তুলে দেওয়া হয় তার উপর তার মনোনীত কমিটিতে পদ নির্ভর করে। বিধ্বস্ত রানা প্লাজার দেওয়ালে দেখা গেছে মুরাদ জং কে শুভোচ্ছা দিয়ে রানার ছবি। মুরাদ জং সোহেল রানার কপালে আশীর্বাদের চুমা দিচ্ছেন, বুকে জড়িয়ে রেখেছেন, এমন ছবিও আছে। সাভারবাসী যার সঙ্গেই কথা হয়েছে সবারই একটা কথা, ‘রানা তো মুরাদ জং এ লোক, তার কি শাস্তি হবে?’ মুরাদ জং সাভার এলাকার মাফিয়া ডন। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তিনি বাতাসে মিলিয়ে যান। সোহেল রানার ক্ষেত্রেও তাই। এই রানা প্লাজাতেই যুবলীগ নেতা গাজী আব্দুল্লাহ খুন হয়েছিলেন। সবাই জানত রানা খুন করেছে। রানা কে আসামী করে মামলাও হয়েছিল, মুরাদ জং মামলা থেকে রানার নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন, পুলিশ বাদ দিয়ে দেয়। সাভারের আর এক সন্ত্রাসী ভিপি হেলাল। চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল তার বাজার রোডে। ভিপি হেলাল কে গুম করে সেই প্রতিষ্ঠান দখল করে নেন উঠতি সন্ত্রাসী মোহেল রানা। রানার বাবা আব্দুল খালেদ বিএনপি’র পাঁচ বছল বিএনপি’র এমপি ডা.দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু’র ডানহাত ছিলেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমকতায় এলে তিনি মুরাদ জং এর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগ দেন। সোহেল রানা তো একজন। কিন্তু মুরাদ জং-সালাহউদ্দিন বাবু’রা আরও অসংখ্য সোহেল রানা এরই মধ্যে তৈরি করে রেখেছেন। মুরাদ জং, বাবু’র মত গডফাদারদের বার বার এমপি বানালে অসংখ্য সোহেল রানা তৈরি হবে, অঘটনও ঘটবে একটার পর একটা। মুরাদ জং-বাবুদে’র কার প্রয়োজন? শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়ার? হ্যাাঁ নোংরা, অসুস্থ রাজনীতির চর্চা করেন বলেই শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়ার মুরাদ জং-বাবু’র মত গুন্ডা সর্দার, গডফাদার পুষতে হয়। মুরাদ জং রা পোষেন সোহেল রানা। অতএব মুরাদ জং কে শেখ হাসিনা, বাবুকে খালেদা জিয়া আর মুরাদ জং-বাবুরা সোহেল রানা কে রক্ষা করবে। ফর্মূলা সোজা, আগের ট্র্যাজেডিগুলোর মতই এবারও বিচার পাবে না স্বজনহারা অসহায় মানুষগুলো, তাদের পাশে হাসিনা-খালেদা কেউই নেই তো! সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলঅ হয়েছে দু’টি। একটি রাজউক করেছে ইমারত আইনের ১২ধারায়(নকশা ও বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ না করার জন্য)। এর সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। আর একটি মামলা করেছে পুলিশ‘অবহেলা জনিত হত্যা’। ফৌজদারি আইনের ৩০৪ ধারায় এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড। মামলাটি জামিনযোগ্যও বটে। যাবজ্জীবন সাজার ক্ষেত্রে একটু পয়সা-কড়ি খরচ করলেই সোহেল রানার মত টাউট-বাটপাররা দু’চার বছরেই খালাস পেয়ে আগের ফর্মে ফিরে যেতে পারবে। আর জামিনযোগ্য হওয়ার কারনে বাইরে থেকে ইচ্ছেমত বিচারেও প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। সাক্ষীদের হুমকি দিয়ে আদালতে আসতে বাধা দিতে পারবে! অথচ ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবনে জোর কারে ডেকে এনে কাজ করানোর জন্য সোহেল রানার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায়(এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড,জামিন অযোগ্য) মামলা হতে পারত। একটা ক্ষতিপূরণ মামলাও জরুরী ভিত্তিতে করা যেত। প্রায় তিন হাজার হতাহত বিবেচনা করলে ক্ষতিপূরণ আইনে জনপ্রতি এক কোটি হিসেবে তিন হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ মামলা করা যায়। ক্ষতি পূরণের টাকা হতাহতদের পরিবারকে দেওয়া যেতে পারত। কিন্তু ওসে মামলাও করা হয়নি। দুই চার হাজার টাকা নগদ দিয়ে হতাহতদের বিশাল সাহায্যের খবর প্রচার করা হচ্ছে বিটিভিতে! মুরাদ জং কি সোহেল রানার বিরুদ্ধে যথাযথ ক্ষতিপূরণ মামলা করতে দেবেন? প্রধানমন্ত্রী আর মন্ত্রীরা যাই মুখে যাই বলুন, মুরাদ জং এর পরামর্শের বাইরে গিয়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেবেন কি? নেওয়ার ইচ্ছে থাকলে কি শুরুতেই সোহেলের বিরুদ্ধে দুর্বল মামলা হত? সোহেল রানা লাপাত্তা। মুরাদ জং অবশ্যই জানেন সোহেল রানা কোথায় আছেন? প্রধানমন্ত্রী সত্যিই সোহেল রানার গ্রেফতার চাইলে আগে মুরাদ জং কে আটক করার নির্দেশ দিতেন এবং সোহেল রানা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত মুরাদ জংকে ছাড়তেন না। সামনে নির্বাচন, ভোটের রাজনীতি আর আর্ন্তজাতিক বাজারে দেশের গার্মেন্ট শিল্পের দুর্দিনের আশংকায় হয়ত সোহেল রানা শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হবেন, কিন্তু দুর্বল মামলায় আবার ছাড়া পেয়ে নতুন করে রানা প্লাজা নির্মাণ করে এলাকার শেঠ হবেন, সম্ভাবনা কি সেদিকেই যাচ্ছে না? রাশেদ মেহেদী, সাংবাদিক rasedmehdi.blogspot.com

