মদীনা সনদঃ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভূতপূর্ব দলিল

ড.আ ফ ম খালিদ হোসেন ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে হিজরতের পর রাসূলুল্লাহ সা. মদীনায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ইয়াহূদীদের মধ্যে সামাজিক ঐক্য ও রাজনৈতিক সমীকরণ, জাতীয় নিরাপত্তা, ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার  মাধ্যমে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি চুক্তি সম্পাদন করেন যা ইতিহাসে ‘মদীনা সনদ’ (ঈযধৎঃবৎ ড়ভ গধফরহধয)  নামে পরিচিতি লাভ করে। এটাই ইতিহাসে লিখিত প্রথম সংবিধান। এর পূর্বে শাসকের মুখোচ্চারিত কথাই ছিল রাষ্ট্রীয় আইন। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ এটাই ছিল রাষ্ট্র ও সমাজের শাসননীতি। খ্রিষ্টপূর্ব দুই হাজার বছর পূর্বে মেসোপটেমিয়ার যেসব আইন বিধিবদ্ধ (ঈড়ফব ড়ভ ঐধসসঁৎধনর) করা হয় তা ছিল অসম্পূর্ণ…

Read More

জান্নাতের পরিচয় : জান্নাতের শরাবে নেশা এবং উম্মাদনা থাকবেনাঃ

সৈয়দা সুফিয়া খাতুন : জান্নাতের শরাবে নেশা এবং উম্মাদনা থাকবেনাঃ জান্নাতীরা তৃপ্তির জন্য শরাব পান করবে। কিন্তু সে শরাব হবে সুগন্ধিময়। জান্নাতের শরাব পান করে কেউ মাতাল হবে না, জ্ঞানশূন্য হবে না, পেটের কোন সমস্যা হবে না, কথায় কোন পরিবর্তন আসবে না। সূরা সাফ্ফাতে ইরশাদ হয়েছে-‘তাদের মাঝে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ-শুভ্র পানীয়ের পানপাত্র, যা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু, তাতে মাথা ব্যাথা হবে না এবং তা পান করে মাতালও হবে না।   সূরা সাফ্ফাত:৪৫-৪৭ সূরা তূরে ইরশাদ হয়েছে, ‘শরাব পানের কারণে তারা কোন ধরনের অসার অবান্তর কথা বলবে না, কোন ধরনের…

Read More

জাহান্নামের পরিচয় : জাহান্নামীদের জিহ্বা, জাহান্নামীদের উদ্দেশ্যে শয়তানের বক্তব্য, জাহান্নামীদের সংখ্যাঃ

মাওলানা আব্দুল মতিন : রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে কাফের তার জিহ্বা টেনে এক ফার্লং বা দুই ফার্লং পর্যন্ত বের করবে। যার উপর দিয়ে লোকজন হেঁটে যাবে। আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব ব্যখ্যা ঃ এক ফার্লং সমান তিন মাইল। এ হাদীস থেকে জানা গেল, কাফেরদের জিহ্বা কত লম্বা হবে। মূলত পরকালে মানুষের আকৃতি পৃথিবীর মানুষের আকৃতির  চেয়ে অনেক দীর্ঘ হবে। জাহান্নামীদের উদ্দেশ্যে শয়তানের বক্তব্যঃ এদিকে জাহান্নামীরা শয়তানের অনুসরণের কারণে আফসোস করতে থাকবে। অন্য দিকে আল্লাহর আহ্বানে সাড়া না দেয়ার কারণে হুমকি ধমকি হতে থাকবে। এদিকে শয়তান তার বক্তব্যে তাদের ভীষণভাবে ধিক্কার…

Read More

মুমিনের সফলতা যেখানে

মাওলানা শিব্বীর আহমদ : সফলতা কে না চায়? প্রতিটি সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষ সফল হতে চায় আপন কর্মে আপন ক্ষেত্রে। যেখানেই সে বিচরণ করে, সেখানেই সফলতা অর্জন করতে চায়। এ সফলতা ব্যক্তি, ক্ষেত্র, লক্ষ্য ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই একজন মুমিনও সফল হতে চাইবে তার জীবনে। সে বিশ্বাস করেÑ এ জীবনের প্রান্থ খুব দূরে নয়। এর পর শুরু হবে এক অসীম জীবনের পথে চলা। মনে প্রাণে যে এ বিশ্বাস লালন করে, তার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে আখেরাতের জীবন। হয়তো সে সফলতা কামনা করবে দুই জীবনেই। কিংবা সসীম দুনিয়ার জীবন কোনভাবে…

Read More

যে ভালবাসা ঈমানের দাবী

উসমান বিন আব্দুল আলী : সাহাবায়ে কেরাম রা. -এর প্রতি মুহাব্বত হযরত সাহাবায়ে কেরামের প্রতি ভালবাসা রাখা ঈমানের অংশবিশেষ। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন- ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকূকারী, সিজদাকারী অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকে। আল-ফাত্হ: ২৯ তিনি আরো বলেন- ‘অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে আপনার হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছিল; অতঃপর তিনি তাদের অন্তরে কি ছিল তা জেনে নিয়েছেন,…