রিপোস্টঃ  রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’র ঘটনায় ভবন মালিক আর গার্মেন্ট মালিকদের পুরনো নিয়মেই রক্ষার আয়োজন চলছে। প্রধানমন্ত্রী অপরাধীদের ধরার ঘোষণা দিচ্ছেন পুরনো নিয়মে, সুশীল সমাজ, শ্রমিক নেতারা মালিকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছেন নিয়মমাফিক। অন্যদিকে দুর্বৃত্তায়িত রাষ্ট্রব্যবস্থা সবার চোখের সামনেই মালিক নামধারী দুর্বৃত্তদের রক্ষার জন্য পরিকল্পিত রোডম্যাপ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। অতীতে লঞ্চডুবি, অগ্নিকান্ড, ভবন ধ্বস, বড় ধরনের সড়ক দূর্ঘটনার মত ঘটনায় যে রোডম্যাপ শত শত মানুষ হত্যার দায় থেকে মুক্ত করেছিল দায়ীদের, এবারও তাই হচ্ছে, নতুন কিছু নয়। দুর্বৃত্ত প্রশাসনের প্রহসনের তদন্ত, অতীত অভিজ্ঞতা:স্বাধীন বাংলাদেশে দূর্ঘটনাজনিত কারনে সবচেয়ে বেশী প্রাণহানি ঘটেছিল ২০০৩…

Read More

কিং খানের অভাব মেটাতে ছাগল ‘শাহরুখ’কে নিলেন জানকি

ভালবাসার গল্প

মুম্বাই: পরিচালক জানাকি বিশ্বনাথন চেয়েছিলেন তার আগামী ছবিতে অভিনয় করুন শাহরুখ খান, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তাতে দমে যাননি জানাকি। শাহরুখকে তিনি অভিনয় করালেন তার আগামি ছবিতে। তবে ফারাক শুধু একটাই সেটা মানুষ কিং খান নন, এমন এক ছাগল যার নাম শাহরুখ খান। সেই ছাগল শাহরুখ খানে ভর করেই বক্স অফিস মাতাতে চান জানাকি বিশ্বনাথন। এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে রাতারাতি খবরের শিরোনামে জানাকি বিশ্বনাথন। শাহরুখ খানকে নিজের ছবিতে অভিনয় করাতে না পারায় অন্য এক পন্থা অবলম্বন করেন পরিচালক। অনেক খোঁজ খবর করে মহারাষ্ট্র-কর্নাটক সীমান্তের বিদার নামের এক গ্রাম থেকে জানাকি…

Read More

ফেসবুকের জন্ম ইতিহাস অজানা অনেক কথা !! জেনে নিন ।

ফেসবুকের প্রয়োজনীয় ২০টি চরম টিপস এবং ট্রিকস পর্ব ১

ফেসবুক ডট কম। কে না চিনে? যে ফেসবুক চিনে না সে কোনদিন এই লেখা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেনা বলে আমার ধারনা। যাই হোক, ফেসবুক হলো সোশিয়াল নেটওয়ার্ক জায়ান্ট। নয় গুগল পেজ র‍্যাঙ্ক নিয়ে এলেক্সা ডট কমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের ২য় বৃহত্তম সাইট। মাঝ খান দিয়ে একবার অনেক দিন বিশ্বের এক নাম্বার সাইট ছিলো। ফেসবুক প্রথম পাতা ফেবুকের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। তবে আজকে একটু গভীরভাবে জানবো। ১৯৮৪ সালে নিউ ইয়র্কে জন্ম নেওয়া কম্পিউটার প্রোগ্রামার মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। ২০০৪ হলো ফেবুকের প্রতিষ্ঠা সাল।…

Read More

বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা চলচ্চিত্র গুলির গল্প

চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো

যারা চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করেন, তাদের সবারই জানা, ১৮৮৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্যারিসে অগাস্ট লুমিয়ের (১৮৬২-১৯৫৪) ও লুই লুমিয়ের (১৮৬৪-১৯৪৮) নামে দুই ভাই প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন। ৫০ ফিট দৈর্ঘ্যরে ১ মিনিট স্থায়ী চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয় হোটেল ডি ক্যাফেতে। অবিভক্ত বাংলার প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে হীরালাল সেনের নাম স্বীকৃত। বিভিন্ন স্থানে অভিনীত নাটকের খণ্ডিত অংশের চিত্রায়ণ করে ১৯০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ক্ল্যাসিক থিয়েটারে প্রদর্শন করেন তিনি। সেই সময়ের ‘সীতারাম’, ‘আলীবাবা’, ‘দোললীলা’, ‘ভ্রমর’, ‘হরিরাজ বুদ্ধ’ প্রভৃতি জনপ্রিয় নাটক পরিবেশনার বিশেষ বিশেষ অংশ ক্যামেরায় ধারণ ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছে…

Read More

BLACK iz এস.ই.ও. এক্সপার্ট, সম্পুর্ন ফ্রী কর্মশালা!

কম্পিউটার ভাইরাস বিস্তারিত ইতিহাস এবং এর থেকে সুরক্ষা থাকার কৌশল

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না এস.ই.ও. (SEO) নিয়ে আমাদের দেশের প্রফেশানাল , স্টুডেন্ট সহ সবার মাঝে বেশ আগ্রহ । সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশেষ করে ফেইসবুকে এস.ই.ও. (SEO) কে ঘিরে অনেকগুলো গ্রুপ তৈরি হয়ে উঠেছে। সেখানে অনেক আলোচনা হয় । প্রায় নির্দিষ্ট একটা বিষয়কে ঘিরে । অনেকে শেখার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার কথা বলে থাকেন। সবার সমস্যা এক হয় না । অনেকে বলে থাকেন তারা গাইডলাইন পাচ্ছেন না, অনেকে বলেন কোথা থেকে শুরু করবেন তা বুঝতে পাচ্ছেন না । অনেকে আবার ক্যারিয়ার হিসাবে এস.ই.ও. (SEO) কেমন হবে বুঝতে পাচ্ছেন না । এমন কিছু…

Read More

SEO এক্সপার্ট হবার তিনটি পক্রিয়া এবং বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ! (+ফ্রী কিছু ই-বুক)

কম্পিউটার ভাইরাস বিস্তারিত ইতিহাস এবং এর থেকে সুরক্ষা থাকার কৌশল

SEO, এস.ই.ও বা  সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। ২০১২ তে বাংলাদেশ এই SEO এর উপর কাজ করে ফ্রিলেন্সার.কম এ বিশ্বের মধ্যে প্রথম হয়েছে এবং অনলাইন মার্কেট প্লেসে যতগুলা কাজ রয়েছে তার মধ্যে এই SEO, এস.ই.ও বা  সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের  ফ্রিলেন্সাররা সবচেয়ে বেশি আয় করেছে। এস.ই.ও. (SEO) নিয়ে এত কিছু ঘটার পর বাংলাদেশের এখন দিন দিন এস.ই.ও. (SEO) ফ্রিলেন্সার-এর সংখ্যা বাড়ছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না এস.ই.ও. (SEO) নিয়ে আমাদের দেশের প্রফেশানাল , স্টুডেন্ট সহ সবার মাঝে বেশ আগ্রহ । সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশেষ করে ফেইসবুকে এস.ই.ও. (SEO) কে ঘিরে অনেকগুলো …