Read More

কবীরা গুনাহ সমূহের বর্ণনা

এ, এস, এম, রফিকুল ইসলাম নোমান : আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাসের উপর অটল থাকতে হলে আমাদেরকে কবীরা ও সগীরা গুনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। তবে কবীরা গুনাহ মারাত্মক, যা মানুষদেরকে কুফুরী ও মোনাফেকির দিকে ধাবিত করে। গুনাহ দুই প্রকার। এক, সগীরা (ছোট গুনাহ) দুই. কবীরা (বড় গুনাহ)। যে গুনাহ সম্পর্কে কুরআন বা হাদীসে শাস্তির বিধান রয়েছে অথবা কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে তাকে কবীরা গুনাহ বলে। কোনো কোনো কবিরা গুনাহ অন্য কবিরা গুনাহ থেকে বড়। যেমন কুফরি করা, শিরক করা সবচেয়ে বড় গুনাহ। নিম্নে কিছু কবিরাগুনাহ কুরআন ও হাদীস থেকে বর্ণনা করা…

Read More

পবিত্র কুরআনের আলোকে পর্দা

সৈয়দা সুফিয়া খাতুন : পবিত্র কুরআনের সাতটি আয়াতে মহিলাদের পর্দার বিধান বর্ণিত হয়েছে। চারটি আয়াত সূরা আহযাবে, তিনটি আয়াত সূরা নূরে বিবৃত হয়েছে। এসব আয়াতে পর্দার বিধি-বিধানের পূর্ণ বিবরণ বর্ণনা করা হয়েছে। পর্দা সম্পর্কিত প্রথম আয়াত ঃ “আর যখন নবীপতœীদের কাছে তোমরা কোন সামগ্রী চাইবে তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে; এটি তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র।” (আয়াত ৫৩, সূরা আহ্যাব) আয়াতে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, নবীপতœীগণ তোমাদের সাথে পর্দা করবেন। তোমরা নবী পতœীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। তবে প্রয়োজনে কথা বলতে দোষ নেই; কিন্তু…

Read More

মুসলিম বালককে দেখে খ্রিস্টান প্রশিক্ষকের ইসলাম গ্রহণ

আবু আফিফা : ফিলিপাইনের জাতীয় সাঁতার দলের প্রশিক্ষক, ম্যালিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানের ওপর ডিগ্রি নেয়া ক্যাপ্টেন আব্দুল করিম এরসিনাস তার ইসলাম গ্রহনের ঘটনা বর্ণনা করেছেন এভাবে: আল্লাহর অসংখ্য প্রশংসা, (এরসিনাস) খ্রিস্টান পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে তিনি আমাকে ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার সৌভাগ্যে ভূষিত করেছেন। আমার জন্ম ও শিক্ষা রাজধানী ম্যানিলার এক খ্রিস্টান পরিবেশে। এখানে  কোনো মুসলিম নেই। ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলগুলোতেই মুসলিমদের অবস্থান সীমাবদ্ধ। বাল্যকালে আমার পরিবার চাইত, গির্জায় আমি যেন বেশি বেশি সময় দিই। আমি যখন যৌবনে পা রাখলাম, গির্জায় যেতে কোনো আগ্রহ বোধ করছিলাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর নিজ ধর্ম খ্রিস্টবাদ…

Read More

আত্মশুদ্ধি : পথ ও পাথেয়

আল্লামা মুহাঃ সালমান মানছুরপুরী : ভাষান্তর: মাওলানা পিয়ার মাহমূদ : আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তাঃ অন্তরকে সর্ব প্রকার চারিত্রিক ও আত্মিক ব্যধি থেকে পবিত্র রাখার জন্য আত্মশুদ্ধির প্রয়োজন হয়। যার মূল কথা হলো, কলবকে এ পরিমাণ পাক-পরিষ্কার করা যে, কলবের ভিতর সর্বপ্রকার নিকৃষ্ট গুণাবলীর প্রতি ঘৃণা ও সর্ব প্রকার উত্তম গুণাবলীর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। মানুষের অন্তর যখন পরিশুদ্ধ এবং  আলোকিত হয় তখন তার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সহজ হয়ে যায়। তাইতো পবিত্র কুরআনে প্রিয় নবীর সা. জিম্মাদারী ও দায়িত্বের বর্ণনা দিতে গিয়ে  ইরশাদ হয়েছে- ‘‘এবং তিনি তাদের পরিস্কার ও পরিশুদ্ধ করেন। সত্যিই…

Read More

নামাযের শুদ্ধরূপ এবং প্রচলিত ভুলসমূহ

মাওলানা আবদুস সাত্তার আইনী : মানব ও জিন জাতিকে আল্লাহপাক তাঁর ইবাদতের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। এই ঘোষণা আল্লাহপাক কুরআনেই দিয়েছেন এবং মানুষ যেনো শুদ্ধ ও সুষ্ঠুভাবে ইবাদত শিখতে পারে এবং পালন করতে পারে সেজন্য তিনি যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। তিনি মানুষকে প্রদান করেছেন পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। এই জীবনব্যবস্থার নাম ইসলাম। ইসলাম পাঁচটি মৌলিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ঈমান, নামায, রোযা, হজ ও যাকাত ইসলামের মূল ভিত্তি। দেখা যাচ্ছে ঈমানের পরেই নামাযের স্থান। রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময়ই ব্যয় করেছেন মানুষের শিক্ষা-দীক্ষার কাজে এবং তিনি ছিলেন মহান শিক্ষক।…

Read More