Read More

আজ বাংলাদেশে ৯০% হয়েও মুসলিমরাই আজ সংখালঘু

নাহ! আজকের সকল দালাল বলেন আর রাজাকারি কিংবা নিরপেক্ষ অথবা নাস্তিক সাপোর্টার সকল পত্রিকাই কেন যেন খুব নিরপেক্ষ হয়ে গিয়েছে বলে মনে হল। তাই টি.ভি. চালিয়ে বসলাম, টি.ভি. চালু হতেই আমি হতবাগ! এ কি দেখছি আমি? চ্যানেল ৭১ দেখাচ্ছে মোল্লা, অশিক্ষত কিংবা জংগিদের ( ঐ সকল মেডিয়ার ভাসায় হুজুর কিংবা ইনারা বেশির ভাগ সময়ই জংগিবাদ ) আলোচনা? উফ! আমার মনে হল আমি যেন স্বপ্ন দেখছি! নাহ টি.ভি. দেখে আর পোষাবে না বুঝলাম ল্যাপটপ নিয়ে অনলাইনে একটু ভ্রমন করে আসি। অনলাইনের নামি দামি সব এমনকি ইসলাম বিদ্দেশি পত্রিকাগুলয় হুজুরদের দালালি করছে? এটা কি সপ্ন দেখছি? নাকি বাস্তব? বরং বর্তমান সময়ের কিছু মিডিয়া যারা ইসলামের পক্ষে লিখতে গিয়ে বিতর্কিত, তাদের পাতায় এ ধরনের কোন সংবাদি আমার চোখে পরলোনা! আমি তো আরও হতবাগ হয়েগেলাম! এটা কি করে সম্ভব? (দেশের কিছু নামি দামি পত্রিকার হেডলাইন, অপরদিকে 'আমার দেশ" পত্রিকার হেড-লাইন!) আছতে আছতে চোখ থেকে ঘুম যখন সরে যেতে শুরু করল তখন সব কেমন যেন স্পষ্ট হতে শুরু করল? প্রথমেই যে প্রশ্ন মনে আসল ইনারা (হুজুর কিংবা উলামারা) মিছিল করছেন? আপনি ভাবছেন এতে কি সমস্যা মিছিলতো করতেই পারে? হুম্ম আমিও তাই বলছি মিছিলতো করতেই পারে কিন্তু প্রশ্ন যেখানে দুদিন পুর্বেও মিছিল-মিটিং তো দুরের কথা জুমার নামাজে সরিক হতে গিয়ে পুলিশের ধোলাই খেয়েছে, গুলি খেয়েছে অন্তত ২০০-৩০০ জনের বেশি মুসল্লি। সেখানে আজ পল্টনের মত একটা স্থানে রাস্তা বন্ধ করে সসম্মানে পুলিশি নিরাপত্তায় মিছিল-মিটিং করছে? শুরুতে বলতে ইচ্ছে করছিল যে বাহ! কি সুন্দর আমাদের গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা , যেখানে হুজুরদের জন্যেও এত সম্মানের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু পরক্ষনেই বুজা হয়েগেল যে এটা একটা সাজান নাটক এবং যারা লিখছেন তাদের হাত খুব কাঁচা, অর্থাৎ খুব কাঁচা হাতে লিখা একটা নাটক। সাধারন মানুষ না একটা শিশুও খুব সহজেই বুজতে পারবে এই নাটকটা। (আজকের মঞ্চের কিছু চিত্র।) দ্বিতীয় যে প্রস্ন দেখা দিল মনের মধ্যেঃ যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ জুমার পর ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা অন্নান্য শহরে পর পর কয়েক শুক্রুবার জমায়েত হয়েছিল ইসলাম অবমাননাকারীদের বিচার চেয়ে সেইদিন আজকের এই টি.ভি., পত্রিকা বা অনালাইন নিউজ পোর্টালগুল এমন ভাবে উপাশ্তহাপন করে ছিল যেন এরা সবাই জংগি, এরা সবাই রাজাকারের আত্মীয়, এরা বাংলাদেশের সাধিনতা বিরোধী ইত্যাদি। অথচ এই হুজুররাই আজকে এনাদের পাতায় ভাল, ধর্মগুরু। তাহলে কি এই সকল পত্রিকাগুলর সাংবাদিক, সম্পাদক থেকে সকলেই বদলি হয়ে গেলেন রাতা-রাতি? নাকি এই উলামারা সেই উলামা নন? নাকি আজ এই হুজুর-রা হলুদ সাংবাদিকদের পয়সা দিয়ে কিনে নিয়েছেন? (বিগত কয়েক শুক্রুবার সাধারন মুসল্লিদের জমায়েতের কিছু চিত্র।) তৃতীয় যেই প্রশ্নটা চলে আশে তা হচ্ছে প্রতিটি ছবিয় বা ভিডিওই এমন ভাবে ধারন করা হয়েছে যেন মনে হয় হজার-হাজার মানুষ এই উলামাদের সাথে রয়েছে, অথচ বাস্তবে এখন পর্জন্ত কোন প্রতিষ্ঠিত আলেম তো দুরের কথা সাধারন জ্ঞ্যান রাখে ধর্ম সম্পর্কে এরকম মানুষই এটা কে সমর্থন করেনি। মাত্র ২০০-৩০০ মানুশের সমাগম হয়েছে। অথচ এই ২০০-৩০০ জন মানুষকে ৩০,০০০ বানিয়ে দিতেও ভুলে করে নাই অনেক মিডিয়া। দুঃখ জনক হলেও সত্য মেডিয়াগুল কি সাধারন মানুশকে এত টা বোকা মনে করে? (আজকের ছবিগুলো আবার একটু খেয়াল করে দেখুন!) শেষ আবার একটা কথা বলি অনেকেই মনে মনে ঠিক করে রেখেছেন হয়ত বলবেন পুলিশ ওইদিন আঘাত করেছিল উলামা কিংবা সাধারন মুসল্লিদের উপরে নয় জামাতের উপরে তবে আমি বলব শুক্রুবার নামাজের পর প্রায় প্রতিটি আয়োজনি ছিল কওমি দের যাদের জামাতের সাথে কোন সম্পর্ক নেই, বরং এরা জামাত বিরোধী। কিন্তু এদের কে মিডীয়ারা বরাবরের মতই ব্যার্থ ভাবে স্রতাদের কাছে দেশ বিরোধী শক্তি হিশাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কতটুকু সফল তারা? আমার মনে হয় ০.০০% সফলতা তারা পেয়েছে। (কিছু মুসল্লির ছবি।) তারা (আজকের এই মিডিয়ারা) কি চায় এমন গুরু হতে যাদের কাছ থেকে সাধারন মানুষ ইসলামও শিখবে আবার ইসলাম বিদ্বেষীও তাদেরই কাছ থেকে শিখতে হবে? আজ তাদের ব্যাপারটা এমন যেন তারাই ঠিক করে দিবে কে ভাল, কে খারাপ, কাকে মানতে হবে, কাকে মানতে হবে না, কাকে মারতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। ভুলে গেলে চলবে না মেডিয়ার কাজ জনমত তূলে ধরা, ইচ্ছে মত জনমত তৈরী করা নয়। আর যদি ইচ্ছে মত জনমত তৈরী করে যেতেই থাকে এবং এভাবেই আরও অনেকটা দিন কেটে যায় তবে মনে হয় এই সকল মিডিয়ার সংবাদ দেখা কিংবা পড়ার মানুষ খুজে পেতে কস্ট হবে।

আজ বাংলাদেশে হিন্দুরা সংখালঘু নয়, বরং তারাই সংখাগরিষ্ঠ, ৯০% হয়েও মুসলিমরাই আজ সংখালঘু . কীভাবে জানতে চান? প্রমাণ করে দিচ্ছি- ১. মুসলিমরা সংখালঘু বলেই এদেশে পুলিশ বুট দিয়ে মসজিদ মাড়িয়ে সব তছনছ করে দিতে পারে। এবং মসজিদে জুতা নিয়ে প্রবেশ করার পর কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি, মিডিয়া গুলো ছিলো নির্বিকার, কোন মন্দিরে এই ঘটনা ঘটলে দেখতেন প্রতিবাদ কাকে বলে। ২. এদেশে পুলিশ বয়স্ক মুসলিম দের দাঁড়ি ধরে টেনে মাটিতে ফেলে বুট দিয়ে লাথি মারে, পাঞ্জাবি ছিরে ফেলে, সুশীল সমাজ তখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়… ৩. হিন্দুরা সংখাগরিষ্ঠ বলেই তারা আজ…

Read More

হেফাজতে ইসলামীর উপর অহেতুক রাগ দেখানোর কারন কি?

আল মুহাজির শাইখ "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ"-এর মুজাহিদ ভাইদের নিকট অত্যন্ত বিনয়ের সহিত বলতে চাই, "হেফাযতে ইসলাম"-এর কোন বিষয় যদি আপনাদের নিকট অবোধগম্য http://sphotos-f.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/545969_400993560008614_1797467106_n.jpg থেকে যায় তাহলে মেহেরবানী করে "হেফাযতে ইসলাম"এর মাশায়েখদের সাথে কথা বললে ভালো হয়। কেননা, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন যে, আল্লামা শাহ আহমাদ শফী হাফিযাহুল্লাহ সহ "হেফাযতে ইসলামী"র কোন নেতা ফেসবুক চর্চা করেন না। ফলে ফেসবুকে আপনাদের হাঁসফাঁসগুলো কেবল গীবতেরই অন্তর্ভুক্ত এবং মুসলিম ঐক্যের চরম পরিপন্থী। সবচে' বড় বিপদ সংকেত হলো, আল্লাহ তা'আলার মেহেরবানীতে আজকের লংমার্চ পরিপূর্ণ সফল হয়েছে এবং এতে বাতিলের ভীতে কম্পন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই বিজয় থেকে মুসলিমদেরকে আবারো বিচ্যুত করতে শয়তান মরণ-কামড় স্বরূপ কিছু একটা করতে চেষ্টা করছে। "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ" এর মুজাহিদ ভাইসহ সকলকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। ( ইসলামের শ্ত্রুরা যেন কোন সুজোগ না নিতে পারে, অন্দোলন শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য )

মুল লিখাটি এ.কে.এম. ওয়াহিদুজ্জামান স্যারের লিখা, আমি সকলের উদ্যেশ্যে ব্লগে শেয়ার করলাম। আমি যখন বলি, ভারতে হিন্দুদের হাতে মুসলমান হত্যার কারণে বাংলাদেশে নিরীহ হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করবেন না, তখন ওরা আমাকে বলে ‘প্রগতিশীল’। আমি যখন বলি, মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হাতে মুসলমান হত্যার কারণে বাংলাদেশে নিরীহ বৌদ্ধদের ওপর আক্রমণ করবেন না, তখন ওরা আমাকে বলে ‘মানবতাবাদী’। অথচ আমি যখন বলি জামায়াত-শিবির এবং হেফাজতে ইসলামীর ওপর আপনাদের রাগের কারণে কাকরাইল মসজিদের নিরীহ দাঁড়ি-টুপি ওয়ালা মুসলমানদের ওপর আক্রমণ করবেন না[১], তখন ওরা আমাকে বলে ‘রাজাকার’, ‘ছাগু’। [১] আমি এইখানটা তে একটু যোগ করতে চাই…

Read More

ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম -এর প্রতি রয়েছে আমাদের অন্ধ বিশ্বাস! (প্রমান)

প্রথমেই জানতে চাইব একটা প্রশ্নের-উত্তরঃ মহাত্না গান্ধী বাদে ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের একজন প্রধান নেতার নাম বলুনতো। আপনার উত্তর যদি হয়ঃ "বহগাত শিং" বাদে অন্যকেও বা অন্যকিছু বা না জেনে থাকেন তবে আপনি লিখাটি সাধারণ ভাবেই পাঠ করেন আর যদি আপনার উত্তর হয়ঃ "বহগাত শিং" তবে আপনার জন্য এই লিখাতে রয়েছে ভয়ংকর কিছু তথ্য। আপনার জন্য রয়েছে খুব দ্রুত অন্ধ হয়ে যাবার ভয়। চলুন ফিরে যাই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে (১৯২০ সালে)। ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে আলেম -ওলামাদের ভুমিকা অবিস্মরণীয়। ভারতবর্ষের পুর্ন স্বাধীনতার দাবী সর্ব-প্রথম উঠাণ আল্লামা আজাদ সুবহান। এই অপরাধের ১৯২০ সালে আল্লামা আজাদ সুবহানকে মহাত্না গান্ধীর সাথে কারাবরণও কারতে হয়। শুধু যে আল্লামা আজাদ সুবহান, ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের সাথে যুক্ত ছিলেন তাও নয়। সেই সংগ্রামে আল্লামা আজাদ সুবহান সাথে ছিলেন আল্লামা হাসরত মোহানি, মাওলানা মোহাম্মাদ আলি, মাওলানা শওকত আলি সহ আরও অনেক আলেম-ওলামা। তারা সংগ্রাম করতে গিয়ে দিনের পর দিন সহ্য করেছেণ জেল-জুলুম-অত্যাচার, কিন্তু তারা পিছ পা হননি। তারা ছিলেন অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আপসহীন। "Maulana Hasrat Mohani (1875–1951) was a romantic poet of Urdu language, journalist, politician, parliamentarian and a fearless freedom fighter of Indo-Pak Sub-continent. " অথচ আমাদের এই বর্তমান সমাজ এক প্রকার তাদের ভুলেই গিয়েছে। একশ জনের মধ্যে হাতেগোনা দুই-একজন তাদের নাম জানে কিনা সন্দেহ। ছোট বেলায় তিতুমিরের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাস শুধুমাত্র পাঠ্যবইতেই পড়েছি। তাই তিতুমিরের সম্পর্কে আমাদের কিছুটা জ্ঞ্যান থাকলেও নেই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের অন্যতম প্রধান সকল আলেম-ওলামা-দের সম্পর্কে বিন্দু পরিমান জ্ঞ্যান। ভাবতে অবাক লাগে আমরা মুসলিম হয়েও কখনও জানিনি আমাদের নিজেদের গৌরবময় সকল ইতিহাসের কথা। জানিনি বাকশাল ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম মনিষীদের আপসহীন লড়াই। এবার আমি আমার মুল আলোচনায় ফিরে আসি, কিভাবে আমরা ভারতীয় মিডিয়া বা ফিল্ম এর মাধ্যমে প্রভাবিত হচ্ছি। প্রথমেই একটি প্রশ্ন করি ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের http://upload.wikimedia.org/wikipedia/en/thumb/d/d2/Bhagatsinghlegend.jpg/220px-Bhagatsinghlegend.jpgএকজন বীরের নাম বলুনতো? হয়ত অনেকেই বলতে পারবেন না আবার কেও কেও বলতে পারবেন। কিন্তু এক পক্ষ আছে যারা বলবে "বহগাত শিং", আমার ক্ষোভ বা কষ্ট শুধুই তাদের নিয়ে, তারাই স্পষ্ট ভাবে বিভ্রান্ত এবং এক প্রকার নির্বোধ মানুষ। কারন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামে তেমন কোন বড় ভুমিকায় যে বহগাত শিং ছিলেন তা কিন্তু নয়। অনেক মুসলিম মনিষীই সে দিনের সেই ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের মুখ্য ভুমিকা পালন করেও আজ তারা আমাদের কাছে বড়ই অপরিচিত। অথচ ঠিকি জেনে নিয়েছিলাম বহগাত শিং-এর কথা। বহগাত শিং-কে আমরা কোথা থেকে চিনলাম? বহগাত শিং-এর ইতিহাস আমরা কি করে জানলাম? স্পষ্ট উত্তর ভারতীয় একটি চলচিত্র "বহগাত শিং"-এর মাধ্যমে । যদি আমার এই উত্তরের সাথে আপনি একমত হোন, তবে স্পষ্টভাবে বলা যেতে পারে, ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম থেকে সেই কিছু বিভ্রান্তি এবং নির্বোধ মানুষ আজ ইতিহাসও শিক্ষা নেয় । তবে যারা ইতিহাস পড়ে "বহগাত শিং" এর ইতিহাস জেনেছে তাদের নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটি একটি উদাহারন মাত্র এর বেশি কিছু নয়। উপরের আলোচনা থেকে শুধু এতটুকুই আমি বুঝাতে চেয়েছি যে আজ আমরা বা আমাদের একটা শ্রেনী ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম -এর প্রতি এতটাই বেশি আসক্ত যে, তাদের ফিল্ম থেকে আমরা শিক্ষা খোঝার চেস্টা করি। আপনি কতজন এমন ব্যাক্তি দেখেছেন যারা "বহগাত শিং" সিনেমটা দেখে ইতিহাসের সাথে মিলিয়ে দেখার জন্য বই কিংবা অনলাইন ঘাটা-ঘাটি করেছে? হয়ত উত্তর হবে একজনও নয় । আবার যদি প্রশ্ন হয় "বহগাত শিং" সিনেমটা দেখে কতজন "বহগাত শিং"-কে ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম প্রধাণ হিসাবে মেনে নিয়েছে? হয়ত উত্তরটা হবে খুব সহজঃ প্রায় সবাই...। বা ১০০ জনে ৯০ জন। তাহলে কি এই আলোচনা থেক এতটুকু স্পষ্ট নয় যে আজ আমারা ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম ধারায় ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত? আজ আমরা ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম এর মধ্যে শিক্ষা খুঁজে বেরাই । এটাই তাহলে প্রমান হচ্ছে না যে আমার আজ ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম কে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করতে শিখেছি, তাই নয় কি? যারা শুধুমাত্র আনন্দ বা বিনোদনের জন্য ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম দেখেন তাদের ব্যাপারেও বিশেষ কিছু বলবার নেই। কিন্তু যারা এ থেকে শিক্ষা নিয়ে বা ইতিহাস জানেন তাদের জন্যই আমার এই লিখা। ভাবতে অবাক লাগে আমাদের দেশের কিছু মিডিয়া বা লেখক তাদের লেখায় সেই "বহগাত শিং" এর বর্ননা স্থান পেলেও, পাইনি ব্রিটিশ স্বাধীনতার সংগ্রামের অন্যতম প্রধান আল্লামা আজাদ সুবহান, আল্লামা হাসরত মোহানি, মাওলানা মোহাম্মাদ আলি, মাওলানা শওকত আলি সহ অন্যান্ন মুসলিম মনিশিদের কথা। আরও হাসি পায় তাদের কিছু লিখা পড়ে, যেখানে "বহগাত শিং" এর বর্ননা হুবুহু সিনামার মত করে দিয়েছেন। আসলে তারাও ইতিহাসের "ই" জানেন না তারাও ভারতিয় সিনামার থেকে ইতিহাশ জেনে দু-একটা কলাম লিখেন আর কি। সর্ব শেষে বলব "বহগাত শিং" একজন বীর ছিলেন কিন্তু এই আলোচনায় তার কথা শুধুমাত্র উধাহারন স্বরূপ নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের একজন বীর ছিলেন কিন্তু মুখ্য কোন ভুমিকায় ছিলেন না। এ আলোচনায় এটাই ফুটিয়ে তুলার চেস্টা করা হয়ছে যে, ভারতের মিডিয়া বা ফিল্ম আজ আমাদের (বা আমাদের একটা অংশকে) এমন ভাবে নিয়ন্ত্রন করছে যে আমাদের ইতিহাস শিক্ষা দিতে পারে। আমাদের কিছু মানুষকে তারা অন্ধ করে ফেলতে পেরেছে। একজন সাধারন যুদ্ধা কে ইতিহাস বদলে প্রধানের কাঠগড়ায় দাড় করাতে পারে। এটা কি আমাদের জন্য ভয়ংকর কোন পুর্ভাবাস নয়? এটা কি আমাদের জন্য খুব শিঘ্রই অন্ধ হয়ে যাওয়ার ইংগিত নয়?

প্রথমেই জানতে চাইব একটা প্রশ্নের-উত্তরঃ মহাত্না গান্ধী বাদে ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের একজন প্রধান নেতার নাম বলুনতো। আপনার উত্তর যদি হয়ঃ “বহগাত শিং” বাদে অন্যকেও বা অন্যকিছু বা না জেনে থাকেন তবে আপনি লিখাটি সাধারণ ভাবেই পাঠ করেন আর যদি আপনার উত্তর হয়ঃ   “বহগাত শিং” তবে আপনার জন্য এই লিখাতে রয়েছে ভয়ংকর কিছু তথ্য। আপনার জন্য রয়েছে খুব দ্রুত অন্ধ হয়ে যাবার ভয়।  চলুন ফিরে যাই  ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে (১৯২০ সালে)।  ব্রিটিশ ও ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসে আলেম -ওলামাদের ভুমিকা অবিস্মরণীয়। ভারতবর্ষের পুর্ন স্বাধীনতার দাবী…

Read More